MOHIUDDIN JOHNNY
বাংলা উইকিপিডিয়ায় স্বাগতম সম্পাদনা
সুপ্রিয় MOHIUDDIN JOHNNY! উইকিপিডিয়ায় আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করছি এ পরিবেশটি আপনার ভাল লাগবে এবং উইকিপিডিয়াকে সমৃদ্ধ করার কাজে আপনি সহায়তা করবেন। এখানে কিছু পৃষ্ঠা আছে যা আপনাকে উইকিপিডিয়া ব্যবহার এবং সমৃদ্ধ করার কাজে সাহায্য করবে:
কাজে নেমে পড়বার সহজ উপায় হলো নিচের যে-কোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করা:
অনুগ্রহপূর্বক আলাপের পাতায় বার্তা রাখার পর সম্পাদনা সরঞ্জামদণ্ডের চিহ্নে ক্লিক করার মাধ্যমে অথবা চারটি টিল্ডা ( আশা করি আপনি বাংলা উইকিপিডিয়া সম্প্রদায়ের একজন হয়ে সম্পাদনা করে আনন্দ পাবেন! আবারও স্বাগতম এবং শুভেচ্ছা! বাংলা উইকিপিডিয়া অভ্যর্থনা কমিটি, ০৭:৫১, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ (ইউটিসি) |
গংগাসাগর - দিঘিরপার সম্পাদনা
গঙ্গাসাগর দিঘী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় অবস্থিত। দীঘি নামটির সাথে সাগর মিশেছে মূলত এর বিশালত্বের কারণে। আর আক্ষরিক অর্থেই গঙ্গাসাগর সুবিশাল। গঙ্গা দেবীর নামানুসারে দীঘির নামকরণ করা হয়েছিল ‘গঙ্গাসাগর দীঘি’। সেই থেকেই জায়গাটির নাম গঙ্গাসাগর হয়।
অতীতে নৌ-পথের গুরুত্ব যখন অধিক ছিল, তখন হাওড়া নদীর তীরবর্তী গঙ্গাসাগর ছিল মূলত আগরতলার নদী-বন্দরস্বরূপ। গঙ্গাসাগরের পূর্বনাম ছিল রাজদরগঞ্জ বাজার। এ বাজার তৎকালীন সময়ের বিশিষ্ট ব্যাংক ‘দি এসোসিয়েটেড ব্যাংক লিঃ অফ ত্রিপুরা’র প্রধান অফিস স্থাপিত হয়েছিল। তখনো উপমহাদেশে ব্যাংকের প্রচলন সঠিকভাবে হয়নি। এ অবস্থায় একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান অফিস স্থাপনা উল্লেখিত স্থানের ঐতিহাসিকতাকেই উজ্জ্বল করে বৈকি। তাছাড়া ত্রিপুরা রাজ্যের ভাটি অঞ্চলের খাজনা আদায়ের মহল অফিসও এ রাজদরগঞ্জ বাজারেই ছিল। রাজদরগঞ্জ বাজারের পরবর্তী নাম মোগড়া বাজার। এখানে ‘সেনাপতি বাড়ি’ নামে একটি জায়গা আছে। তাই মনে করা হয়ে থাকে যে, ত্রিপুরা-রাজ্যের কোন এক সেনাপতি এখানে বসবাস করতেন স্থায়ী অথবা অস্থায়ীভাবে।
এই দীঘি নির্মাণের পেছনে রয়েছে এক ইতিহাস, যেমনটি সব দীঘিতেই। প্রায় পনেরশ বছর আগে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজা বীর বিক্রম ঈশ্বরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুর তৎকালীন সময়ে কর আদায় করতে আসতেন কুমিল্লায়। তখন এ অঞ্চলে পানীয় জলের সুব্যবস্থা ছিল না। এলাকার চারদিকের শুষ্ক পরিবেশ দেখে রাজা চিন্তিত হন। আশে পাশে কোন দীঘি নেই। তখন তিনি এই বিশাল দীঘিটি খনন করান। শুধু টলটলে পানির দীঘি নয়, এর উত্তরে রাজা বিশাল একটি ঘাটও তৈরী করে দিলেন। খাজনা আদায়ের কাজ করতে করতে রাজা ক্লান্ত হয়ে গেলে সে ঘাটে গিয়ে বিশ্রাম নিতেন। সামনের বিশাল জলরাশি আর চারপাশের খোলা প্রান্তরের হাওয়ায় রাজার মনকে শান্ত করে দিত। আয়কর বা খাজনা আদায়ের ঘরকে তখন বলা হত তফসিল কাচারী। এখনও দীঘির উত্তরপারে তফসিল কাচারী রাজার কর আদায়ের স্বাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে। দীঘির উত্তরপাড়ের লাগোয়ো অন্ধকার ঘরটির ভেতরের মেঝেতে এখনও কয়েকটি সিন্দুকের শেষাংশের ছাপ ষ্পষ্ট। তবে কালের পরিক্রমায় কাচারী ঘরে লেগেছে ধ্বংসের আচড়। দীঘির ঘাটের সিড়িও ভগ্নপ্রায়। দীঘির পাড়ে বর্তমানে মোগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস রয়েছে।
যেভাবে যাবেন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর এর কাউতলী থেকে প্রথম সিএনজি অথবা বাসে আখাউড়া যেতে হবে।অথবা ট্রেনে করেও আপনি আখাউড়া যেতে পারেন। আখাউড়া থেকে সরাসরি সিএনজি যোগে যাওয়া যাবে গঙ্গাসাগর দিঘী। MOHIUDDIN JOHNNY (আলাপ) ০৭:৫৫, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ (ইউটিসি)
We are ready for any answer MOHIUDDIN JOHNNY (আলাপ) ০৭:৫৬, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ (ইউটিসি)
Welcome সম্পাদনা
|