ইসলাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
পরিষ্কারকরণ
৩ নং লাইন:
'''ইসলাম''' ([[আরবি ভাষা|আরবি]]:আল-ইসলাম,[ ] {{IPA-ar|الإسلام‎‎||ar-al_islam.ogg}}[[রোমান্স ভাষাসমূহ|রোমান হরফে]]:al-Islām [____])<ref group=টীকা>ইংরেজি ভাষায় ''ইসলাম'' (al-Islām) শব্দটির দশটি উচ্চারণ রয়েছে। উচ্চারণের সময় আক্ষরিকভাবে কোন 'সিলাবলটির উপর জোর দেয়া হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে এই আলাদা আলাদা উচ্চারণগুলো প্রচলিত হয়েছে। এখানে বাংলা একাডেমি অভিধানের উচ্চারণদুটি দেয়া হল। ইউ.এস([[চিত্র:বাংলা একাডেমি অভিধানে ইসলাম শব্দের উচ্চারণ (ইউ এস).png|alt=চিত্র:বাংলা_একাডেমি_অভিধানে_ইসলাম_শব্দের_উচ্চারণ_(ইউ_এস)|ফ্রেমহীন|58x58পিক্সেল]]), ইউ.কে([[চিত্র:বাংলা একাডেমি অভিধানে ইসলাম শব্দের উচ্চারণ (ইউ কে).jpeg|alt=বাংলা_একাডেমি_অভিধানে_ইসলাম_শব্দের_উচ্চারণ_(ইউ_কে)|ফ্রেমহীন|63x63পিক্সেল]])</ref> একটি [[একেশ্বরবাদ|একেশ্বরবাদী]] এবং [[ইব্রাহিমীয় ধর্ম|ইব্রাহিমীয়]] ধর্মবিশ্বাস যার মূল শিক্ষা হল, এক [[আল্লাহ]] ছাড়া আর কোন [[ঈশ্বর]] নেই এবং [[মুহাম্মাদ|মুহাম্মদ]] হলেন আল্লাহর প্রেরিত [[নবী]] ও [[রাসূল]]।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ১=আল-হক্কানী|প্রথমাংশ১=শায়েখ মুহাম্মদ নাজিম আদিল|শেষাংশ২=কাব্বানি|প্রথমাংশ২=শায়েখ মুহাম্মদ হিশাম|শিরোনাম=মুহাম্মদ, ইসলামের বার্তাবাহক: তার জীবন ও ভবিষ্যতবানী |ভাষা=ইংরেজি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=31tscfPF4tkC|বছর=2002|প্রকাশক=আই এস সি এ|আইএসবিএন=978-1-930409-11-8|পাতা=[https://books.google.com/books?id=31tscfPF4tkC&pg=PR10&dq=%22his+messengers%22+including x]|উক্তি=[আল্লাহ তার বানী পাঠিয়েছেন অনেক রাসূলের মাধ্যমে] তারমধ্যে রয়েছেন নূহ,ইব্রাহীম, মূসা,ঈসা এবং আমাদের শেষ নবী মুহাম্মদ। [...] }}</ref><ref>{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি|লেখক=জন এল. স্পোছিতো
|শিরোনাম=ইসলাম।রূপরেখা|ভাষা=ইংরেজি|বিশ্বকোষ=দ্য অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অব দ্য ইসলামিক ওয়ার্ল্ড|সম্পাদক=জন এল. স্পোছিতো|প্রকাশক=অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস|অবস্থান=অক্সফোর্ড|বছর=2009 |উক্তি=মূল বিশ্বাস [...] ইসলামের পরম একত্ববাদে বিশ্বাস স্থাপন ও মুহাম্মদকে ঈশ্বরের শেষ নবী ও বার্তাবাহক বলে স্বীকার করা নেওয়া|ডিওআই=10.1093/acref/9780195305135.001.0001|আইএসবিএন=9780195305135}}</ref><ref name="OEIW-allah">{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি|লেখক=এফ. ই পিটার্স|শিরোনাম=আল্লাহ্ |ভাষা=ইংরেজি|বিশ্বকোষ=দ্য অক্সফোর্ড এনসাইক্লোপিডিয়া অব দ্য ইসলামিক ওয়ার্ল্ড|সম্পাদক=জন এল. স্পোছিতো|প্রকাশক=অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস|অবস্থান=অক্সফোর্ড|বছর=2009 |উক্তি=মুসলমানদের আল্লাহ সমন্ধে জ্ঞানের ভিত্তি হল [...] কুরআন তাফসীরের দেয়া সাক্ষী । আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়,সৃষ্টিকর্তা, সার্বভৌম এবং মানবজাতীর বিচারকর্তা।আল্লাহই তাই নিজ ক্ষমতাবলে এই মহাবিশ্ব,প্রকৃতিকে চালিত করেন এবং যুগে যুগে রাসুলগন পাঠিয়ে মানবজাতীকে পথ প্রদর্শন করিয়েছেন। আর তার নবীগন ;আব্রাহাম, মোজেস, জিসাস এবং মুহাম্মদ কে দিয়ে প্রতিষ্ঠা করিয়েছেন তার পছন্দনীয় কিছু সম্প্রদায়, "আহলে কিতাব"।
|ডিওআই=10.1093/acref/9780195305135.001.0001 |আইএসবিএন=9780195305135 }}</ref> এটি [[প্রধান ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠীসমূহ|বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম]] এবং সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান ধর্ম,<ref name="landscape">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://countrymeters.info/en/World#religion/|শিরোনাম=বিশ্ব ধর্ম|ভাষা=ইংরেজি|তারিখ=১ জানুয়ারি ২০১৯|সংগ্রহের-তারিখ=২৮ আগস্ট ২০১৯|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20170823093024/http://www.pewresearch.org/fact-tank/2017/04/06/why-muslims-are-the-worlds-fastest-growing-religious-group/#religion/|আর্কাইভের-তারিখ=২৩ আগস্ট ২০১৭|অকার্যকর-ইউআরএল=না}}</ref><ref name="pewmuslim12" /> যার অনুসারী সংখ্যা ১.৯ বিলিয়ন এবং পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ২৪.৪ %,যারা [[মুসলিম|মুসলমান]] নামে পরিচিত।<ref name="countrymeters2019" >যারা [[মুসলিম|মুসলমান]] নামে পরিচিত।
</ref><ref>[http://www.oxforddictionaries.com/us/definition/american_english/muslim অক্সফোর্ড অভিধান অনুসারে] {{ওয়েব আর্কাইভ|ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160729005309/http://www.oxforddictionaries.com/us/definition/american_english/muslim |তারিখ=২৯ জুলাই ২০১৬ }}, " 'ইসলাম ধর্মের অনুসারী' বোঝানোর জন্য মুসলিম শব্দটিই সবচেয়ে প্রচলিত। কখনো কখনো মোসলেম ও ব্যাবহৃত হয়।"</ref> মুসলমানরা [[দেশ অনুযায়ী ইসলাম|৫০ এর অধিক দেশের]] সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসমষ্টি।<ref name="landscape" /> ইসলাম শিক্ষা দেয় যে আল্লাহ দয়ালু, করুনাময়,এক,অদ্বিতীয়, এবং [[তাওহিদ|একমাত্র আরাধনাযোগ্য]] অভিভাবক।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শেষাংশ=ক্যাম্পো|প্রথমাংশ=জুয়ান এডোয়ার্ডো|শিরোনাম=এনসাইক্লোপিডিয়া অব ইসলাম|ভাষা=ইংরেজি|অধ্যায়ের-ইউআরএল={{Google books|OZbyz_Hr-eIC|page=|keywords=|text=|plainurl=yes}}|year=2009|প্রকাশক=ইনফোবেস পাবলিশিং|আইএসবিএন=978-1-4381-2696-8|পাতা=34|অধ্যায়=আল্লাহ}}</ref> মানবজাতীকে পথ প্রদর্শনের জন্য তিনি যুগে যুগে অনেক [[ইসলামের পয়গম্বর|নবী-রাসূল]],[[আসমানী কিতাব]] এবং [[আয়াত|নিদর্শন]] পাঠিয়েছেন ।<ref>{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি|লেখক=İbrahim Özdemir|শিরোনাম= পরিবেশ|ভাষা=ইংরেজি|সম্পাদক=ইব্রাহীম কালিন|বিশ্বকোষ=অক্সফোর্ড বিশ্বকোষ, ইসলামে দর্শন,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি|প্রকাশক=অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস|অবস্থান=অক্সফোর্ড|বছর=2014 |উক্তি=যখন মক্কার পৌত্তলিকরা আল্লাহর অস্তিত্বের স্বপক্ষে কোন প্রমান, চিহ্য বা অলৌকিক কিছু দেখতে চেয়েছিল কুরআন তখন তাদের দৃষ্টিকে প্রকৃতির জটিলতা,সূক্ষতা ও শৃঙ্খলার দিকে ঘুরিয়ে দিল। একারনেই কুরআনের প্রথম দিকের আয়াতগুলোতে আমন্ত্রন জানিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া হয়েছে যে আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যকার দৃৃশ্যমান প্রকৃতির মধ্যে কেউ যেন পারলে একটি খুঁতও খুঁজে বের করে দেখাক। [...]এভাবেই কুরআন পরিষ্কার করে দিয়েছে যে সৃষ্টির সবকিছুই আসলে ঈশ্বরের অলৌকিকত্বের নিশানা (আয়াত) আর আমন্ত্রন জানিয়েছে তাকে খুঁজতে।|ডিওআই= 10.1093/acref:oiso/9780199812578.001.0001 |আইএসবিএন= 9780199812578 }}</ref> ইসলামে প্রধান ধর্মগ্রন্থ হল [[কুরআন]] যা স্বয়ং আল্লাহর বানী বলে বিশ্বাস করা হয়; আর নবী (২৯ আগস্ট ৫৭০- ৮ জুন ৬৩২) এর প্রদত্ত শিক্ষা,পদ্ধতি, জীবনাদর্শকে [[সুন্নাহ]] বলা হয় যা [[হাদিস|হাদীস]] নামে লিপিবদ্ধ রয়েছে।[[চিত্র:Kaaba at night.jpg|thumb|205px||[[সৌদি আরব|সৌদি আরবের]] [[মক্কা]]র [[কাবা শরীফ]]; যেখানে সারা বিশ্বের লাখো মুসলিম একতার মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতার সাথে প্রার্থনা করে থাকেন।]]
 
২৬ নং লাইন:
প্রধানত দুইটি অর্থ পাওয়া যায়, (১) এক অদ্বিতীয় আল্লাহর কাছে আত্নসমর্পণ করা (২:১১২) ; (২) শান্তি স্থাপন তথা বিরোধ পরিহার করা । ২য় অর্থটির ব্যাক্ষা হল (ক) আত্নসমর্পনে আল্লাহর সহিত শান্তি স্থাপিত হয় এবং তার বিরুদ্ধতা পরিত্যক্ত হয় । এবং (খ) আল্লাহর সৃষ্ট মানুষের সহিত একাত্বতার অনুভুভূতিতে, সাম্য - নীতির স্বীকৃতিতে সমাজে শান্তি - নিরাপত্তার অনুকূল অবস্থার সৃষ্টি হয়।
ইসলাম একটি দ্বীন (৩:১৮), পারস্পরিক ব্যবহার, লেন-দেন সবই এর অন্তর্ভুক্ত। দ্বীনের উৎস কুরআন। এটি একটি পরিপূর্ন জীবন ব্যবস্থা। সেকারনে ইবাদত ও দার্শনিক বিষয়াবলির পাশাপাশি এটি মানবজীবনের সর্বক্ষেত্রে, সর্ববিষয়ে নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মাবলির প্রতিও গুরুত্ব দেয়।
"রিলিজিয়ন" বা "ধর্ম" বলতে যে আধ্যাতিক ও পারত্রিক জীবন-দর্শন ও ক্রিয়াকর্ম বুঝায় সেই অর্থে একে "ধর্ম" বললে কোনভাবেই এর পুরো অর্থ প্রকাশ পায়না।<ref name=":1" />
 
ইসলাম মানুষের চিরন্তন ধর্ম (৩:১৮)। এর মূল কথা হল (ক) আল্লহর একত্ব ও অদ্বিতীয়ত্বে বিশ্বাস, (খ) রাওমূ'ল আখির বা মৃত্যুর পর পুনরুত্থান ও বিচারান্তে অনন্ত পরজীবনে বিশ্বাস, এবং আমাল-স.আলিহ্ বা সৎকর্মে আত্ননিয়োগ। বিশ্বাসের পর্যায়গুলো হল (১) ফিরিশতাগন, (২) আসমানী কিতাবমূহ এবং (৩) নবী -রাসূল, আর (৪) আল্লাহর সর্বময় নিয়ন্ত্রণ (তাকদীর)-এ বিশ্বাসও; উপরের তিনটি মৌলিক উপাদানের সাথে যুক্ত হয়। প্রথম মানব ও নবী আদম হতে শেষ নবী মুহাম্মদ পর্যন্ত কুরআনে উল্লেখিত/ অনুল্লিখিত সকল নবী-রাসূল (৪০:৭৮), পৃথিবীর বিভিন্ন গোত্র ও জাতীর কাছে (১০: ৪৭, ১৩ : ৭, ৩৫ : ২৪) , উপরের তিন উপাদান সম্বলিত ইসলাম প্রচার করেছিলেন। এই তিনের ভিত্তিতে কুরআন সমসাময়িক য়াহূদী, খৃষ্টান, স.আবিঈ ও মাজূসী অর্থাৎ সকল ধর্মাবলম্বীকে ইসলাম গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছিল (২ :৬২) এবং আহ্বানে সাড়া দিলে নিরাপত্তা ও মুক্তির নিশ্চয়তা দিয়েছিল। এখনও সেই আহ্বান কার্যকর রয়েছে।<ref name=":1" />