হ্যানা সেন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

ভারতীয় রাজনীতি ও শিক্ষাবিদ
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নতুন পাতা
(কোনও পার্থক্য নেই)

০৬:৪৯, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

হ্যানা সেন (১৮৯৪–১৯৫৭) একজন ভারতীয় শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ এবং নারীবাদী ভোটাধিকার আন্দোলনকারী ছিলেন। তিনি ১৯৫২ থেকে ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ভারতের প্রথম রাজ্যসভার (ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ) সদস্য এবং ১৯৫১-৫২ খ্রিস্টাব্দে সর্বভারতীয় মহিলা সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন। তিনি দিল্লির লেডি আরউইন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম পরিচালক ছিলেন। তিনি মহিলাদের অবস্থার বিষয়ে জাতিসংঘের এবং ইউনেস্কো কমিশনে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং ভারত বিভাজনের পরে নারী ও শিশু শরণার্থীদের পুনর্বাসনের বিষয়ে ভারত সরকারের একজন উপদেষ্টা ছিলেন।

প্রথম জীবন

হ্যানা সেন ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে হান্না গুহ নামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা পেয়ারী মোহন গুহ ছিলেন একজন আইনজীবী এবং মা সিমচা গুব্বে ছিলেন একজন বাগদাদী ইহুদি মহিলা। পরবর্তীতে তার বাবা ইহুদি ধর্মে ধর্মান্তরিত হলে হ্যানা ও তার তিন ভাইবোন ইহুদি বিশ্বাসে বেড়ে ওঠেন। হ্যানার বোন রেজিনা গুহও একজন আইনজীবী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন এবং মহিলাদের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির অনুমতি দেওয়ার জন্য ভারতের প্রথম মামলাটি লড়েছিলেন। ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে হ্যানা মুম্বাইয়ের রেডিওলজিস্ট সতীশচন্দ্র সেনকে বিয়ে করেন। তাদের শান্তা নামে এক কন্যা ছিল, যে ভারতে এবং পরবর্তীতে ব্রাইন মাওর কলেজে পড়াশোনা করে।

হ্যানা সেন কলকাতার প্র্যাট মেমোরিয়াল স্কুল এবং ডায়োসেসন কলেজে পড়াশোনা করেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অফ আর্টস এবং আইন, উভয়েই প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবন

স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর কলকাতার ইহুদি গার্লস স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তার বোন রেজিনা গুহ সেই কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন, যিনি পরবর্তীতে ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে মুম্বায়ের একটি গার্লস স্কুলের প্রিন্সিপাল হন।

১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে তার বিয়ের পর, তিনি তার স্বামীর সঙ্গে ইংল্যান্ডে ভ্রমণ যান এবং উভয়েই সেখান থেকে স্নাতক শিক্ষা গ্রহণ করেন। সেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষকতার জন্য ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন এবং সেখানে রিসার্চ ফেলো হিসেবে মনোবিজ্ঞানী এবং অধ্যাপক চার্লস স্পিয়ারম্যানের সঙ্গে কাজ করেন। লন্ডনে থাকাকালীন সেন প্রকাশ্যে নারীশিক্ষার পক্ষে আন্দোলন করেন এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সদস্যদের কাছে ভারতে মহিলাদের চ্যালেঞ্জ এবং অবস্থার উপর ভাষণ দেন। তিনি লন্ডনে ব্রিটিশ কমনওয়েলথ লিগের পাশাপাশি ইন্টারন্যাশনাল এলায়েন্স অফ উইমেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইন্দো-ব্রিটিশ মিউচুয়াল ওয়েলফেয়ার লিগের প্রতিষ্ঠা করেন। এই মহিলা সংগঠনটি ব্রিটিশ এবং ভারতীয় নারী ভোটাধিকার আন্দোলনকারীদের শিক্ষার প্রকল্প নিয়ে একটি সঙ্গবদ্ধ নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়।

তথ্যসূত্র