শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র

ভারতের একটি সাংস্কৃতিক ভবন

শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র বা সংক্ষেপ পর্যন্ত কলাক্ষেত্র গুয়াহাটি-এর পাঞ্জাবাড়িত অবস্থিত এক সাংস্কৃতিক ভবন। এটি পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এই ভবনের নাম অসমীয়া জাতির পিতামহ স্বরূপ, বৈষ্ণব গুরু তথা পণ্ডিত মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শংকরদেব-এর নামে রাখা হচ্ছে[]অসমীয়া সংস্কৃতি-এর প্রতীকসমূহের এটি এক অন্যতম কেন্দ্রস্থল। আসামের সঙ্গীত জগতের অন্যতম প্রসিদ্ধ এবং পুরোধা ব্যক্তি ভূপেন হাজারিকাদেবের এক ভূপেন হাজারিকা সংগ্রহালয় ও এখানে স্থাপন করা হচ্ছে।[]

শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র
মানচিত্র
স্থাপিত২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৮; ৩৬ বছর আগে (2 February, 1988)[]
অবস্থানপাঞ্জাবাড়ি, গুয়াহাটি, আসাম, ভারত
স্থানাঙ্ক২৬°০৭′৫০″ উত্তর ৯১°৪৯′২১″ পূর্ব / ২৬.১৩০৬° উত্তর ৯১.৮২২৪° পূর্ব / 26.1306; 91.8224

ইতিহাস

সম্পাদনা

১৯৮৬ সালের ৫ আগষ্ট তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়া আসাম সরকারের একটি সভায় সাংস্কৃতিক পরামর্শদাতা কমিটির দেওয়া পরামর্শ মতে আসামের জনগণের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উন্নয়ন এবং সংরক্ষণের জন্য এবং নৃত্য, নাটক, সঙ্গীত, চারু কলা, সাহিত্যের ক্ষেত্রে এক কর্মকেন্দ্র হিসাবে একটি প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করতে স্থির করা হয়েছিল। এর জন্য সেই বছরেই পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবস্থাপনা প্রস্তুত করে সাংস্কৃতিক প্রকল্পনাটির নাম শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র বলে নামাকরণ করা হয়। ১৯৮৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তারিখে আসামের রাজ্যপাল মহামান্য শ্রীভীষ্ম নারায়ণ সিং দেব এই প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রায় ১৪ একর আয়তন জুড়ে থাকা এই সাংস্কৃতিক প্রকল্পের সজ্জা রূপায়নের কাজ "ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার সার্ভিসেস ইনকর্পোরেটেড" নামের এক প্রতিষ্ঠানে করেছিল। আসাম সরকার ১৯৯০ সালে কলাক্ষেত্র ব্যবস্থাপনাটি আসাম চুক্তির ক্লজ-৬এর (যেটিতে উল্লেখ ছিল যে অসমীয়া মানুষের সাংবিধানিক, বিধান পরিষদীয় এবং প্রশাসনীয় সুরক্ষা, যা সঠিক, তাকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক, ভাষিক স্বকীয়তা এবং ঐতিহ্যের সুরক্ষা দেওয়া হবে) অন্তর্গত করতে ভারত সরকারের কাছে যায়। এরপরে ১৯৯৮ সালের ৯ নভেম্বর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি কে. আর. নারায়ণন এই ভবন সর্বসাধারণ বাসিন্দাদের জন্য উন্মুক্ত করেন।[][]

  • আসামের সাংস্কৃতিক সংগ্রহালয় / পূর্বজ্যোতি সংগ্রহালয় : যাদুঘরটিতে প্রায় ৪০০০টা শিল্পকলা আছে, যেগুলিকে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। তার মধ্যে থাকা শিল্প কলাসমূহ হল সত্রীয়া মুখা, সঙ্গীত বাদ্য, টেরাকোট্টা এবং বোকারে বনোয়া শিল্প (মৃন্ময় শিল্প), বয়ন শিল্প এবং পোছাক, আসাম এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের কূটির শিল্প, খরাহি এবং কাঠের থেকে উৎপন্ন বস্তু, কাঁহ এবং পিনিচের বস্তু, শংকরী কৃষ্টির বস্তু ইত্যাদি।[]
  • উন্মূক্ত প্রেক্ষাগৃহ
  • ললিত কলা ভবন: ললিত কলা ভবনে বাতানুকূল কলা বীথিকা, একটি গ্রাফিক ষ্টুডিও, একটি কর্মশালা এবং একটি প্রেক্ষাগৃহ আছে। শংকরদেব কলাক্ষেত্রের ললিত কলা শাখা রাজ্যিক এবং জাতীয় স্তরে প্রদর্শনী এবং চিত্রশিল্প, ড্রইং, গ্রাফিক, ভাস্কর্য্য, কাঠ শিল্প ও ফটোগ্রাফ এবং অন্য বিষয়ের উপর প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত করে। সাথে হস্তচালিত তাঁত, বস্ত্রশিল্প এবং এই অঞ্চলের পরম্পরাগত শিল্প সামগ্রীসমূহের প্রদর্শনী তৈরি করে।[]
  • ভূপেন হাজারিকা সংগ্রহালয়[]
  • শিশু উদ্যান বা শিশুবন, এই উদ্যানটি ড° ভবেন্দ্র নাথ শইকীয়া-এর নামে উতসর্গ করা হয়েছে, এই উদ্যান প্রায় ১২ বিঘা আয়তন জুড়ে আছে যেখানে একটি শিশু গ্রন্থাগার, পেট্রকেমিকেল গ্যালারি, সোলার হাট (solar hut), পুতুল সংগ্রহালয় ইত্যাদি আছে[]

চিত্রভান্ডার

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Srimanta Sankardev Kalakshetra"। Guwahatitimes.com। ২০১১-০৯-২৪। ২০১২-০৭-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৩-১২ 
  2. "Srimanta Sankardeva Kalakshetra India Tourist Information"। Touristlink.com। ২০১৩-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৩-১২ 
  3. "Srimanta Sankaradeva Kalakshetra"। Kalakshetra-assam.gov.in। ২০১৩-০৫-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৩-১২ 
  4. "ইতিহাস"kalakshetraassam.। আসাম সরকার সাংস্কৃতিক পরিক্রমা দপ্তর শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র সমাজ। 
  5. "পূর্বজ্যোতি সংগ্রহালয়"kalakshetraassam। আসাম সরকার সাংস্কৃতিক পরিক্রমা দপ্তর শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র সমাজ। 
  6. "ললিত কলা (চারু কলা)"kalakshetraassam। আসাম সরকার সাংস্কৃতিক পরিক্রমা দপ্তর শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র সমাজ। 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা