বুরাকথা
বুরা কথা (বুরাকথাও বলা হয়) হল জঙ্গম কথা ঐতিহ্যে একটি মৌখিক গল্প কথনের কৌশল। এটি অন্ধ্রপ্রদেশের গ্রামে পরিবেশিত হয়। দলে একজন প্রধান পরিবেশনকারী এবং দুজন সহ-পরিবেশনকারী থাকে। এটি একটি আখ্যানমূলক বিনোদন যেখানে প্রার্থনা, একক নাটক, নৃত্য, গান, কবিতা এবং রসিকতা শোনানো হয়। কথনের বিষয়টি হয় একটি হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী (জঙ্গম কথা) বা একটি সমসাময়িক সামাজিক সমস্যা।[১]
উৎস
সম্পাদনাগ্রামের নিরক্ষর জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক ধারণা প্রচারের লক্ষ্যে ১৯৪২ সালের দিকে গুন্টুর জেলায় বিশিষ্ট বুরা-কথার বিকাশ ঘটেছিল।[২]
ব্যুৎপত্তি
সম্পাদনা"বুরা" দিয়ে বোঝানো হয় তানপুরা, যেটি একটি ফাঁপা খোলের তন্তু বাদ্যযন্ত্র। "কথা" মানে বোঝায় গল্প।[৩]
তেলুগু ভাষায় বুরার অর্থ একটি খুলি। ফাঁপা খোলটি একটি মানুষের খুলির অনুরূপ। এটি পোড়ানো কাদামাটি বা শুকনো কুমড়ো দিয়ে তৈরি, অথবা এটি পিতল এবং তামা দিয়েও তৈরি হতে পারে। উপকরণটির বীণার সাথে খুব মিল আছে এবং কথক তন্তুগুলির সাহায্যে সুর নিয়ে আসে ও সঙ্গীত তৈরি করে।
আরো দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Burrakatha loses sheen sans patronage"। The Times of India। ১৪ জানুয়ারি ২০১৩। ২০১৩-১১-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-০২।
- ↑ Lectures, Bangalore University Dept of Publications and Extension (১৯৭৭-০১-০১)। Vidya Bharathi (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "2.The Sanskrit word Katha means story"। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মার্চ ২০২১।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- Kajal Kumar Das (১৯৮০)। Burrakatha of Andhra Pradesh। Indian Institute of Mass Communication।
- Martin Banham (১৯৯৫)। The Cambridge Guide to Theatre । Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 146। আইএসবিএন 978-0-521-43437-9।
- Manohar Laxman Varadpande (১৯৯২)। History of Indian Theatre। Abhinav Publications। পৃষ্ঠা 92–93। আইএসবিএন 978-81-7017-278-9।
- Molly Kaushal (২০০১)। Chanted narratives: the living "katha-vachana" tradition। Indira Gandhi National Centre for the Arts। পৃষ্ঠা 123–128। আইএসবিএন 978-81-246-0182-2।