জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা
জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম খাদেমুল ইসলাম গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা বাংলাদেশের একটি দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার প্রতিষ্ঠাতা শামসুল হক ফরিদপুরী।[২][৩]
নীতিবাক্য | اقرأ ( পড়ো তোমার প্রভুর নামে ) |
---|---|
ধরন | বেসরকারি |
স্থাপিত | ১৯৩৭ ঈসায়ি |
প্রতিষ্ঠাতা | শামসুল হক ফরিদপুরী |
অধ্যক্ষ | হাঃ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন[১] |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৬৫ |
শিক্ষার্থী | ২,৫০০ প্রায় (২০১৭) |
ঠিকানা | গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা, গোপালগঞ্জ-৮১২১ , , ২২°৫৩′১২″ উত্তর ৮৯°৫৩′১০″ পূর্ব / ২২.৮৮৬৭৬৫° উত্তর ৮৯.৮৮৬০৭২° পূর্ব |
ভাষা | বাংলা, আরবি, উর্দু, ফার্সি ও ইংরেজি |
সংক্ষিপ্ত নাম | গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসা |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৩৭ সালে শামসুল হক ফরিদপুরী এ মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। এতে কেবল ছাত্রদের পাঠদান করা হত। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে মাদ্রাসার মহিলা শাখা প্রতিষ্ঠা করা হয়।[৪] পরবর্তীতে এ মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা নামক কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড গঠিত হয়[৫] যা বর্তমানে আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের অধীনে রয়েছে।[৬]
শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনাপ্রতিষ্ঠানটিতে বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা, বাংলাদেশ, শিক্ষাবোর্ড এর অধীনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নূরানী,নাযেরা, হিফজ ও কেরাত বিভাগসহ কিতাব বিভাগ (তাকমিল ফিল হাদিস) এবং ফতোয়া বিভাগ রয়েছে।[৭]
ব্যবস্থাপনা
সম্পাদনাদারুল উলুম দেওবন্দ এর অনুকরণে জনগনের সাহায্য প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। একটি মজলিশে শূরা এবং একটি মজলিশে আমেলার মাধ্যমে মুহতামিম তথা প্রিন্সিপালের নেতৃত্বে কার্য সম্পাদন হয়।
প্রকাশনা
সম্পাদনামাদ্রাসাটি মাসিক আল-আশরাফ প্রকাশ করে থাকে।[৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "প্রধানমন্ত্রীকে 'কওমী জননী' ঘোষণাকারী কে এই মুফতি রুহুল আমীন"। Daily Nayadiganta। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৪।
- ↑ "গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মাহফিল শুরু, শনিবার আখেরি মোনাজাত"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-২১।
- ↑ "ঢাকা ও ঢাকার বাইরের কিছু শীর্ষ কওমি মহিলা মাদ্রাসার নাম ও ঠিকানা"। our Islam (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৭-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১০।
- ↑ "গওহরডাঙ্গা মাদ্রাসার ৮০তম মাহফিল"। সমকাল (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৪-০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৪।
- ↑ "মাদ্রাসা - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৪।
- ↑ "কওমির দাওরায়ে হাদিস মাস্টার্স মর্যাদায়"। কালের কণ্ঠ। ১৪ আগস্ট ২০১৮।
- ↑ আজাদ, আবুল কালাম (২০১৭-০৪-২০)। "বাংলাদেশে কওমী মাদ্রাসায় কী পড়ানো হয়?" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১০।
- ↑ "কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-০৪।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- আজমী, নূর মুহাম্মদ (২০০৮)। হাদিসের তত্ত্ব ও ইতিহাস। বাংলাবাজার, ঢাকা: এমদাদিয়া পুস্তকালয়। পৃষ্ঠা ২৯৭।
- সাইয়েদ, আহসান (২০০৬)। বাংলাদেশে হাদীছ চর্চা উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ। সেগুনবাগিচা, ঢাকা: অ্যাডর্ন পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ১০৪। আইএসবিএন 9842000184।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- মাদ্রাসার ওয়েবসাইট[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- https://www.gawhardangama.com/
- পাটগাতি ইউনিয়নের ওয়েবসাইট ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে