বেকুটিয়া সেতু
বেকুটিয়া সেতু বাংলাদেশের একটি সড়ক সেতু যা পিরোজপুর জেলার কচা নদীর ওপর [১] নির্মাণ করা হয়েছে । সেতুটি চীন সরকারের সহায়তায় নির্মিত হয়েছে। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৮৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৬৫৪ কোটি [২] টাকা গ্রান্ড অনুদান দিয়েছে চীন সরকার। বাকী ২৪৪ কোটি টাকার যোগান দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ৪২৯ মিটার ভায়াডাক্টসহ সেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪২৭ মিটার এবং প্রস্থ ১০ দশমিক ২৫ মিটার। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৯৯৮ মিটার। [৩] ১০টি পিলার এবং ৯টি স্প্যানের উপর দাঁড়িয়ে আছে বক্স গার্ডার টাইপ এই সেতু। ৯টি স্প্যানের ৭টি ১২২ মিটার এবং ৭২ মিটার স্প্যান রয়েছে ২টি। সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাই মাসে।[৪]৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতু উদ্বোধন করেন।[৫]সেতুটির অফিসিয়াল নাম বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু।
৮ম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু | |
---|---|
অতিক্রম করে | কচা নদী |
স্থান | বেকুটিয়া-পিরোজপুর, বরিশাল বিভাগ |
দাপ্তরিক নাম | বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সেতু |
অন্য নাম | বেকুটিয়া সেতু |
বৈশিষ্ট্য | |
নকশা | বক্স গার্ডার সেতু |
মোট দৈর্ঘ্য | ১,৪২৭ মিটার (৪,৬৮২ ফু) |
প্রস্থ | ১০.২৫ মিটার (৩৩.৬ ফু) |
ইতিহাস | |
নির্মাণ শুরু | জুলাই, ২০১৮ |
নির্মাণ শেষ | সেপ্টেম্বর ২০২২ |
চালু | ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ |
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "বেকুটিয়া সেতুর মাধ্যমে বদলে যাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা | বাংলাদেশ"। Somoy News। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৪।
- ↑ "দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্নের 'বেকুটিয়া সেতু' চালু আগামী বছর"। Bangladesh Journal Online। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৪।
- ↑ প্রতিনিধি। "পিলার নির্মাণ শেষের পথে, চালু হবে ২০২২ সালে"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-০৪।
- ↑ "পিরোজপুরের বেকুটিয়া সেতুর ৭২ ভাগ নির্মাণকাজ সম্পন্ন"। বিডিক্রাইম।
- ↑ "PM Hasina: Bangladesh is building a modern transport system"। www.dhakatribune.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২২-০৯-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৯-১৮।