রজব আলী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

১৮৫৭ সালের ১২ নভেম্বর চট্টগ্রামে ৪শত সিপাহী ৩৪বেঙ্গল রেজিমেন্ট এদেশীয় সৈনিক বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দেন। চট্টগ্রামের সিপাইদের মধ্যে ব্যারাকপুরের সিপাইদের একটা দলও ছিলো, ধারনা করা হয় তারাই সেখান থেকে তারা বিদ্রোহের অগ্নিমন্ত্র বহন করে নিয়ে এসেছিল। সিপাহীরা অস্ত্রাগার এবং ট্রেজারীতে হামলা করে অস্ত্র এবং রসদপাতি সংগ্রহ করে। <ref>The Political History of Muslim Bengal: An Unfinished Battle of Faith (page 46) by Mahmudur Rahman, , cambridge scholars publishing, 2019, NE6 2PA, UK</ref>,<ref>Further Papers (Number 9 in continuation of Number 7), Insurrection in the East Indies, Presented to both the Houses of Parliament, Enclosure in Number 5. BLOC; Special Narrative of Events Dated 5 December 1857, p. 326-27, WBSA.</ref> ঐ সময় বেশ কিছু অফিসার হতাহতের ঘটনা ঘটে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://timesofindia.indiatimes.com/articleshow/4637780.cms?utm_source=contentofinterest&utm_medium=text&utm_campaign=cppst|শিরোনাম=Rare 1857 reports on Bengal uprisings}}</ref> বৃটিশ সৈন্যরা আতংকে সমূদ্রে জাহাজে আশ্রয় নেয়।<ref>Judicial Proceedings Number 384, 17 September 1857, Government of Bengal, WBSA.</ref> ঐদিন চট্টগ্রাম ৩০ ঘণ্টা বৃটিশ শাসন থেকে মুক্ত ছিল। বিদ্রোহীরা স্থির করেছিল যে, তারা ইংরাজের রাজত্ব ছেড়ে স্বাধীন ত্রিপুরার নিরাপদ অঞ্চলে গিয়ে আশ্রয় নেবে। বিদ্রোহী সিপাইদের পরিচালনার ভার এসে পড়ল হাবিলদার রজব আলী খাঁর উপরে। বেঙ্গর রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন পি এইচ কে ডেওলের রিপোর্টে স্থানীয় সূত্রের বরাতে বলা হয় রজব আলী বিদ্রোহী বাহিনীকে নিয়ে সেইফেনী পথেইনদী পরিচালিতপার করলেন।হয়ে ত্রিপুরা সীমানার দিকে যাত্রা করেছেন।<ref>১৮৫৮ সালে প্রকাশিত The Mutiny of Indian Army থেকে সংকলিত</ref> তবে তার আগেই চট্টগ্রামের কমিশনার ত্রিপুরা রাজার কাছে সংবাদ পাঠালেন, বিদ্রোহী সিপাইদের প্রতিহত করার জন্য সংবাদ পাঠালেন।জন্য। ত্রিপুরার রাজা ঈংরেজদেরইংরেজদের সাথে হাত মিলিয়ে বিদোহীদের ঠেকানোর জন্য প্রস্ততি নেয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://muktobuli.com/%e0%a7%a7%e0%a7%ae%e0%a7%ab%e0%a7%ad-%e0%a6%b8%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a6%b9%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a7%8b%e0%a6%b9-%e0%a6%89%e0%a6%aa/|শিরোনাম=১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ, উপনিবেশবাদ এবং হাবিলদার রজব আলি, জানুয়ারি ৯, ২০১৮}}</ref> বিদ্রোহীরা সীতাকুন্ড হয়ে ২রা ডিসেম্বর তারিখে ‘স্বাধীন’ ত্রিপুরার প্রবেশদ্বারে গিয়ে পৌঁছল। গিয়ে দেখল, বহু সশস্ত্র সৈন্য সেখানে তাদের প্রতিহত করার জন্য অপেক্ষা করছে। বাধ্য হয়ে বিদ্রোহীরা কুমিল্লার পাহাড়ি এলাকার দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। কিন্তু ত্রিপুরার সেনাবাহিনী তাদেরকে ধাওয়া করে।<ref>স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম, পূর্নেন্দু দস্তিদার, বইঘর প্রকাশিনী, অক্টোবর ১৯৬৭</ref> অতপর বিদ্রোহীরা দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে মণিপুর রাজ্যের সীমানারকাছাকাছি মধ্যেসিলেট পৌঁছেপৌছে গেল।যায়। এরপরেওসীমান্তবর্তী শ্রীহট্টেরএলাকায় সিপাইদেরসিলেট সঙ্গেলাইট তাদেরইনফ্যান্ট্রির দু’বারমেজর যুদ্ধবাইং হয়।সেখানে আক্রমণেরবিদ্রোহীদের আশঙ্কায়উপরে শেষহামলা পর্যন্তকরে। তাদেরতীব্র পার্বত্যযুদ্ধে অঞ্চলেমেজর গিয়েবাইং আশ্রয়নিহত নিতেহন হয়।এবং পরতার পরঅধীন কয়েকটাইংরেজ যুদ্ধেবাহিনী তাদেরপরাজিত পক্ষেরহয়।<ref>Rethinking অনেক1857, লোকSabyasachi মারাBhattacharya, যায়!Indian যারাCouncil বেঁচেof ছিলোHistorical Research Orient Longman, তাদেরও2007 বাইরে- বেরিয়েIndia আসবার</ref> কোনোইএরপরেও পথইংরেজ ছিলোও না।স্থানীয় এইবাহিনীর দুর্গমসাথে পার্বত্যসঙ্গে প্রদেশেতাদের তারাখন্ড আটকখন্ড পড়েযুদ্ধ গেল।হয়। তার পর পর কয়েকটা যুদ্ধে তাদের কীপক্ষের হয়েছিল,অনেক সেলোক ইতিহাসমারা কেউযায়! জানেযারা না।বেঁচে ’ছিলো আক্রমণের তীব্রতায় শেষ পর্যন্ত তাদের পার্বত্য অঞ্চলে গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়।<ref>(সত্যেন সেনঃ মহাবিদ্রোহের কাহিনী, পৃ ১৫৫-১৫৯)</ref>