ডেইজি ইরানি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

'''ডেইজি ইরানী''' (জন্ম: ১৯৫০) হলেন [[হিন্দি ভাষা|হিন্দি]] এবং [[তেলুগু ভাষা|তেলুগু ভাষার]] চলচ্চিত্রের একজন [[ভারতীয়]] [[অভিনেত্রী]]। তিনি ১৯৫০ এবং ১৯৬০-এর দশকে একজন জনপ্রিয় শিশু অভিনেত্রী ছিলেন। তিনি ''বন্দিশ'' (১৯৫৫) ''[[এক হি রাস্তা (১৯৫৬-এর চলচ্চিত্র)|এক হি রাস্তা]]'' (১৯৫৬), ''[[নয়া দৌড় (১৯৫৭-এর চলচ্চিত্র)|নয়া দৌড়]]'' (১৯৫৭), ''[[হাম পঞ্ছি এক ডাল কে]]'' (১৯৫৭), ''[[জেইলর (১৯৫৮-এর চলচ্চিত্র)|জেইলর]]'' (১৯৫৮), ''[[কয়েদি নং ৯১১]]'' (১৯৫৯) এবং ''[[দো উস্তাদ (১৯৫৯-এর চলচ্চিত্র)|দো উস্তাদ]]'' (১৯৫৯)-এর মতো হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অধিক পরিচিতি লাভ করেছিলেন। পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসাবে তিনি ''[[কটি পতঙ্গ|কটি পতঙ্গে]]'' অভিনয় করেছিলেন। তিনি [[স্টার প্লাস|স্টার প্লাসে]] প্রচারিত জনপ্রিয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান [[শারারত (টেলিভিশন ধারাবাহিক)|''শারারত'']]-এ রাণী দেবীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

ডেইজী ইরানি ১৯৫০ সালে [[ভারত|ভারতের]] একটি [[জরাথুস্ট্রবাদ|জরাথুস্ট্রীয়]] পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর মাতৃভাষা হচ্ছে [[গুজরাটি ভাষা|গুজরাটি]]। তিনি তাঁর তিন বোনের মধ্যে সবার বড়, তাঁর বোন দুই জন হচ্ছেন [[হানি ইরানি]] এবং মেনকা ইরানি। তাঁর ছোট বোন হানি, যিনি একজন শিশু তারকা ছিলেন, গীতিকার এবং লেখক [[জাভেদ আখতার|জাভেদ আখতারের]] সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন এবং তিনি [[ফারহান আখতার]] এবং [[জোয়া আখতার|জোয়া আখতারের]] মা। ডেইজীর অন্য বোন মেনকা চলচ্চিত্র নির্মাতা কামরান খানের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.telegraphindia.com/1071007/asp/7days/story_8405201.asp|শিরোনাম='I told Shah Rukh..|তারিখ=7 October 2007|প্রকাশক=The Telegraph|সংগ্রহের-তারিখ=17 December 2013}}</ref> এবং তিনি চলচ্চিত্র নির্মাতা [[সাজিদ খান (পরিচালক)|সাজিদ খান]] এবং [[ফারাহ খান|ফারাহ খানের]] মা।

ডেইজি চিত্রনাট্যকার কে. কে. শুক্লা (যিনি একজন হিন্দু [[ব্রাহ্মণ (বর্ণ)|ব্রাহ্মণ]]) র সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ২১শে জানুয়ারি তারিখে মাত্র ২১ বছর বয়সে বিবাহ করেছিলেন। শিশু শিল্পী হিসাবে অভিনয় জীবন শেষ করার পর তিনি প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেত্রী হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করার কোনও প্রচেষ্টা করেননি; উক্ত সময়ে তিনি নিজেকে স্বামী এবং পরিবারের প্রতি নিবেদিত করেছিলেন। তাঁর তিন সন্তান রয়েছে, কবীর নামে একটি ছেলে এবং দুই মেয়ে বর্ষা ও রিতু। তাঁর সন্তানদের কেউই কোন ভাবে বিনোদন শিল্পের সাথে জড়িত হননি।

যদিও একজন জরাথুস্ট্রীয় হিসেবে জন্মগ্রহণ করেছেন, তবে একজন [[হিন্দু|হিন্দুর]] সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও ডেইজি পরবর্তী জীবনে [[খ্রিস্ট ধর্ম|খ্রিস্টধর্মে]] আগ্রহী হয়ে ওঠেন। ১৯৭৫ সালে, তিনি মুম্বইয়ের নিউ লাইফ ফেলোশিপের একজন সদস্য হন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://www.christianmessenger.in/i-knew-nothing-about-jesus-christ-earlier-daisy-irani-shukla/|শিরোনাম=I knew nothing about Jesus Christ earlier: Daisy Irani Shukla|তারিখ=8 November 2013|প্রকাশক=The Christian Messenger|সংগ্রহের-তারিখ=17 December 2013}}</ref>

২০১৮ সালে, ডেইজি প্রকাশ করেছিলেন যে ''[[হাম পঞ্ছি এক ডাল কে]]'' (১৯৫৭) তৈরির সময় তাঁর "অভিভাবক" দ্বারা মাত্র ৬ বছর বয়সে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.ndtv.com/entertainment/actress-daisy-irani-reveals-she-was-raped-at-6-by-man-appointed-as-her-guardian-1827619|শিরোনাম=Actress Daisy Irani Reveals She Was Raped At 6 By Man Appointed As Her 'Guardian'|ওয়েবসাইট=NDTV.com}}</ref>

১৯৭১ সালে বিয়ের পরে তিনি চলচ্চিত্র ছেড়ে দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে তাঁর সর্বশেষ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেয়েছিল; যার নাম ছিল ছবিটি ''[[কটি পতঙ্গ|কটি পতঙ্গ]]''। ১৯৮০-এর দশকে, তিনি মঞ্চ নাটকে বেশ কিছু দিন কাজ করেছিলেন এবং তাঁর নিজস্ব একটি অভিনয় স্কুল করেছিলেন। ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে, তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পরে তিনি কৌতুক বিষয়ক টেলিভিশন ধারাবাহিক ''[[দেখ ভাই দেখ]]'', ''আস্থা'' (১৯৯৭), ''কেয়া কহনা'' এবং ''শারারত'' (২০০২)-এর মতো ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন।<ref name="today">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://indiatoday.intoday.in/story/thirty-newsmakers-from-the-pages-of-indian-history/1/181091.html|শিরোনাম=Lost and found: Thirty newsmakers from the pages of Indian history and where they are now: Cover Story|তারিখ=3 July 2006|প্রকাশক=India Today|সংগ্রহের-তারিখ=16 December 2013}}</ref>

* পিভি আরিয়েল, টাইমস গ্রুপের ক্রিস্টিয়ান ইন ইন্ডিয়া: ৩য় সংস্করণ, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯: