গিরিজাশঙ্কর চক্রবর্তী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
নকীব বট (আলোচনা | অবদান)
{{কাজ চলছে}}/{{ব্যবহার হচ্ছে}} ট্যাগ অপসারণ (পরীক্ষামূলক)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২১ নং লাইন:
== প্রাথমিক জীবন ==
 
গিরিজাশঙ্করের জন্ম বহরমপুরের এক বনেদী পরিবারে ১৮৮৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর । সঙ্গীতশিল্পী না হলে, গিরিজাশঙ্কর হয়তোহয় চিত্রশিল্পী অথবা সুদক্ষ অভিনেতা হতে পারতেন। তার বাবা ভবানীকিশোর ছিলেন সে কালের খ্যাতনামা আইনজীবী এবং উদারপন্থী । বহরমপুরে প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করে, গিরিজাশঙ্কর সরকারি আর্ট স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন এবং নিজের অনন্য শিল্প প্রতিভার পরিচয় দিয়েছিলেন সেখানে। থিয়েটারের প্রতিও তার সমান আগ্রহ ছিল। অভিনয়ে ছিল তার সাবলীল দক্ষতা।
=== সঙ্গীত শিক্ষা ===
আনুমানিক ১৯০৪ নাগাদ গিরিজাশঙ্কর তালিম নিতে শুরু করেন বিষ্ণুপুর ঘরানার নামী শিল্পী [[রাধিকাপ্রসাদ গোস্বামী]]র কাছে। টানা আট বছর চলে তার এই ধ্রুপদ-ধামারের তালিম। শিষ্য গিরিজাশঙ্করের ধ্রুপদাঙ্গের গানে সুর বিস্তারে স্বয়ং রাধিকাপ্রসাদও মুগ্ধ হয়ে যেতেন। ১৯১২ সাল নাগাদ গিরিজাশঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ হয় [[শ্যামলাল ক্ষেত্রী]]র যিনি তদানীন্তন কলকাতার অন্যতম নামী একজন সঙ্গীতশিল্পী। সে সময় শ্যামলালের বাড়িতে আসতেন [[ভাইয়া গণপত রাও]] সাহেব, [[মওজুদ্দিন খান]], [[আলাউদ্দিন খান]] প্রমুখ অন্যান্য বিখ্যাত সঙ্গীতসাধকরা । শোনা যায়<ref>?</ref>, গিরিজাশঙ্কর মওজুদ্দিন খানের কাছে তালিম নিয়েছিলেন [[বন্দিশি]] বা বোল-বানাও ঠুমরির। বহরমপুরেরে মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতায় গিরিজাশঙ্কর দিল্লি দরবারে গান গাইতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে তার গান শুনে মুগ্ধ হয়ে তাকে শিষ্য রূপে গ্রহণ করেন প্রবাদপ্রতিম শিল্পী [[মুজফ্ফর খান]]। এর পর গিরিজাশঙ্কর রামপুরে গিয়ে উস্তাদ মহম্মদ আলি খান ও ছম্মন খাঁ সাহেবের কাছে সঙ্গীত শিক্ষা গ্রহণ করেন। গিরিজাশঙ্কর ধ্রুপদের তালিম নিয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন খাঁ সাহেবের কাছে, খেয়াল শিখেছিলেন এনায়েৎ হুসেন খাঁ সাহেবের কাছে আর ঠুমরির তালিম পান গণপৎ রাও সাহেবের কাছে। এ ছাড়াও গান শিখেছিলেন ওয়াজির খান (রামপুর), গ্বালিয়রের এনায়েৎ হুসেন খান, লখনউয়ের বড়ে মুন্নে খানের কাছেও। ১৯১৯ নাগাদ উস্তাদ বদল খান কলকাতায় বসবাস শুরু করেন। সেই সময় গিরিজাশঙ্কর তার কাছে খেয়ালের রাগ বিস্তারের জটিল বিষয়ে তালিম নেন।