প্রস্তর যুগ
বিশ্বের ইতিহাসে প্রস্তর যুগ বলতে মানব ও তার সমাজের বিবর্তনের ধারায় একটা পর্যায়কে বোঝানো হয় যখন যখন মানুষের ব্যবহার্য হাতিয়ার তৈরির মূল উপকরণ ছিল পাথর । তবে পাথরের ব্যবহারই প্রস্তর যুগের একমাত্র সনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য বলে মনে করা হয় না। বিরল হলেও কাঠ এবং প্রাণির হাড়ের তৈরি হাতিয়ার ব্যবহারের নিদর্শনও পাওয়া গেছে । এসময় স্বর্ণ ছাড়া অন্য কোন ধাতুর ব্যবহার ছিল অজানা । প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার থেকে ও পূর্ব আফ্রিকার সাভানা অঞ্চল থেকে বাকি বিশ্বে মানুষের ছড়িয়ে পড়ার সময় থেকে প্রস্তর যুগের শুরু ধরা হয়। প্রস্তর যুগের শেষ হয় কৃষির উদ্ভাবন, গৃহপালিত পশুর পোষ মানানো এবং তামার আকরিক গলিয়ে তামা আহরণের মাধ্যমে মানুষ ধাতুর ব্যবহার শুরু করলে। এই যুগটিকে প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলা হয় কারণ তখনো লিখন পদ্ধতি আবিষ্কার হয়নি এবং মানব সমাজের লিখিত ইতিহাস সংরক্ষণ করা শুরু হয়নি ।

প্রস্তর যুগকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয় ।
প্রাচীন প্রস্তর যুগ সম্পাদনা
এই যুগটি মুলত ঊষা প্রস্তর যুগ এর পরবর্তী ধাপকে বলা হয়। এখানে এই সময়ে মানুষেরা সবাই অশোধিত পাথর এর হাতিয়ার ব্যবহার করত। পূর্ব আফ্রিকা থেকে বিবর্তন এর মাধ্যমে মানুষ এর উতপত্তি ঘটার পরে প্রায় ১২ লক্ষ বছর অতিবাহিত হবার পরে ১০০০০০ থেকে শুরু করে প্রায় ৪০০০০ খ্রিষ্টপূর্ব পর্যন্ত সময়কাল কে ধরা হয় প্রাচীন প্রস্তর যুগ। ম্যাগডেলেনিয় সংস্কৃতি, অ্যাবিচিলনিয় সংস্কৃতি, পিকিং মানব; এসমস্ত প্রাচীন প্রস্তর যুগ এর উল্লেখযোগ্য সংস্কৃতি এবং মানব গোষ্ঠী। এই সময়ে মানুষ পুরোপুরি ভাবে শিকার এবং খাদ্য সংগ্রহ এর উপরে নির্ভরশীল ছিল এই যুগের মানুষ ছিল এক খাদ্য সংগ্রহকারী প্রাণী । শিকার করা ই ছিল তাদের পেশা ।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |