বিষ্ণুরাম মেধি সরকারি আইন মহাবিদ্যালয়

আসামের আইন মহাবিদ্যালয়

বিষ্ণুরাম মেধি সরকারি আইন মহাবিদ্যালয় আসামের গুয়াহাটিতে অবস্থিত আইন মহাবিদ্যালয়। ১৯১৪ সালে স্থাপিত এই মহাবিদ্যালয় পূর্বে আর্ল ল কলেজ হিসাবে পরিচিত ছিল। এটি আসাম তথা ভারতের সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম আইন মহাবিদ্যালয়। তদুপরি এই মহাবিদ্যালয়টি ১৯০১ সালে স্থাপন হওয়া কটন কলেজ-এর পরে আসামের দ্বিতীয় উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মহাবিদ্যালয়টি পাঁচবছরের সমন্বিত কলা এবং আইনের স্নাতক ডিগ্রী, তিনিবছরের আইনের স্নাতক এবং দুবছরের আইনের স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম দেন।[] মহাবিদ্যালয়টি গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়-এর অন্তর্ভুক্ত এবং ভারতীয় উকিল পরিষদ দ্বারা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত।[][]

বিষ্ণুরাম মেধি সরকারি আইন মহাবিদ্যালয়
ধরনআইন মহাবিদ্যালয়
স্থাপিত১৯১৪ (1914)
অধ্যক্ষডঃ ভূপেশ মল্ল বুজরবরুয়া
অবস্থান, ,
অধিভুক্তি
ওয়েবসাইটwww.brmgovtlawcollege.org.in

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৮৯৬ সালে স্যার হেনরী ষ্টেডম্যান কটন আসামের চীফ কমিশনার হিসাবে নিযুক্ত হন। আসামে একটি মহাবিদ্যালয় স্থাপনের জন্য মাণিক চন্দ্র বরুয়া তাঁর কাছে আবেদন জানান এবং সেই মর্মে ১৮৯৯ সালে তিনি একটি মহাবিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।[] সেই মতে ১৯০১ সালের ২৭ মে'তে কটন মহাবিদ্যালয় স্থাপিত হয়। কটন মহাবিদ্যালয় স্থাপন হওয়ার পর থেকে ১৯০৩ সালে মাণিক চন্দ্র বরুয়া ব্রিটিশ সরকারকে আসামে একটি আইন মহাবিদ্যালয় স্থাপনের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। ১৯১২ সালে তখনর আসামের মুখ্য আয়ুক্ত স্যার আর্সডেল আর্ল বড়োয়া আসামে একটি আইন মহাবিদ্যালয় স্থাপনের অনুমোদন দেন। এই প্রচেষ্টাতে ১৯১৪ সালে আর্ল ল কলেজ নামে মহাবিদ্যালয়টির সূত্রপাত হয়।[] এইটি আসাম তথা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রথম আইন মহাবিদ্যালয়। প্রথমে এর নাম সেইসময়র আসামের মুখ্য আয়ুক্ত স্যার আর্সডেল আর্লের নামে আর্ল ল কলেজ রাখা হয়েছিল। ভারতের স্বাধীনতার পরে এর নাম পরিবর্তন করে স্বাধীনতা সংগ্রামী বিষ্ণুরাম মেধির নামে বিষ্ণুরাম মেধি সরকারি আইন মহাবিদ্যালয় নামে নামকরণ করা হয়েছিল। বিখ্যাত সাহিত্যিক এবং শিক্ষাবিদ জ্ঞানদাভিরাম বরুয়া মহাবিদ্যালয়টির প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন।[] ১৯১৪ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত এই মহাবিদ্যালয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১৯৪৮ সালে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হওয়ায় মহাবিদ্যালয়টি এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়।[]

অবস্থান

সম্পাদনা

বিষ্ণুরাম মেধি সরকারি আইন মহাবিদ্যালয় বর্তমান গুয়াহাটির শিল্পগ্রাম পথের শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্রের নিচেই কাছের জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালা পথে অবস্থিত। জাতীয় সড়কের কাছে হওয়ার জন্য যাতায়াত ব্যবস্থা সচল। এর পুরানো অবস্থান গুয়াহাটির পানবাজারে ছিল।

পাঠ্যক্রম

সম্পাদনা

মহাবিদ্যালয়টি পাঁচবছরের সমন্বিত কলা এবং আইনের স্নাতক ডিগ্রী, তিনবছরের আইনের স্নাতক এবং দুবছরের আইনের স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রম দেন। মহাবিদ্যালয়টি গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়-এর অন্তর্ভুক্ত এবং ভারতীয় উকিল পরিষদ দ্বারা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "B.R.M. Govt. Law College, Assam - Address, Reviews, Admissions and Fees 2019"iCBSE (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৫ 
  2. "List of Law Colleges having approval of affiliation of the Bar Council of India" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৫, ২০১৯ 
  3. "B.r.m. Govt. Law College, Guwahati. Kamrup -Admissions 2019, Ranking, Placement, Fee Structure"www.targetadmission.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৫ 
  4. Handique, Rajib (১৯৮৯)। "The life and philosophy of Manik Chandra Barooah: A profile"। Souvenir of 9th MCB menorial estern region inter-college debating competition: 34–38।  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  5. "An old building that dazzles with a legacy in legal education - Heritage / Earle Law College"www.telegraphindia.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "Welcome to B.R.M.Government Law College"www.brmgovtlawcollege.org.in। ২০১৯-০৭-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-১৫