মেহেরগড়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
Ishtiak Mortuza (আলোচনা | অবদান)
→‎প্রথম পর্যায়: উইকিপিডিয়ার ইংরেজি নিবন্ধ হতে অনুবাদ করে বিষয়বস্তু সংযোজন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫১ নং লাইন:
 
== প্রথম পর্যায় ==
মেহেরগড় সভ্যতার প্রথম পর্যায় (৭,০০০ - ৫,৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ) ছিল মৃৎশিল্পপূর্ব [[নব্যপ্রস্তরযুগ|নব্যপ্রস্তরযুগীয়]] (aceramic neolithic)। কিছু অর্ধ-যাযাবর জাতির লোক [[গম]] ও [[যব]] চাষ এবং [[ভেড়া]], [[ছাগল]] ও [[গাভী]] জাতীয় [[গবাদিপশু]] পালনের মাধ্যমে এই অঞ্চলের প্রাথমিক কৃষিব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। এখানকার অধিকাংশ ঘরবাড়ি ছিল চার কামরাবিশিষ্ট কাদামাটির তৈরি। এখানে বেশকিছু কবরের সন্ধান পাওয়া গেছে, যার ভেতরে ছিল ঝুড়ি, পাথর এবং হাড়ের সরঞ্জাম, জপমালা, চুড়ি, দুল এবং মানুষ ছাড়াও মাঝেমধ্যে বলি দেওয়া পশুর কঙ্কাল ইত্যাদি। এখানে প্রাপ্ত প্রত্নবস্তুর মধ্যে রয়েছে [[ঝিনুক|ঝিনুকের খোল]], [[চুনাপাথর]], [[Turquoise|টারকোয়েজ]], [[Lapis lazuli|ল্যাপিস লাজুলি]] এবং [[Sandstone|বেলেপাথরের]] [[অলঙ্কার]], বিভিন্ন প্রাণী ও নারীর মূর্তি ইত্যাদি। সমুদ্রতীর ও বর্তমান আফগানিস্তানের [[বাদাখশান]] (লাপিস লাজুলির মূল উৎস) থেকে এত দূরে ঝিনুকের খোল ও লাপিস লাজুলির প্রাপ্তি ঐসব অঞ্চলের সাথে এই সভ্যতার যোগাযোগের প্রমাণ দেয়। একটা কবরের মধ্যে একটা এবং উপর থেকে আরও বেশ কয়েকটা একপৃষ্ঠীয় প্রস্তর কুঠার (single ground [[Hand axe|stone axe]]) পাওয়া গিয়েছিল, যা [[দক্ষিণ এশিয়া|দক্ষিণ এশিয়ায়]] প্রাপ্ত এজাতীয় প্রাচীনতম নিদর্শন।
মেহেরগড় সব থেকে পুরনো বসতিটির প্রথম পর্যায়ের সময়সীমা হল আনুমানিক ৭০০০ থেকে ৫৫০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। এখানে দেখা যায়, রোদে শুকনো কাঁচা ইটের বাড়ি যাতে রয়েছে একাধিক কামরা। এখানে খুঁজে পাওয়া গেছে সাস পাস ও পশুপালন এর প্রমাণ, শিকারের নিদর্শন মৃতদেহের সমাধি ইত্যাদি। প্রথম পর্যায়ের শেষ দিকে এখানকার বাড়িঘর গুলির আয়তন বাড়ে ও মৃৎপাত্রের প্রচলন হয়। একটি বাড়ির এক ঘরে পাওয়া গেছে বাটনা বাতার শিল্প এবং অন্য ঘরে উনুন। পাথ ওর হাড়ের কিছু হাতিয়ার ও উদ্ধার করা হয়েছে। সমাধিগুলি ছোট-বড় উভয় আয়তনেরই হত। শব দেহের সঙ্গে রাখা হতো সামুদ্রিক ঝিনুক এর তৈরি জিনিসপত্র পাথরের পুঁটি, হাড়ের আংটি, তামার পুটিঁ, পাথরের বাতি, পালিশ করা পাথরের কুড়াল, পাথরের ছোটো ছোটো হাতিয়ার, ছাগলের কঙ্কাল ইত্যাদি।
 
মেহেরগড়ের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায় [[কিলি গুল মোহাম্মদ]] নামক আরেকটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের সমকালীন, তাই এ অঞ্চলের মৃৎশিল্পপূর্ব নবপ্রস্তরযুগীয় পর্যায়কে (৭,০০০ - ৫,০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) এখন 'কিলি গুল মুহাম্মাদ পর্যায়' বলা হয়, যদিও কিলি গুল মুহাম্মাদ স্থানটি ৫,৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের। [https://books.google.ca/books?id=HbvTBAAAQBAJ&pg=PA387#v=onepage&q&f=false]
 
২০০১ সালে প্রত্নতাত্ত্বিকেরা প্রাচীন মেহেরগড় সভ্যতার দু'জন লোকের দেহাবশেষ নিয়ে গবেষণাকালে আবিষ্কার করেন, এই সভ্যতার লোকেরা আদি দন্তচিকিৎসা সম্পর্কে জানতো। ২০০৬ সালের এপ্রিল মাসে বৈজ্ঞানিক জার্নাল "নেচারে" ঘোষণা করা হয়, জীবিত মানুষের দাঁত বাঁধানোর প্রাচীনতম (এবং প্রথম প্রারম্ভিক নবপ্রস্তরযুগীয়) প্রমাণ মেহেরগড়ে পাওয়া গেছে। লেখকদের মতে, তাদের আবিষ্কার ঐ অঞ্চলের প্রারম্ভিক কৃষিভিত্তিক সভ্যতার আদি দন্তচিকিৎসার ঐতিহ্যকে নির্দেশ করে। "এখানে আমরা পাকিস্তানের নবপ্রস্তরযুগীয় গোরস্থানে আবিষ্কৃত নয়জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির এগারোটি বাঁধানো [[দাঁত|দন্তমুকুট]] বর্ণনা করেছি যা ৫,৫০০ থেকে ৯,০০০ বছর আগের। এগুলো প্রারম্ভিক কৃষিভিত্তিক সভ্যতায় এক প্রকার আদি দন্তচিকিৎসার দীর্ঘ ঐতিহ্যের প্রমাণ।" [https://www.nature.com/articles/440755a]
 
== তথ্যসূত্র ==