বড়ো-কাছাড়ি জনগোষ্ঠী

(বোড়ো-কাছাড়ি জনগোষ্ঠী থেকে পুনর্নির্দেশিত)

বড়ো-কাছাড়ি হচ্ছে আসাম-এর তিব্বত-বার্মী ভাষা বলা কয়েকটি জনগোষ্ঠীকে সামগ্রিকভাবে বোঝাতে ব্যবহার করা নাম। বড়ো-কাছাড়ি হ'ল আসাম এবং উত্তর পূর্ব ভারতের একটি বৃহৎ সম্প্রদায়।

উৎপত্তি

সম্পাদনা

বড়ো নামটি আসাম-এর মেছ তথা কাছাড়ি ভাষিক গোষ্ঠীটিকে সামগ্রিকভাবে বোঝাতে প্রথমে ব্যবহার করেছিলেন B H Hodgson-এ। আসামের পশ্চিমে বাস করা মেচ জনগোষ্ঠীর লোকদের বড়ো নামে পরিচিত ছিল। কালক্রমে আসাম পর্যন্ত এসে থিতিয়ে যাওয়া এই মেচ দের তিনি বড়ো (Bodo) নামে অভিহিত করেন। বিভিন্ন ভাষাতত্ত্ববিদদের দ্বারা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে প্রোটো-বড়ো-গারো ভাষা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার একদা 'লিঙ্গুয়া-ফ্রেঙ্কা' ছিল।[] আসামের পূর্ব অঞ্চলের হিন্দু অধিবাসীরা এই বড়ো তথা মেচ দের কাছাড়ি নাম দেয়। কালক্রমে এই নাম অন্যান্য স্থানে থাকা একই মূলের বড়ো তথা কাছাড়িদেরকে জুড়ে নেওয়ায় বড়ো-কাছাড়ি নামটি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। মেচ তথা বোরোদের ভাষার সাথে রাভা, লালুং, ডিমাচা, গারো, মরাণ, মটক, ত্রিপুরা এবং চুতীয়া এই তিব্বত-বার্মী ভাষায় ভিত্তি করে গড়ে ওঠা গোষ্ঠীটিকে হজসন ১৮৪৭ সালে বড়ো নামে নামাংকিত করেন।

শ্রেণীকরণ

সম্পাদনা

১৮৮১ সালের জনগণনা অনুসারে, বড়ো-মেচ, দেউরী, ডিমাচা, ঢিমাল, গারো, হাজং, কোচ, লালুং (তিওয়া), মেচ, মরান, মটক, ফুলগরিয়া, চুতীয়া, রাভা, সোনোয়াল, শরণীয়া, সোলেমিয়া ঠেঙ্গাল এবং তিপ্রাসা- এই সকল জনগোষ্ঠীকে কাছাড়ি বলে শ্রেণীভুক্ত করা হয়।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Briefly, I propose, following a suggestion by Burling (2007), that the Proto-Bodo-Garo first as a lingua franca used for communication across the various linguistic communicates of the region and its striking simplicity and transparency reflect a period when it was widely spoken by communities for whom it was not a native language." (DeLancey 2012:3)