মণিকূট হল অসমের বৈষ্ণব সংস্কৃতির একটি উল্লেখযোগ্য সম্পদ৷ অসমের প্ৰায় প্ৰতিটি গ্রামে নামঘরের সংলগ্ন মণিকূট দেখা যায়৷ নামঘর অথবা কীৰ্তনঘরটি পূর্ব-পশ্চিম মুখে থাকে৷ নামঘরটির পূৰ্ব প্ৰকোষ্ঠের সঙ্গে সাদৃশ্য রেখে মণিকূটটি উত্তর-দক্ষিণ মুখে তৈরি করা হয়৷ এই মণিকূটের মাঝে সিংহাসন বা গুরু আসন স্থাপন করে সেখানে মহাপুরুষ শ্ৰীমন্ত শংকরদেবশ্ৰীমন্ত মাধবদেবের কীৰ্তন-দশম, ঘোষা ও রত্নাবলীর যেকোনো একটি পুঁথি সযত্নে স্থাপন করা হয়৷ মণিকূট শব্দের মূলগত অৰ্থ হ’ল রত্ন সজ্জিত ঘর। মণিকূটগুলি সাধারণত দু'চালা৷ বরপেটা সত্ৰের মণিকূটটি চারচালা৷ চালগুলি ভাঁজযুক্ত এবং দেখতে বৰ্তুলাকার৷ সেজন্য একে বলা হয় ভাঁজঘর। প্ৰত্নতাত্ত্বিক রাজমোহন নাথ বৌদ্ধ গ্ৰন্থে উল্লিখিত বাঙ্গলার গৃহ থেকে ভাঁজঘর শব্দটি এসেছে বলে সাব্যস্ত করেছেন৷ মণিকূটটি দেখতে দেবগৃহের শিখরের মত জমকালো না হলেও এর একটা নিজস্ব বৈশিষ্ট আছে৷ অসমের একস্থান থেকে অন্যস্থানে ছড়িয়ে থাকা অগণিত নামঘর ও মণিকূটসমূহ নিয়ে শংকরীয় সংস্কৃতি আজও জীবন্ত ও গতিশীল হয়ে আছে[১]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. অসমীয়া সংস্কৃতির কণিকা – সম্পাদনা- ড০ পরমানন্দ রাজবংশী, ড০ নারায়ণ দাস (পৃষ্ঠা- ২৭২)

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা