বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ
বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা বাংলাদেশ হলো বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাসমূহের একটি বোর্ড। এটি ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি’আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর অধীনস্থ ৬টি কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের একটি।[১] বেফাকুল মাদারিস তাদের নিবন্ধিত শিক্ষাপ্রতিষ্টানের পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, উন্নয়ন, বিভিন্ন স্তরভেদে পরীক্ষা গ্রহণ এবং সনদ প্রদানের কাজ করে। ২০১ খ্রিস্টাব্দের রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের অধীনে পাঁচ শ'য়েরও বেশি কওমি মাদরাসা রয়েছে।
![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/bn/thumb/e/ee/%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B2_%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B2_%E0%A6%95%E0%A6%93%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE_%E0%A6%97%E0%A6%93%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE_%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%8B.png/220px-%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B2_%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B2_%E0%A6%95%E0%A6%93%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE_%E0%A6%97%E0%A6%93%E0%A6%B9%E0%A6%B0%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BE_%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0_%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%97%E0%A7%8B.png)
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা
সম্পাদনাবেফাকের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা
বেফাক কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা ব্যবস্থা তিনটি পর্যায়ে বিভক্ত। প্রথম পর্যায়: এ পর্যায়ে রয়েছে দু'টি স্তর।
- প্রথম স্তর: প্রথমিক শিক্ষা। কুরআন তিলোওয়াত ও ইসলামিয়াতসহ গনিত, বাংলা, ইংরেজী এ সমাজ বিজ্ঞান প্রভৃতি ৫ম শ্রেনীর মান পর্যন্ত। একে বলা হয় আল মারহালাতুল ইবতিদাইয়্যাহ বা কওমী প্রাইমারি/ প্রাইমারি মাদরাসা।
- দ্বিতীয় স্তর: এতে রয়েছে সাধারণ শিক্ষা সহ ইসলামিক শিক্ষা। অর্থাৎ আরবিভাষা, আরবি ব্যকরণ ও ফিকাহশাস্ত্র, গনিত, বাংলা, ইংরেজি এ সমাজ বিজ্ঞান। একে বলা হয় মারহালাতুল মুতাওয়াসসিতাহ। এর মধ্যে রয়েছেঃ- ৩ বছর। অর্থাৎ: ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি।
দ্বিতীয় পর্যায়: এপর্যায়ে রয়েছে ৪টি স্তর।
- ১ম স্তর:- আল - মারহালাতুস সানাবিয়াতুল(মাধ্যমিক স্তর): এতে রয়েছে দু'বছর (৯ম-১০ম)
- ২য় স্তর: আল - মারহালাতুস সানাবিয়াহ্ আল উলইয়া (উচ্চ মাধ্যমিক স্তর): এতে রয়েছে দু'বছর (১১শ শ্রেনী থেকে দ্বাদশ শ্রেণি)।
- ৩য় স্তর: মারহালাতুল ফজিলাত (স্নাতক ডিগ্রি)। এতে রয়েছে দু'বছর (১৩শ শ্রেণি থেকে ১৪শ শ্রেনী)।
- ৪র্থ স্তর:- মারহালাতুল তাকমিল (মাস্টার্স ডিগ্রি)। এতে রয়েছে দু'বছর। এ স্তরকে দাওরায়ে হাদীস বলা হয়।
তৃতীয় পর্যায়: এ পর্যায়ে রয়েছে বিষয়ভিত্তিক ডিপ্লোমা ও গভেষনামূলক শিক্ষা কোর্স। যথা: হাদীস, তাফসির, ফিকহ, ফতওয়া, তাজবিদ, আরবিসাহিত্য, বাংলা সাহিত্য, ইংরেজি, উর্দূ ও ফারসি ভাষা, ইসলামের ইতিহাস, ও সীরাত, ইলমুল কালাম, ইসলামি দর্শন, অর্থনীতি, রাষ্টবিজ্ঞান, পৌর বিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞান, ইত্যাদি বিষয়ের গবেষণামূলক শিক্ষা।
অন্তর্ভূক্ত উল্লেখযোগ্য মাদরাসা
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "'আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি'আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ' এর অধীন 'কওমি মাদরাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমীল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮'"। bdlaws.minlaw.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১০।