নোনা জলের কাব্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎প্রদর্শনী: সিয়াটল+
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
৪৫ নং লাইন:
== কাহিনিসংক্ষেপ ==
{{Spoiler}}
''নোনাজলের কাব্য'' ২০০৭ সালে [[ঘূর্ণিঝড় সিডর|ঘুর্ণিঝড় সিডরের]] পর একটি মূল ভূখণ্ড হতে বিচ্ছিন্ন প্রান্তিক জেলেপল্লীর জনগণের পরিবর্তিত পরিবেশে সংগ্রাম ও পাশাপাশি জেলেদের দৈনন্দিন জীবন ও সংস্কৃতিকে ধর্মাশ্রয়ী মানুষের সদা প্রভাবের পটভূমিতে বর্ণিত গল্প।{{r|বণিক}} বাবার মৃত্যুর পর, নতুন কিছু ভাষ্কর্য তৈরীর জন্য রুদ্র ([[তিতাস জিয়া]]) [[ঢাকা|ঢাকার]] কোলাহল ছেড়ে, বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড থেকে একদিনের নৌকা ভ্রমণ দূরত্বে প্রত্যন্ত ম্যানগ্রোভ অঞ্চলের একটি গ্রামে আসেন। গ্রামের চেয়ারম্যান ([[ফজলুর রহমান বাবু]]) ও গ্রামবাসি তাকে স্বাদরে গ্রহণ করে। রূদ্র এই গ্রামে বাশারের(অশোক ব্যাপারি) বাড়ী ভাড়া করে থাকা শুরু করেন। রূদ্র'র আধুনিক ভাবনা আর বানানো প্রায় জীবন্ত ভাষ্কর্যগুলি গ্রামের তরুণদের আলোড়িত এবং বাশারের মেয়ে টুনি (তাসনুভা তামান্না)কে আকৃষ্ট করে। রুদ্র'র প্রতি টুনি'র ভালবাসাকে কেউ ভালভাবে গ্রহণ করে না, বরং ভ্রূকুঞ্চিত দৃষ্টিতে দেখে। জেলে প্রধান এই গ্রামের জনগণ প্রকৃতির প্রতি নির্ভরশীল, সাগরের উত্তাল আচরণে ভীত ও সদা শংকিত। তাদের প্রধান রোজগার আসে [[বর্ষা|বর্ষা মৌসুমে]] ধরা [[ইলিশ মাছ]] বিক্রি করে। সে মৌসুমে জেলেদের জালে খুব বেশি মাছ ধরা দিলনা। জালে বেশি মাছ পাওয়ার জন্য বিশেষ [[নামাজ]] ও মিলাদের আয়োজন করা হয়। গ্রামের বয়োজৈষ্ঠরা মাছের আকালের কারণ হিসেবে রুদ্রের প্রতি দোষারোপ করেন। চেয়ারম্যান ও তার অনুগতরা গ্রামের সবাইকে রুদ্রের সাথে মিশতে মানা করে। রুদ্র প্রতিমূর্তি বানানোয় সাগর আরো উত্তাল হচ্ছে; সৃষ্টিকর্তা তাদের প্রতি সুনজর ফিরিয়ে নিয়েছেন। এসময়রুদ্র জেলেদের বোঝানোর চেষ্ঠা করে জলবায়ুগত পরিবর্তনের কারণে এমৌসুমে বেশি মাছ ধরা পরছে না। পরের মৌসুমে পর্যাপ্ত মাছ ধরা পরলে জেলেরা রুদ্রর প্রতি সহানুভূতি দেখায়। রুদ্র জেলেদের সাথে আবার মিশে যায়, তাদের মৎস্যশিকার দেখতে নৌকার করে সমুদ্রে যায়। কয়েকদিন বাদে দিগন্তের কাছে ঘুর্ণিঝড়[[ঘূর্ণিঝড়]] দানা বাধে। বেতারে ৭ নম্বর বিপদসংকেতের সতর্কবার্তা আসে। চেয়ারম্যান দরিদ্র জেলেদের এই বিপদসংকুল সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য বলে। চেয়ারম্যানের দাদনে জর্জরিত জেলেদের ধর্মের দোহাই দিয়ে বলা হয়, তাদের পূর্ব-পুরুষরা বেতারবার্তা শুনতেন না, তবুই তারা মাছ ধরতেন। রুদ্র জেলেদের উত্তাল সমুদ্রের মাঝে মাছ ধরতে বাঁধা দেয়। নিজেদের জীবন বিপন্ন না করে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া। ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচতে গ্রামের সবাই আশ্রয়কেন্দ্রে জড়ো হয়।
 
== কুশীলব ==