ফারাক্কা বন্দর

ফারাক্কা বন্দর হল পশ্চিমবঙ্গের একটি ছোট নদী বন্দর

ফারাক্কা বন্দর বা ফারাক্কা ফ্লোটিং টার্মিনাল হল পশ্চিমবঙ্গের একটি অন্যতম আভ্যন্তরীণ জলপথে অবস্থিত নদীবন্দর[২] এই নদী বন্দরটি ছোট নদী বন্দর।এটি মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা শহরের কাছে অবস্থিত। এই বন্দরের দ্বারা প্রধানত কয়লা আনা হয় ইন্দোনেশিয়া থেকে। প্রথমে বড় জাহাজে করে কয়লা আনা হয় হলদিয়ার কাছে। এরপর বার্জে সেই কয়লা পরিবহন করে ফারাক্কা বন্দরে আনা হয়।[৩] এই বন্দর প্রতি বছর ৩ লক্ষ টন বা ০.৩ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহন করে। বন্দরটির জলের গভীরতা প্রায় ৩.৫ মিটার (১১ ফু)। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের নদীতে নৌপরিবহনের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ফারাক্কা বন্দর ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে।[৪]

ফারাক্কা ফ্লোটিং টার্মিনাল
ফারাক্কা বন্দরের পণ্য খালাস করা হচ্ছে
অবস্থান
দেশ ভারত
অবস্থানফারাক্কা, মুর্শিদাবাদ জেলা, পশ্চিমবঙ্গ
বিস্তারিত
পরিচালনা করেআভ্যন্তরীণ জলপথ পরিবহন সংস্থা
মালিকভারত সরকার
পোতাশ্রয়ের ধরননদীবন্দর
উপলব্ধ নোঙরের স্থান
গভীরতা৩.৫ মিটার (১১ ফু)
প্রধান পণ্য দ্রব্যকয়লা, কোক কয়লা
পরিসংখ্যান
বার্ষিক কার্গো টন১৪ লক্ষ টন (১.৪ মিলিয়ন টন) [২০১৪-২০১৫][১]
কয়লা বহনকারী ছোট জাহাজ বা বার্জ ফারাক্কা বন্দরের উদ্দেশে প্রথম যাত্রা

টার্মিনাল সম্পাদনা

 
ফারাক্কা বন্দরে কয়ালা পরিবহনের মানচিত্র

ফারাক্কা বন্দরে নির্মিত ফ্লোটিং টার্মিনালটি ৪৮০০ বর্গমিটার আয়তন বিশিষ্ট। এটি কয়লা পরিবহনের জন্য নির্মিত হয়েছে। ফারাক্কার টার্মিনালটি ফিডার ক্যানাল এ নির্মাণ করা হয়েছে। এই টার্মিনালটি নির্মাণ করেছে আভ্যন্তরীণ জলপথ পরিবহন সংস্থা। এই টার্মিনাল বা বন্দরে কয়লা পরিবহন করে জিন্দাল গোষ্ঠি। এখানে ১৫০ টন ক্ষমতার ছোট জহাজ বা বার্জ কয়লা নিয়ে নৌঙর করে।

তবে বন্দরের টার্মিনালটি ১৫০০ থেকে ২০০০ টন ডিডব্লিউটি ক্ষমতার জাহাজ নৌঙর জন্য উপযোগি। মনে করা হচ্ছে জলপথটির নাব্যতা সারা বছর থাকলে বন্দরটির পণ্য পরিবহন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। বন্দরটি ও জাতীয় জলপথ ১ সম্পূর্ণ রূপে চালু হলে এই বন্দর দ্বারা ৯ মিলিয়ন টন কয়লা পরিবহনের পরিকল্পনা রয়েছে।

সমস্যা সম্পাদনা

বন্দরটির সবচেয়ে বড় সমস্যা হল ফিডার ক্যানালের ন্যাবত্য হ্রাস বর্তমমানে ভাগীরতী নদীতেও নব্যতা সমস্যা দেখা যাচ্ছে। শুখা মরশুমে নদী ও ক্যানালের গভীরতা আরও কমে। ফলে ব্যয়বাহুল্য ড্রেজিং করার প্রয়োজন হয়। বর্তমানে জাতীয় জলপথ ১ কর্তৃপক্ষ হলদিয়া থেকে ফারাক্কা পর্যন্ত জলপথের গভীরতা ৩.৫ মিটার (১১ ফু) রাক্ষার চেষ্টা করছে।[৫][৬]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "খরচ-ঝঞ্ঝাট কমিয়ে নদীপথই হিট"। eisamay.indiatimes.com। ২৩ জুন ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  2. "রাজ্যে তিনটি নয়া নদীবন্দর" 
  3. "তৈরি ৩ জেটি আর রেলে নয়, জলপথে কয়লা পৌঁছবে ফরাক্কায়"আনন্দবাজার প্রত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  4. "ভারতের ফারাক্কা ও ব্যান্ডেল বন্দর ব্যবহার করতে চায় বাংলাদেশ"। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "নাব্যতা হারিয়েছে ভাগীরথী, ফাঁসল বার্জ"আনন্দবাজার প্রত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ 
  6. "রাজ্যে ১০০০ কোটি টাকা লগ্নি অভ্যন্তরীণ জলপথ পরিবহন দপ্তরের"দুবেলা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা