আলাপ:ণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধান

সাম্প্রতিক মন্তব্য: Meghmollar2017 কর্তৃক ৫ বছর পূর্বে "ণত্ব বিধানের উদাহরণ" অনুচ্ছেদে

Why are জবান, নিশান in the example? --সপ্তর্ষি(আলাপ | অবদান) ১৮:১১, ৩০ আগস্ট ২০০৬ (ইউটিসি)উত্তর দিন

বিদেশী উৎসের শব্দের পর ণ হয় না, সেটা বোঝানোর জন্য? --রাগিব (আলাপ | অবদান) ১৮:১৬, ৩০ আগস্ট ২০০৬ (ইউটিসি)উত্তর দিন
জবান, নিশান এর উদাহরণ আসলেই একটু বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। কারণ জবান, নিশান-এ ণ-ত্ব বিধান-এর নিয়ম অনুসারেও ণ হয় না। অন্যদিকে বিদেশী শব্দে কখনোই ণ হয় না। এই ব্যাপারটি পরিষ্কার করা যেতে পারে। ----কায়সার মোঃ নাহিদুজ্জামান ০৬:১৫, ১২ জুলাই ২০০৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন

ষ্ত্ব বিধান ও ব্যকরণ আলোচনা:ঃ+সন্ধি নিয়ম সম্পাদনা

নিঃ, দুঃ, বহিঃ, আবিঃ, চতুঃ, প্রাদুঃ এ শব্দগুলোর পর ক্‌, খ্‌, প্‌, ফ্‌ থাকলে বিসর্গ (ঃ) এর জায়গায় মূর্ধন্য-ষ হয়। যেমন-

  • নিঃ + কাম =নিষ্কাম
  • নিঃ + ক্রিয় = নিষ্ক্রিয়
  • নিঃ + পাপ = নিষ্পাপ
  • নিঃ + ফল = নিষ্ফল
  • দুঃ + কর = দুষ্কর
  • দুঃ প্রাপ্য = দুষ্প্রাপ্য
  • বহিঃ + কার = বহিষ্কার
  • নিঃ + পাপ = নিষ্পাপ। "

তেমনি হয়তো পরিঃ+কার পরিষ্কার, অর্থাৎ ইঃ এবং উঃ এর পর ক্‌, খ্‌, প্‌, ফ্‌ থাকলে বিসর্গ (ঃ) এর জায়গায় মূর্ধন্য-ষ হয়। কিন্তু তাহলে

  • নিঃ + ঠুর = নিষ্ঠুর কেন?
আবার র্ এর পর হলেও অঃ বা আঃ থাকলে তার পরে ক্‌, খ্‌, প্‌, ফ্‌ সন্ধিযুক্ত হলে বিসর্গ (ঃ) এর জায়গায় দন্ত্য-স হয়। যেমন
  • পুরঃ + কার = পুরস্কার [এখানে 'পুরঃ' এর 'র' এর পর 'অঃ' রয়েছে]
  • ভাঃ + কর = ভাস্কর [এখানে 'ভাঃ' এর 'ভ' এর পর 'আঃ' রয়েছে]"
  • তিরঃ + কার = তিরস্কার
  • পরঃ+ পর= পরস্পর
  • স্বতঃ + ফূর্ত= স্বতঃস্ফূর্ত

অঃ বা আঃ থাকলে তার পরে ক্‌, খ্‌, প্‌, ফ্‌ ছাড়াও ত থাকলেও বোধ হয় স হয়, যেমন

  • মনঃ+ তাপ = মনস্তাপ (তবে এখানে ঃ এর আগে ্র নেই, র থাকলে কি হত তার উদাঃ হরণ হয়তো হতে পারেঃ
  • শিরঃ + ত্রাণ= শিরস্ত্রাণ

আবার ইঃ বা উঃ এর পর ক্‌, খ্‌, প্‌, ফ্‌ এর বদলে অন্য কিছু থাকলে ব্যাপারটা অন্যরকম, যেমনঃ

  • দুঃ + গম = দুর্গম
  • নিঃ + ঘণ্ট= নির্ঘণ্ট
  • দুঃ+ চরিত্র = দুশ্চরিত্র
    • নিঃ+ চয় = নিশ্চয়
    • নিঃ + চেষ্ট= নিশ্চেশ্ষ্ট
    • নিঃ + চিহ্ন= নিশ্চিহ্ন
  • নিঃ + ছিদ্র = নিশ্চহিদ্র
  • নিঃ + জন = নির্জন
  • নিঃ+ ঝঞ্ঝাট= নির্ঝঞ্ঝাট

* নিঃ + ঠুর = নিষ্ঠুর

  • নিঃ + তাপ = নিস্তাপ
    • নিঃ + তেজ = নিস্তেজ
  • নিঃ + দল = নির্দল
  • নিঃ+ ধন = নির্ধন
  • দুঃ + নিবার = দুর্নিবার
  • দুঃ + বার = দুর্বার
    • নিঃ + বিরোধ = নির্বিরোধ
  • দুঃ + ভোগ = দুর্ভোগ
    • নিঃ + ভয় =নির্ভয়
  • নিঃ + মল = নির্মল
  • নিঃ + মোহ = নির্মোহ
  • দুঃ + যোধন = দুর্যধন
  • নিঃ + রব = নীরব
  • নিঃ + লোভ = নির্রলোভ
  • আবিঃ + হোত্র = আবির্হোত্র
  • নিঃ + শব্দ = নিঃশব্দ
  • নিঃ + স্তব্ধ = নিস্তব্ধ

অর্থাৎ ইঃ বা উঃ এর পর চ বা ছ সন্ধি থাকলে থাকলে বিসর্গ (ঃ)এর জায়গায় তালব্য-শ হয়; আর যখন অন্য কিছু থাকে যাতে শ, স, ষ কোনটাই হয়না তখন (ঃ)এর জায়গায় র্ (অর্থাত রেফ) হয় --সপ্তর্ষি(আলাপ | অবদান) ০২:২৭, ১০ জুন ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন


দীপায়নদার http://www.stat.wisc.edu/~deepayan/Bengali/translation-aids/docs/banan1.utf-8.txt পাতা থেকে কপি করে রাখা হল। পরে সরিয়ে নেওয়া যাবে।

(খন্ড) ত, বিসর্গ এবং স সংক্রান্ত বানানের নিয়মাবলী


খন্ড-ত (ত্‍) :

১) 'ত' এর উচ্চারণ দুধরনের - একটি ত্‌ (অর্থাত্‍ খন্ড-ত এর মত) অন্যটি 'তো'। শব্দের শেষাংশের উচ্চারণ যদি হয় কৃত্‍,, চিত্‍, জিত্‍, অত্‍, বত্‍, সাত্‍ তবে সেখানে অবশ্যই খন্ড-ত বসবে। যেমন -

পথিকৃত্‍ (শেষাংশের উচ্চারণ 'কৃত্‍') কদ্‌চিত্‍ (শেষাংশের উচ্চারণ 'চিত্‍') সত্যজিত্‍ (শেষাংশের উচ্চারণ 'জিত্‍') পুত্রবত্‍ (শেষাংশের উচ্চারণ 'বত্‍') আত্মসাত্‍ (শেষাংশের উচ্চারণ 'সাত্‍') ভূগোলবিত্‍ (শেষাংশের উচ্চারণ 'বিত্‍')

ইত্যাদি।


২) শব্দের শেষে খন্ড-ত যুক্ত আরো কিছু শব্দ -

জগত্‍ তফাত্‍ পশ্চাত্‍ ভবিষত্‍ অকস্মাত্‍ অর্থাত্‍ ঈষত্‍ বৃহত্‍ যাবত্‍ হঠাত্‍

ইত্যাদি।


৩) শব্দের মধ্যাংশে খন্ড-ত যুক্ত কিছু শব্দ -

উত্‍স উত্‍সব উত্‍সাহ কুত্‍সিত চমত্‍কার চিত্‍কার তত্‍পর তাত্‍ক্ষণিক তাত্‍পর্য বত্‍সর বীভত্‍স সাক্ষাত্‍কার

ইত্যাদি।


ত:

১) 'অতীতে করা হয়েছে' এরকম কিছু বোঝালে শব্দের শেষে 'তো' উচ্চারিত হলে 'ত' বসে। যেমন -

অনুবাদিত [যা অন্যকে দিয়ে অনুবাদ করানো হয়েছে] অনূদিত [যা নিজে অনুবাদ করা হয়েছে] আকাঙ্ক্ষিত [যা আকাঙ্ক্ষা করা হয়েছে] উত্‍পাদিত [যা উত্‍পাদন করা হয়েছে] উন্নত [যার উন্নতি ঘটেছে] কল্পিত [যা কল্পনা করা হয়েছে] কৃত [যা করা হয়েছে] ক্রীত [যা কেনা হয়েছে] গ্রস্ত [যাকে গ্রাস করা হয়েছে] ঘোষিত [যা ঘোষণা করা হয়েছে] চিত্রিত [যা আঁকা হয়েছে] পঠিত [যা পাঠ করা হয়েছে] পরিণত [যা পরিণতি-প্রাপ্ত হয়েছে] বঞ্চিত [যাকে বঞ্চনা করা হয়েছে] বাঞ্ছিত [যাকে বাঞ্ছা করা হয়েছে বা চাওয়া হয়েছে] ব্যবহৃত [যা ব্যবহার করা হয়েছে] যোজিত [যোজনা বা সংযুক্ত করা হয়েছে এমন] লেখিত [যা লেখা হয়েছে] সঞ্চিত [যা সঞ্চয় করা হয়েছে]

ইত্যাদি।


২) 'স্ব' অর্থ 'নিজ'। সেখানে থেকে -

স্বত্ব = স্ব + ত্ব = নিজ + ত্ব = নিজত্ব = মালিকানা


৩) 'সত্‍' অর্থ 'বিদ্যমান'। সেখানে থেকে -

সত্তা = সত্‍ + তা = বিদ্যমান + তা = বিদ্যমানতা সত্ত্ব = সত্‍ + ত্ব = বিদ্যমান + ত্ব = বিদ্যমানতা [অন্তঃসত্ত্বা - অন্তে (অর্থাত্‍ ভেতরে) প্রাণ বিদ্যমান]

'সত্ত্ব' শব্দটির অপর একটি উল্লেখযোগ্য অর্থ হল 'রস'। সেখান থেকেই 'আমসত্ত্ব' ;-)


বিসর্গ:

নতুন নিয়মানুসারে শব্দের শেষে বিসর্গ থাকে না। যেমন -

অংশত অন্তত অহরহ আইনত আপাত- (আপাতদৃষ্টি) আপাতত ইতস্তত ওতপ্রোত কার্যত ক্রমশ তৃতীয়ত দৃশ্যত দ্বিতীয়ত ন্যায়ত পঞ্চমত প্রথমত প্রধানত প্রায়শ -বশত (অভ্যাসবশত) বস্তুত বাহ্যত মূলত সম্ভবত সাধারণত স্পষ্টত স্বভাবত

তবে এই নিয়মের ব্যতিক্রমও আছে। যেমন -

পুনঃপুনঃ মুহুর্মুহুঃ স্বতঃ

ইত্যাদি।


স ও স্ব:

'স' অর্থ 'সহিত'। ফলে যেসব শব্দের অর্থ করলে 'সহিত' বা 'সহ' পাওয়া যায়, তাদের অন্তে 'স্ব' নয় বরং 'স' বসবে। যেমন -

সবিস্তার = স + বিস্তার = বিস্তার সহিত সাক্ষর = স + অক্ষর = অক্ষরজ্ঞান সহিত

'স্ব' অর্থ 'নিজ'। ফলে যেসব শব্দের অর্থ করলে 'নিজ' শব্দটি পাওয়া যায়, তাদের অন্তে 'স' নয় বরং 'স্ব' বসবে। যেমন -

স্বরচিত = স্ব + রচিত = নিজে রচিত স্বাক্ষর = স্ব + অক্ষর = নিজের অক্ষর বা দস্তখত


স্ক ও ষ্ক:

১) ক, খ, প, ফ - এদের পূর্বে 'ইঃ' (অর্থাত্‍ 'িঃ') বা 'উঃ' (অর্থাত্‍ 'ুঃ') থাকলে সন্ধির ফলে উদ্ভূত শব্দে বিসর্গ প্রতিস্থাপিত হবে মূর্ধন্য-ষ দ্বারা। যেমন -


পরিঃ + কার = পরিষ্কার [এখানে 'পরিঃ' এর 'র' এর পর 'িঃ' রয়েছে] নিঃ + পাপ = নিষ্পাপ [এখানে 'নিঃ' এর 'ন' এর পর 'িঃ' রয়েছে]

চতুঃ + পদ = চতুষ্পদ [এখানে 'চতুঃ' এর 'ত' এর পর 'ুঃ' রয়েছে] চতুঃ + ফল = চতুষ্ফল [এখানে 'চতুঃ' এর 'ত' এর পর 'ুঃ' রয়েছে]


২) ক, খ, প, ফ - এদের পূর্বে 'অঃ' বা 'আঃ' (অর্থাত্‍ 'াঃ') থাকলে সন্ধির ফলে উদ্ভূত শব্দে বিসর্গ প্রতিস্থাপিত হবে দন্ত্য-স দ্বারা। যেমন -

পুরঃ + কার = পুরস্কার [এখানে 'পুরঃ' এর 'র' এর পর 'অঃ' রয়েছে] ভাঃ + কার = ভাস্কর [এখানে 'ভাঃ' এর 'ভ' এর পর 'আঃ' রয়েছে]


স্ত ও স্থ:


'মধ্যস্থ' শব্দটি থেকে 'স্থ' বাদ দিয়ে পাওয়া যায় 'মধ্য। 'মধ্য' শব্দটির নিজস্ব অর্থ রয়েছে। 'ত্রস্ত' শব্দটি থেকে 'স্ত' বাদ দিয়ে পাওয়া যায় 'ত্র'। কিন্তু 'ত্র' শব্দটির নিজস্ব কোন অর্থ নেই।

সুতরাং, শেষে 'স্থ' যুক্ত অধিকাংশ শব্দ থেকে 'স্থ' বাদ দিলেও অর্থবোধক শব্দ পাওয়া যায়। কিন্তু শেষাংশে 'স্ত' যুক্ত শব্দসমূহের ক্ষেত্রে একথা সত্য নয়। --বেলায়েত (আলাপ | অবদান) ০৪:০২, ১০ জুন ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

নামস্থান সম্পাদনা

এটাকে মনে হয় উইকিপেডিয়া নামস্থানে সরানো দরকার। সবার কি মত?--জয়ন্ত (আলাপ | অবদান) ০৫:২৩, ১৩ জুন ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

কিন্তু এটা তো কেবল উইকির জন্যই ব্যবহার্য নয়। ব্যকরণের গুরুত্বপূর্ণ একটি নিয়ম এটি। তাই মূল নামস্থানেই থাকতে পারে। --রাগিব (আলাপ | অবদান) ০৫:৫৫, ১৩ জুন ২০০৯ (ইউটিসি)উত্তর দিন

ণত্ব বিধানের উদাহরণ সম্পাদনা

উদাহরণে নবম দশম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে একটি উদাহরণ যোগ করেছি। কিন্তু এতে একটি সমস্যা হয়েছে। দয়া করে দেখবেন কি? --আদিব (আলাপ) ১০:৩৪, ২০ মে ২০১৮ (ইউটিসি) আদিব (আলাপ) ১০:৩৪, ২০ মে ২০১৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন

@Meghmollar2017: কি সমস্যা? --আফতাব (আলাপ) ১৪:৫৯, ২০ মে ২০১৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
@Aftabuzzaman: কবিতার প্রতি বিজোড় লাইনে গণ, মণি, বাণী এবং তূণ শব্দের পর চার-পাঁচ স্পেসের গ্যাপ হবে। --আদিব (আলাপ) ১১:৩৬, ২১ মে ২০১৮ (ইউটিসি)উত্তর দিন
"ণত্ব বিধান ও ষত্ব বিধান" পাতায় ফেরত যান।