লবণ সত্যাগ্রহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:১৯৩০-এ ভারত যোগ
লবন > লবণ (By FindAndReplace)
৩ নং লাইন:
[[চিত্র:Marche sel.jpg|thumb|right|250px|লবণ কুচকাওয়াজে গান্ধী]]
[[চিত্র:Gandhi Satyagraha.JPG|thumb|250px|লবণ সত্যাগ্রহের সময় জনতার মিছিলে গান্ধী।]]
১৯৩০ সালের ১২ মার্চ '''ডান্ডি পদযাত্রা''' বা '''লবনলবণ সত্যাগ্রহ''' শুরু হয়। এই সত্যাগ্রহ ছিল [[ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন|ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের]] একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। লবণ পদযাত্রা [[ব্রিটিশ ভারত|ঔপনিবেশিক ভারতে]] ব্রিটিশদের একচেটিয়া লবণ নীতির বিরুদ্ধে একটি অহিংস করপ্রদান-বিরোধী প্রতিবাদ আন্দোলন। এই আন্দোলনের মাধ্যমেই [[আইন অমান্য আন্দোলন|আইন অমান্য আন্দোলনের]] সূচনা হয়। ১৯২০-২২ সালের [[অসহযোগ আন্দোলন|অসহযোগ আন্দোলনের]] পর লবণ সত্যাগ্রহই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংগঠিত ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলন। ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি [[ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস]] "[[পূর্ণ স্বরাজ]]" প্রস্তাব গ্রহণ করার অব্যবহিত পরেই এই সত্যাগ্রহের সূচনা ঘটে। [[মহাত্মা গান্ধী]] [[আমেদাবাদ|আমেদাবাদের]] কাছে তার [[সবরমতী আশ্রম]] থেকে ডান্ডি পদযাত্রা শুরু করে ২৪ দিনে ২৪০ মাইল (৩৯০ কিলোমিটার) পথ পায়ে হেঁটে ডান্ডি গ্রামে এসে বিনা-করে সমুদ্রের জল থেকে লবণ প্রস্তুত করেন। বিরাট সংখ্যক ভারতীয় তার সঙ্গে ডান্ডিতে আসেন। ১৯৩০ সালের ৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার সময় গান্ধীজি লবণ আইন ভেঙে প্রথম লবণ প্রস্তুত করেছিলেন। সেই সঙ্গে তার লক্ষাধিক অনুগামীও লবণ আইন ভেঙে ভারতে আইন অমান্য আন্দোলনের সূচনা করলেন।<ref>"Mass civil disobedience throughout India followed as millions broke the salt laws", from Dalton's introduction to Gandhi's ''Civil Disobedience''. Gandhi & Dalton, 1996, p. 72.</ref> এই আন্দোলনের ফলে ভারতের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে ব্রিটিশদের মনোভাব অনেকটাই বদলে যায়।<ref name="Johnson, p. 37">Johnson, p. 37.</ref><ref>Ackerman & DuVall, p. 109.</ref>
 
'''আইন অমান্য আন্দোলন''' হলো ১৯৩০ সালে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে শুরু হওয়া একটি ব্রিটিশ সরকার বিরোধী আন্দোলন। <ref>[https://www.rangpur.gov.bd/site/page/7ec856f3-18fd-11e7-9461-286ed488c766/জেলার%20ঐতিহ্য জেলার ঐতিহ্য] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20190419164807/http://rangpur.gov.bd/site/page/7ec856f3-18fd-11e7-9461-286ed488c766/%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%B0%20%E0%A6%90%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B9%E0%A7%8D%E0%A6%AF |তারিখ=১৯ এপ্রিল ২০১৯ }} বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন</ref> এই আন্দোলনের পটভূমি ছিলো [[সাইমন কমিশন]]।<ref>[https://m.dailyhunt.in/news/india/bangla/sob+khobor-epaper-sobkhobr/1929+haite+1931+sal+paryant+aain+amany+aandolane+mahatma+gandhir+bhumika+-newsid-94410702?listname=topicsList&index=0&topicIndex=0&mode=pwa আইন অমান্য আন্দোলনেে গান্ধীজির ভুমিকা]</ref>
১১ নং লাইন:
 
==দ্বিতীয় পর্যায়==
১৯৩২-১৯৩৪ সালের [[গান্ধি-আরউইন চুক্তি|গান্ধি-আরউইন চুক্তির]] শর্তকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় গোলটেবিল বৈঠকের আলোচনা ব্যর্থ হলে গান্ধিজি ১৯৩১ সালের ২৮শে ডিসেম্বর ভারতে ফিরে এসে দেখলেন গান্ধি-আরউইন চুক্তি লঙ্ঘন করে ব্রিটিশ সরকার দেশজুড়ে দমনমূলক নীতি অনুসরণ করে স্বৈরাচারী শাসন চালাচ্ছেন। উত্তরপ্রদেশে খাজনা বন্ধ আন্দোলন করার সময় পুরুষোত্তমদাস ট্যান্ডন, ভজহরি মাহাতো, জওহরলাল নেহরু, আবদুল গফফর খান ও তার বড়ভাই সহ লালকোর্তা বাহিনীর বহু কর্মী এবং আরও অনেকে গ্রেফতার হন। <ref>[https://www.anandabazar.com/amp/editorial/article-on-freedom-fighter-bhojohari-mahato-1.956545 মানভূমের ইতিহাস এবং ভজহরি মাহাতো] আনন্দ বাজার</ref> এই পরিস্থিতিতে ১৯৩২ সালের ৩ জানুয়ারি গান্ধিজি লবনলবণ সত্যাগ্রহ আন্দোলনের ডাক দেন। ৪ঠা জানুয়ারি গান্ধীজিকে গ্রেফতার করে কারারুদ্ধ করা হয়। কংগ্রেসকে বেআইনি সংগঠন রূপে নিষিদ্ধ করা হয় এবং কংগ্রেসের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। জনসাধারণের ওপর সরকারি নির্যাতন ও দমনমূলক আইন যথেচ্ছভাবে প্রযুক্ত হতে থাকে। সংবাদপত্র সমূহের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণাদেশ বলবৎ হয়। গান্ধি-আরউইন চুক্তি আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে এই চুক্তি ভেঙ্গে দিয়ে আবার আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয় । এবার বাংলা, উত্তরপ্রদেশ, উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। পরবতীতে গান্ধিজি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে অস্পৃশ্য মানুষের স্বার্থে হরিজন আন্দোলনের প্রতি মনোনিবেশ করেন। তিনি ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে [[নিখিল ভারত অস্পৃশ্যতা বিরোধী লিগ]] গঠন করেন। ১৯৩৩ সালের জানুয়ারি মাসে [[হরিজন পত্রিকা]] প্রকাশিত গান্ধিজির এক বক্তব্যেব কারণে ক্ষুব্ধ বর্ণহিন্দুরা পুনায় গান্ধিজির বাড়ি লক্ষ করে বোমা নিক্ষেপ করে। ভেস্তে যায় ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দের আইনসভার মন্দিরে প্রবেশ সংক্রান্ত বিল। অনেকে গান্ধিজির আইন অমান্য আন্দোলন ছেড়ে সরকারপক্ষে যোগ দেয়। <ref>[https://www.alivehistories.com/2019/05/Civil-Disobedience-Movement-during-British-India-in-bengali.html?m=1 আইন অমান্য আন্দোলনের উদ্দেশ্য, কর্মসূচি ও বৈশিষ্ট্য]</ref>
 
==তৃতীয় গোলটেবিল বৈঠক==