নীরজা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
অ হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় চলচ্চিত্র যোগ |
|||
২৫ নং লাইন:
'''''নীরজা''''' ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত [[হিন্দি]]-ভাষায় নির্মিত একটি ভারতীয় [[biographical film|জীবনী]] [[thriller (genre)|থ্রিলার]] চলচ্চিত্র। [[রাম মাধবানি]] পরিচালিত এই ছবির কাহিনীকার [[সাইওয়াইন কাদ্রাস]] এবং সংযুক্তা চাওলা। [[অতুল কাসবেকর]] এর সংস্থা ব্লিং আনপ্লাগড এবং [[ফক্স স্টার স্টুডিও]] প্রযোজিত ছবিতে [[সোনম কাপুর]] শিরোনাম তথা মুখ্য চরিত্রে আছেন এবং সহঅভিনেতার ভূমিকায় রয়েছেন [[শাবানা আজমি]], [[যোগেন্দ্র টিকু]] এবং [[শেখর রাভজিয়ানী]]।
এই চিত্রের পটভূমিটি বাস্তব জীবনের ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে: ১৯৮৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর [[লিবিয়ান]]-সমর্থিত [[আবু নাইদাল অরগানাইজেশন]] [[প্যান এএম ফ্লাইট ৭৩]] হাইজ্যাক করে [[পাকিস্তান]] এর [[করাচি]] তে। ছবিটি ফ্লাইটের [[Purser#Aircraft|
ব্লিং আনপ্লাগড এবং ফক্স স্টার স্টুডিও নির্মিত এই চলচ্চিত্রের জন্য কাসবেকর ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে মাধবানি ও কাপুরকে চুক্তিবদ্ধ করেন। সাইওয়াইন কাদ্রাস এবং সংযুক্তা চাওলা চিত্রনাট্য রচনার কাজ করেছিলেন। মূল ফটোগ্রাফি [[মুম্বাই]] তে করা হয়েছিল। ছবিতে [[প্রসূন জোশী]] রচিত গানের সাথে বিশাল খুরানার সংগীত রয়েছে। ''নীরজা'' ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাওয়ার পর সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়েছিল এবং নায়িকা প্রধান চরিত্রে সর্বাধিক উপার্জনকারী [[বলিউড]] চলচ্চিত্রের একটি হয়ে ওঠে। ছবিটি বক্স অফিসে {{INRConvert|135.52|c}} উপার্জন করেছে।
কাপুরের অভিনয় ও মাধবানি পরিচালনার জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত এই ছবিটি বলিউডের নানা সংস্থা থেকে বেশ কিছু প্রশংসা ও সম্মান কুড়িয়েছে। [[৬৪ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার]] এ [[National Film Award for Best Feature Film in Hindi
== পটভূমি==
২২ বছর বয়সী [[নীরজা ভানোট]] ([[সোনম কাপুর]]) এক সন্ধ্যায় একটি ঘরের পার্টিতে দেরি করে আসেন। তাঁর মা রমা ([[শাবানা আজমি]]) ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসাবে নীরজার চাকরি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং নীরজাকে পরামর্শ দেন যে তাঁর উচিত পুরানো মডেলিং কেরিয়ারেই ফিরে আসা। নীরজা নিজের (বর্তমান) কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য জোর দেন। তাঁর বয়ফ্রেন্ড জয়দীপ ([[শেখর রাভজিয়ানী]]) ড্রাইভ করে তাঁকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেন।
বিমান চলাকালীন নীরজা [[কাতার]] এর [[দোহা]]য় এক পেশাদার নরেশের ([[কবি শাস্ত্রী]]) সাথে তাঁর অসুখী ব্যবস্থা বিয়ে (অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ) নিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রতিফলন তুলে ধরেন। অল্প যৌতুক এবং গৃহকর্মে অক্ষমতার কারণে তাঁকে নির্যাতন করা হয়েছিল। তিনি শেষ পর্যন্ত একটি মডেলিং চুক্তির জন্য দেশে ফিরে আসেন। নরেশ তাঁর বাবা-মাকে যৌতুক এবং তাঁদের মেয়ের গৃহকর্মে দক্ষতার অভাবের অভিযোগ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল। তাতে সে আরও দাবি করে ছিল নীরজা হয় টাকা নিয়ে আসুন নতুবা যেন আদৌ আর ফিরে না আসেন। নীরজা নরেশকে ত্যাগ করে [[Pan American World Airways
ইতিমধ্যে প্রকাশ পায় নীরজার বোর্ড [[প্যান অ্যাম ৭৩]] কে লিবিয়া প্রোষিত [[Palestine (region)
যখন এক [[ভারতীয় আমেরিকান]] যাত্রী নিজেকে আমেরিকান হিসাবে প্রকাশ করেন তখন একজন সন্ত্রাসী তাঁকে হত্যা করে তাঁর লাশ বিমান থেকে পাকিস্তানি মধ্যস্থতাকারীদের সামনে ফেলে দেয়। সন্ত্রাসীরা নীরজাকে আন্তঃযোগে (ইন্টারকম) একটি ঘোষণার আদেশ দিয়ে যাত্রীদের মধ্যে থেকে এক জন রেডিও ইঞ্জিনিয়ার সন্ধানের চেষ্টা করে। পাকিস্তানি বেতার প্রকৌশলী ইমরান আলী (শশী ভূষণ) যখন উঠে দাঁড়াতে শুরু করেন তখন নীরজা তাঁকে বসার ইঙ্গিত করেন। সন্ত্রাসীরা বিমানে আমেরিকান যাত্রীদের শনাক্ত করতে এবং তাদের জামিন করে রাখার জন্য সমস্ত পাসপোর্ট সংগ্রহ করে; নীরজা এবং তাঁর সহকর্মীরা পাসপোর্টগুলি সংগ্রহ করেন। কোনও আমেরিকান পাসপোর্ট পেলে ট্র্যাশ চিটে ফেলে দিয়ে বা সিটের নীচে লুকিয়ে দিয়ে তাঁরা তাঁদের সাধ্যমতো নিষ্পত্তির চেষ্টা করেন। কোনও আমেরিকান পাসপোর্ট না পেয়ে হতাশ ছিনতাইকারীরা এক ব্রিটিশ যাত্রীকে সনাক্ত করে তাঁকেই জামিন করে।
৪২ নং লাইন:
পাকিস্তানি আলোচকরা অজান্তেই রেডিও ইঞ্জিনিয়ার আলীর নাম প্রকাশ করে ফেলেন। রেডিওকে আলোচনার জন্য ব্যবহার করতে তাঁকে ছিনতাইকারীরা ককপিটে নিয়ে আসে। এদিকে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ সময় ব্যায় করার জন্য স্টল দেওয়ার চেষ্টা করে। যখন এক ছোট সন্ত্রাসী যাত্রীদের উপর হামলা করে এবং পরিচারকদেরকে বিদ্রূপ করে তখন সন্ত্রাসী নেতা তাকে শাস্তি দেয়। লাঞ্ছিত কনিষ্ঠ সন্ত্রাসী ককপিটে ঝড় তুলে আলীকে গুলি করে রেডিওতে তুমুল হুমকি দিয়ে চিৎকার করতে থাকে। পাকিস্তানি বিমান নিয়ন্ত্রণকারীদের সাথে আলোচনার টানাপড়েনের সময় আলোচকরা আস্তে আস্তে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকে আর ছিনতাইকারীরা মিনিটের মধ্যে আরও উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
প্রায় ১৭
চলচ্চিত্রটি নীরজার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় যাঁকে শেষ অবধি [[Ashoka Chakra (military decoration)
== মন্তব্য==
|