ব্রিজেট পেরিয়ার (জন্ম ১৯৭৭) একজন যৌন কর্মী ও সাবেক পাচার হওয়া শিশু পতিতা। তিনি আরেক পাচার হওয়া পতিতা নাতাশা ফালের সাথে “ওয়ান হানড্রেড ওয়ান বা একশত এক” নামে যৌন ব্যবসা কেন্দ্র[১] প্রতিষ্ঠা করেন।[২] তিনি ১২ বছর বয়সে এক “গ্রুপ হোম" বা বাসায় দলগত পতিতাবৃত্তির সময় ধর্ষণের শিকার হন। এরপর থেকে সে "শিশু পতিতা" হয়ে যায়। সেখানে চার্লি নামের এক বয়স্ক নারী এক পেডোফিলে যৌনবৃত্তি করার জন্য তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল।[৩] তার পরামর্শে সে পেডোফিল থেকে পালিয়ে যায়। তার ট্যানার নামে এক পুত্র ছিল। সে পাঁচ বছর বয়সে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এ দুঃখে ব্রিজেট পেরিয়ার যৌন ব্যবসা থেকে বেরিয়ে আসে।[৪] ২০০০ সালে তিনি কানাডার অন্টারিও থান্ডার বে থেকে টরেন্টোতে চলে আসেন।[৫] তার অ্যাঞ্জেল নামে এক সৎ সন্তান ছিল। অ্যাঞ্জেলের আসল মা ছিলেন ব্রেন্ডা উলফ, যে রবার্ট পিকটন নামে হত্যাকারীর হত্যার শিকারদের একজন ছিলেন।[৬] ২০০৯ সালে পেরিয়ার, ব্রেন্ডা উলফ ও অন্যান্য ৫০০ জনেরও বেশি কানাডিয়ান আদিবাসী মহিলাকে সাথে করে গত ৩০ বছরে খুন বা নিখোঁজ হয়েছে তাদের স্মরণে টরেন্টোতে “নেটিভ উইমেন্স রিসোর্স সেন্টার ফর দ্য সিস্টার্স ইন দ্য স্পিরিট উইগল” নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।[৭] ২০১০ সালে পেরিয়ার "আন্তর্জাতিক পতিতা দিবস" এর স্বীকৃতির জন্য টরেন্টো শহরের এক আদালতে মামলা করেন। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ত্রিশা ব্যাপ্টি, নাতাশা ফালে, ক্যাটরিনা ম্যাকলিওড এবং ক্রিস্টিন বারখাউসসহ সাবেক মানব পাচারের শিকার পতিতারা।[৮] ২০১২ সালে বেডফোর্ড বনাম কানাডা সম্পর্কিত একটি সংবাদ সম্মেলনে ব্রিজেট পেরিয়ার গণমাধ্যমের কাছে একটি পাম্প স্টিক দেখিয়ে বলেছিল যে, প্রতিদিন তাকে তার পাম্প একটি লাঠি দিয়ে মারধর করত এবং তাকে পতিতা কাজে বাধ্য করত।[৯] পেরিয়ার পতিতালয়ের বৈধ করণের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি 'বেডফোর্ড বনাম কানাডা' সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে প্রস্তাব করে বলেছেন, "একটি বৈধ বাউডি হাউজকে কখনই আর নিরাপদ বলবেন না। আর যদি তা করেন তাহলে আপনি এর মাধ্যমে এখনও সিরিয়াল কিলার, ধর্ষক, বিকৃতদের আকৃষ্ট করতে যাচ্ছেন।"[১০] তার এ বক্তব্য ডা. ভিনসেন্ট জেড. ফেলিত্তি ব্রিজেট ক্যান্সার ইনসাইটস ম্যাগাজিনে (ভলিউম ২, ইস্যু নং ১) গ্রাউন্ড ব্রেকিং প্রবন্ধে এভাবে শেয়ার করেছেন যে, কীভাবে শৈশবে যৌন নির্যাতনের ভিকটিমরা প্রাপ্ত বয়স্কের সময় দীর্ঘস্থায়ী ট্রমা রোগের সাথে যুক্ত হয়, কীভাবে শিশু পাচার অর্থনৈতিকভাবে বোঝা হয় এবং নাগরিক শাসনকে খারাপ করে।[১১]

ব্রিজেট পেরিয়ার
জন্ম১৯৭৭
জাতীয়তাকানাডিয়ান
নাগরিকত্বকানাডা
পেশাপতিতাবৃত্তি বিরোধী কর্মী, সাবেক পতিতা
প্রতিষ্ঠানসেক্স ট্রেড ১০১
সন্তানট্যানার (মৃত)

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Ontario court alters sex trade landscape"Occupational Health and Safety Canada। এপ্রিল ৩, ২০১২। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৩, ২০১৩ 
  2. Denis Langlois (জুলাই ১৬, ২০১২)। "Survivors want to help people in sex trade"Owen Sound Sun Times। ডিসেম্বর ২৭, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৩, ২০১৩ 
  3. Jessica Smith (নভেম্বর ১৫, ২০১২)। "Child prostitution victims call for group home changes"Metro International। ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৩, ২০১৩ 
  4. Victoria Gray (অক্টোবর ৩, ২০১০)। "Court decision could accelerate human trafficking"The Toronto Observer। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৩, ২০১৩ 
  5. Laurie Monsebraaten (ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১২)। "Poverty fight must go on despite deficit, activists say"Toronto Star। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৩, ২০১৩ 
  6. Corey Mintz (জুলাই ৫, ২০১৩)। "Family has appetite for social issues at dinner with Corey Mintz"Toronto Star। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৩, ২০১৩ 
  7. Madhavi Acharya; Tom Yew (অক্টোবর ৫, ২০০৯)। "Missing, slain women honoured at ceremony"Toronto Star। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৩, ২০১৩ 
  8. Steffanie Petroni (জুন ১৮, ২০১৩)। "Legalizing Prostitution: Local and National Consequences"Local2। অক্টোবর ২৯, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৫, ২০১৩ 
  9. Adrian Humphreys (মার্চ ২৬, ২০১২)। "Former and current sex workers at odds over prostitution ruling"National Post। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২১, ২০১৩ 
  10. Julian Sher (জুন ১২, ২০১৩)। "Should brothels be legal? Supreme Court of Canada ponders issue"Toronto Star। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৩, ২০১৩ 
  11. Vincent J. Felitti. "Childhood Trauma Linked to Chronic Diseases in Adulthood." Cancer InCytes 2(2), 2013.