আখড়া শব্দের বাংলা অর্থ আধ্যাত্নিক অনুশীলনের স্থান।[১] ইহা সাধু পুরুষ বা গুরু, গোসাঁইদের সমাধির উপর নির্মত হয়। আখড়াতে সাধুসন্তদের সেবা করার জন্য ভক্তরা সবসময় জড় হয়। তারা কোন নির্দিষ্ট আরাধ্য দেবতাকে সেখানে সেবা অর্চ্চনা করে থাকে। বাংলাদেশ তথা ভারতের অনেক অঞ্চলে জগন্মোহনী বাউল মতবাদ এর বৈষ্ণবদের হাজার হাজার আখড়া বিদ্যমান আছে, তারা সেখানে গুরু পরম্পরা গোসাঁইগণের সেবা অর্চ্চনা করে থাকে। [২] জগন্মোহনী বাউল বৈষ্ণবদের কয়েকটি বিখ্যাত আখড়ার নাম হল, বিথাঙ্গল আখড়া (হবিগঞ্জ), মাছুলিয়ার আখড়া (হবিগঞ্জ জেলা অবস্থিত), জলাসুখার আখড়া (হবিগঞ্জ), দিল্লীর আখড়া ( কিশোরগঞ্জ), শ্যাম বাউলের আখড়া হবিগঞ্জ।[৩] ভক্তরা প্রতিদিন আখড়ায় ভোগাদি প্রদান করে। সেই সুপ্রাচীনকাল থেকে আখড়ায় আধ্যাত্নিক সাধকদের সেবা অর্চ্চনার কাজ চলে আসছে। মাছুলিয়ার আখড়া জগন্মোহন গোসাঁইর সমাধির ইপর নির্মিত। বিথাঙ্গল বড় আখড়া রামকৃষ্ণ গোসাঁইর সমাধির উপর নির্মিত। আবার কোথাও যেখানে বাউল সাধকেরা বসে ধ্যান করতেন সেখানে আখড়া প্রতিষ্ঠিতত হয়; যেমন দিল্লীর আখড়া সাধক নারায়ণ গোসা্বামী (রামকৃষ্ণ গোসাঁইর শিষ্য) যেখানে বসে ধ্রান করতেন সেখানে নির্মিত হয়। দিল্লীর আখড়ার সমস্ত ভূমি সম্রাট জাহাঙ্গীর নারায়ন গোস্বামীর নামে উৎসর্গ করেন।[৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. সংসদ বাংলা অভিধান
  2. অক্ষয় কুমার দত্ত রচিত, ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায় পুস্তক থেকে সংগৃহীত
  3. শ্রীহর্টের ইতিবৃত্ত, অচ্যুতচরন চেীধুরী তত্তনিধি, উত্তরাংশ ও পূর্বাংশ থেকে সংগৃহীত
  4. কিশোরগঞ্জের ইতিহাস গৃন্থ থেকে সংগৃহীত