লরেন সিমন
জন্ম
পিতা-মাতা
  • আলেকজান্ডার সিমন (পিতা)

লরেন সিমন বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী ও কম সময়ে উচ্চ শিক্ষাগ্রহণকারী ব্যক্তি৷ লরেন সিমন এর বাবার নাম আলেকজান্ডার সিমন, যিনি একজন দাঁতের ডাক্তার৷ অল্প বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করার কথা শুনে অনেক মানুষের কাছে একজন বিস্ময়কর ব্যক্তি। অনেক মানুষ তাকে জিনিয়াস বলে সম্মোধন করে। [২]

শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পাদনা

চার বছর বয়স থেকে তার প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। দুই বছর সেখানে পড়াশোনা করেন ও ছয় বছর বয়সে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষা গ্রহণ করেন। উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি মাত্র দেড় বছরে ছয় বছরের পড়াশোনা শেষ করেন। তার শিক্ষকদের মতে সে সব কিছু খুব দ্রুত শিখতে পারে। তার মেধা যাচাই করার জন্য শিক্ষকেরা তাকে বাড়তি কাজ দিতেন ও তাকে বাড়তি কিছু পরীক্ষাও দিতে হয়েছে৷ [২] লরেনের স্মৃতি-শক্তি ছিল খুবই প্রখর। তার আই কিউ ১৪৫ যা আইনস্টাইন ও স্টিফেন হকিং-এর আই কিউর কাছাকাছি। [২]

ইন্টারনেট জগতে অবদান সম্পাদনা

তিনি ছোট হলেও ইন্সটাগ্রাম ব্যাবহার করেন। বর্তমানে তার অনুসারীর সংখ্যা ১৩,০০০ জনের উপরে৷ তিনি'ফোর্টনাইট' ও 'মাইনক্রফ্ট' ভিডিও গেম খেলতে ভালোবাসেন৷ এবং তিনি নেটফ্লিক্সেও ছবি দেখে।[২][৩]

বিজ্ঞানে অবদান সম্পাদনা

বিজ্ঞানে তার খুব একটা অবদানের কথা জানা যায়নি। তবে তার স্বপ্ন হলো- কৃত্রিম অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তৈরি করা। এর জন্য তিনি এখন মেডিসিনে পড়াশোনা করতে চান । বিশেষ করে তিনি কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড তৈরি করতে চান । [২]

ব্যাক্তিগত জীবন সম্পাদনা

তিনি অন্য সব সাধারণ বাচ্চার মতোই দেখতে৷ সে তার তার দাদা দাদীর সাথে তার জন্ম শহরে বড় হয়েছেন। তার বাবা মা তখন হল্যান্ডে কাজ করতেন। [২]

তিনি নেদারল্যান্ডসের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তার একটি কাজের বর্ণনা দেন। তার কাজটি হলো একটি কম্পিউটার সার্কিট বিকাশ করা যা মস্তিষ্কের একটি অংশের প্রতিরূপ তৈরি করে।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "৯ বছর বয়সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি-বিডি নিউজ ক্লাব"। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০১৯ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "৯ বছর বয়সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি-BBC"। সংগ্রহের তারিখ ২০ নভেম্বর ২০১৯ 
  3. Peltier, Elian (২০১৯-১১-১৫)। "A 9-Year-Old Is About to Get a University Degree. He Has #Giganticplans."The New York Times (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0362-4331। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩ 
  4. "Nine-year-old set to graduate from university"www.rte.ie। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৩