ব্রিটিশ দ্বীপ অঞ্চলের ইতিহাস

ইতিহাসের বিভিন্ন দিক

ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ মাঝে মাঝেই প্রত্যক্ষ করেছে গ্রেট ব্রিটেন, আইল অব ম্যান, আয়ারল্যান্ড, গার্ন্সি বেইলিউইক, জার্সি বেইলিউইক এবং সংলগ্ন ছোট দ্বীপপুঞ্জ দখলকারী লোকেদের মধ্যের প্রতিযোগিতা এবং সহযোগিতা।

স্টোনহেঞ্জ, ক্লোজআপ (২০০৪ সালের মার্চ মাসে)

এখনকার ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে দুটি সার্বভৌম রাষ্ট্র রয়েছে: প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্য। এছাড়াও রয়েছে তিনটি আওতাধীন অঞ্চল: গর্নসি, জার্সি এবং আইল অব ম্যান। যুক্তরাজ্য ইংল্যান্ড, উত্তর আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলস দ্বারা গঠিত। এর প্রতিটি কাউন্টির নিজস্ব ইতিহাস রয়েছে। এ ছাড়াও উত্তর আয়ারল্যান্ড এক পর্যায়ে স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল। প্রকৃতপক্ষে যুক্তরাজ্য গঠনের ইতিহাস অত্যন্ত জটিল।

১৯৪৯ সালের আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের আইন এর আগে পর্যন্ত ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ছিল ১৬০৩ সালের ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের সমস্ত দেশের রাষ্ট্র প্রধানদের মুকুট একীকরণ। যদিও "ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ" শব্দটি ১৬০৩ সালে ব্যবহৃত হয়নি। অতিরিক্তভাবে আরও বলার যে আয়ারল্যান্ডের বেশিরভাগ স্বাধীনতার পর থেকে দ্বীপপুঞ্জ এর লোকদের মধ্যে সম্পর্কের জটিলতার কারণে (দেখুন: ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জের পরিভাষা)) ইতিহাসবিদরা প্রায়ই এই অঞ্চল সম্পর্কে ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ শব্দটি এড়িয়ে যেতেন।

প্রাগৈতিহাসিকসম্পাদনা

পুরাতন প্রস্তর যুগ এবং মধ্য প্রস্তর যুগসম্পাদনা

প্যালিওলিথিক এবং মেসোলিথিক যথাক্রমে পুরাতন ও মধ্য প্রস্তর যুগ হিসাবে পরিচিত। এই সময়টি ছিল একটি শিকারী সংগ্রহকারী অর্থনীতি এবং সে সময়ের পাথরের সরঞ্জাম প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে ঐ সময়টি চিহ্নিত করা হয়েছিল।

পুরাতন প্রস্তর যুগসম্পাদনা

ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে পুরাতন প্রস্তর যুগের সময়ের প্রথমদিকে হোমিনিডরা বিশেষ করে বিলুপ্ত হোমো হাইডেলবার্গেনসিস এই অঞ্চলে প্রথম পরিচিত বাসস্থান গড়েছিল।

এই সময়কালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম হ'ল দক্ষিণ ইংল্যান্ড এর পশ্চিম সাসেক্সে অবস্থিত বক্সগ্রোভ কোয়ারি

মধ্য প্রস্তর যুগ (১০,০০০ থেকে ৪,৫০০ খিষ্টপূর্ব)সম্পাদনা

মধ্য প্রস্তর যুগের হোমো সেপিয়েনস বা আধুনিক মানুষ ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে এখনও বেঁচে থাকা একমাত্র হোমিনিড প্রজাতি ছিল। সে সময় ডগারল্যান্ড নামে একটি এলাকা দ্বারা ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জ মহাদেশীয় ইউরোপের সাথে যুক্ত ছিল।

নব্য প্রস্তর এবং ব্রোঞ্জ যুগ (৪৫০০ থেকে ৬০০ খিষ্টপূর্ব)সম্পাদনা

ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে নব্য প্রস্তর এবং ব্রোঞ্জ যুগ ব্রিটিশ এবং আইরিশ সমাজ ও ভূসংস্থানের রূপান্তর প্রত্যক্ষ করেছিল। তখন সম্প্রদায়গুলি তাদের শিকার-সংগ্রহের উপায়গুলি ছেড়ে দিয়ে কৃষিকাজ শুরু করার জন্য কৃষিক্ষেত্র গ্রহণ করেছে।

লৌহ যুগ (১২০০ খ্রিস্টপূর্ব থেকে ৬০০ অব্দ)সম্পাদনা

এর নাম অনুসারে ব্রিটিশ লৌহ যুগকে লোহা অবলম্বন দ্বারাও চিহ্নিত করা যায়। এই সময় থেকে এই ধাতুটি বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম, অলঙ্কার এবং অস্ত্র তৈরি করতে ব্যবহৃত হত।

খ্রিস্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দের সময়কালে এবং সম্ভবত তারও পূর্ববর্তী সময়ে একাধারে মহাদেশীয় ইউরোপ থেকে অভিবাসনের সাথে অতি-সাংস্কৃতিক আশ্লেষ (ট্রান্স-কালচারাল ডিফিউসন) এর সংশ্লেষণের ফলে দ্বীপগুলিতে কেল্টীয় ভাষাসমূহের প্রতিষ্ঠা ঘটে যার থেকে উন্মেষ ঘটে দ্বীপ কেল্টীয় গোষ্ঠীর। দ্বীপপুঞ্জগুলিতে আগে কোন ভাষায় কথা বলা হত তা অজানা। যদিও ধারণা করা হয় যে সেগুলি প্রাক-ইন্দো-ইউরোপীয় ছিল।[১]

ধ্রুপদী যুগেসম্পাদনা

তথ্যসূত্রসম্পাদনা

  1. Simon Schama, A History of Britain: At the Edge of the World, 3500 BC – 1603 AD (2000)