হিরূ ওনোডা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Prodeep Roy (আলোচনা | অবদান)
→‎পরবর্তী জীবন: সম্প্রসারণ, পরিষ্কারকরণ
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৫২ নং লাইন:
নিজ বাহিনীর সঙ্গে ওনোদা আগেই যোগাযোগ হারিয়েছিলেন। মার্কিনরা কয়েকবার চেষ্টা করল খবর পৌঁছানোর যে যুদ্ধ শেষ হয়েছে। এমনকি উড়োজাহাজ থেকে লিফলেটও ফেলা হলো। ওনোদার হাতেও সেই লিফলেট পড়ল। তিনি একে ধোঁকা দেওয়ার প্রচারণা বলে উড়িয়ে দিলেন। তাঁকে ট্রেনিংয়ে যে এসব শেখানো হয়েছিল।
 
১৯৪৫ সালের শেষের দিকে আরও লিফলেট ছড়ানো হলো। সেখানে নিযুক্ত জাপানি বাহিনীর জেনারেল তোমোয়ুকি ইয়ামাশিতার আত্মসমর্পণ করার আদেশও ছাপানো ছিল। একেও ওনোদার দল ধাপ্পা বলে ভেবে নিলেন। সামুরাই বংশের ছেলে ওনোদা কল্পনাও করতে পারেননি যে তাঁর দেশ জাপান আত্মসমর্পণ করতে পারে। তাঁকে তো শেষ যোদ্ধা বেঁচে থাকা পর্যন্ত যুদ্ধ করতে শেখানো হয়েছে! সুতরাং ওনোদার তিনজনের বাহিনী যুদ্ধ চালিয়ে গেল।
 
১৯৪৯ সালে একজন যোদ্ধা ইয়ুচু আকাতসু ধারণা করলেন, যুদ্ধ বোধ হয় শেষ হয়েছে। তিনি দল থেকে আলাদা হয়ে ফিলিপিনো বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন। এবার পুরো পৃথিবী ওনোদার যুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারল। ওনোদার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের হাতে লেখা চিঠিও লিফলেট করে উড়োজাহাজ থেকে ছড়ানো হলো ১৯৫২ সালে। ওনোদা এটাও প্রচারণা বলে উড়িয়ে দিলেন। ভাবলেন, তাঁর পরিবারের লোকদের বন্দী করে জোর করে এসব লেখানো হয়েছে।
৬৪ নং লাইন:
এই বার, প্রায় ত্রিশ বছর পর, ১৯৭৪ সালের ৯ মার্চ, ৫২ বছর বয়সী হিরু ওনোদা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এলেন। তখনো তাঁর পরনে উনত্রিশ বছর আগের ছেঁড়া ইউনিফর্ম, হাতে সার্ভিস রাইফেল, কোমরে তলোয়ার। তিনি এসে তাঁর কমান্ডিং অফিসার মেজর ইয়োশোমি তানিগুচির সামনে সটান দাঁড়ালেন। চিৎকার করে বললেন, ‘পরবর্তী আদেশ, মেজর?’
 
কমান্ডিং অফিসারের আদেশে হিরু ওনোদা অস্ত্র সমর্পণ করলেন। রাইফেল, ৫০০টি গুলি, তলোয়ার, ছুরি। তারপর নিয়মমতো দেশের পতাকার উদ্দেশে স্যালুট করলেন। শেষ হলো উনত্রিশ বছরের যুদ্ধ। তিনি যুদ্ধাপরাধ থেকে অব্যাহতি পেলেন আত্মসমর্পণের শর্তে। <ref name="prothomalo.com">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ=হুসেন |প্রথমাংশ=জাভেদ |ইউআরএল=https://www.prothomalo.com/international/article/1621232/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7-%E0%A6%B9%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A7%A8%E0%A7%AF-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87 |শিরোনাম=বাংলা |কর্ম=[[দৈনিক প্রথম আলো]] |অবস্থান=ঢাকা |প্রকাশক=মতিউর রহমান |তারিখ=2019-10-27 |সংগ্রহের-তারিখ=2019-10-27 }}</ref>
 
== পরবর্তী জীবন ==
দেশে ওনোদা বীরের সম্মান পেলেন। কিন্তু যুদ্ধপরবর্তী জাপান তিনি মেনে নিতে পারেননি ওনোদা। যুক্ত হয়েছিলেন শক্তিশালী যুদ্ধপ্রিয় জাপানি জাতি গঠনের জন্য ডানপন্থী রাজনীতিতে। মৃত্যুর আগে জাপানি শিশুদের প্রকৃতির কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি সংগঠন খুলেছিলেন। বলতেন, এভাবে অন্তত পুরোনো জাপানের কিছু মূল্যবোধ নতুন দিনের শিশুদের শেখানো যেতে পারে। হয়তো দীর্ঘদিন অরণ্যবাসের কারণে এই ইতিবাচক ফল তিনি পেয়েছিলেন। <ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশname=হুসেন |প্রথমাংশ=জাভেদ |ইউআরএল=https://www."prothomalo.com"/international/article/1621232/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B7-%E0%A6%B9%E0%A6%93%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%93-%E0%A7%A8%E0%A7%AF-%E0%A6%AC%E0%A6%9B%E0%A6%B0-%E0%A6%AF%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87 |শিরোনাম=বাংলা |কর্ম=[[দৈনিক প্রথম আলো]] |অবস্থান=ঢাকা |প্রকাশক=মতিউর রহমান |তারিখ=2019-10-27 |সংগ্রহের-তারিখ=2019-10-27 }}</ref>
 
== মৃত্যু ==