উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩৫ নং লাইন:
{{মূল নিবন্ধ| ২৪ পরগণা জেলার ইতিহাস}}
===প্রাচীন কাল===
২৪ পরগণা অঞ্চলটির অস্তিত্বের প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় খ্রিস্টীয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে গ্রিক ভুগোলবিদ টলেমির “[[ট্রিটিজ অন জিওগ্রাফি]]” গ্রন্থে৷ তাঁরতার গ্রন্থে [[গঙ্গারিডি]] বা গঙ্গারিদাই নামক একটি অঞ্চলের কথা বলা হয়েছে, যার বিস্তার ছিলো ভাগীরথী-[[হুগলি]] নদীর থেকে পূর্বে [[পদ্মা]] নদী অবধি। স্বভাবতই বর্তমান ২৪ পরগণা যে এই রাজ্যেরই দক্ষিণ-পশ্চিমে(নৈঋত কোণে) অবস্থিত ছিলো তা স্পষ্ট হয়৷ ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ববিদদের উদ্দ্যোগে '''উত্তর ২৪ পরগণা'''র [[দেগঙ্গা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক|দেগঙ্গা]] থানার অন্তর্গত বেড়াচাঁপা গ্রামে খনন করে পাওয়া বস্তুসমূহ প্রমাণ করে এই অঞ্চল সরাসরি [[গুপ্ত সাম্রাজ্য|গুপ্ত সাম্রাজ্যের]] অংশ না হলে গুপ্ত সাম্রাজ্যের সাংস্কৃৃতিক প্রভাব ছিলো যথেষ্ট৷
 
[[হিউয়েন সাঙ|হিউয়েন সাঙে]]র(৬২৯-৬৮৫ খ্রিস্টাব্দখ্রিষ্টাব্দ) ভারতভ্রমণকালে তিনি সমগ্র উত্তর ভারতে যে ১০০ টি মুল [[হিন্দু]] মন্দির ও ৩০ টি [[বৌদ্ধ]]বিহারের উল্লেখ করেন তার বেশ কয়েকটির অবস্থান এই অঞ্চলকে নির্দেশ করে৷ গৌড়রাজ [[শশাঙ্ক]] এই অঞ্চলে নিজ শাসন কায়েম করতে পারেনি। [[পাল বংশ|পাল বংশে]]র রাজা ধর্মপালের (৭৭০-৮১০ খ্রিস্টাব্দখ্রিষ্টাব্দ) সময়ে এই অঞ্চল তার রাজ্যভুক্ত হয়েছিল বলে মনে করা হয়। তবে সেন যুগের বহু দেব-দেবীর মূর্তি জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আবিস্কৃত হয়েছে।
 
“মনসামঙ্গল” কাব্যে ২৪টি পরগনা জেলার অনেক জায়গার নামের উল্লেখ পাওয়া যায়। [[চাঁদ সওদাগর]] চম্পকনগরী থেকে যাত্রা শুরু করে তাঁরতার তরী ভাসিয়েছিলেন [[হুগলি|ভাগীরথী]]র প্রবাহে।তিনি [[কুমারহট্ট]], [[ভাটপাড়া]],[[কাকিনাড়া]],মুলাজোর,গারুলিয়া,[[ইছাপুর]], দিগঙ্গা-চনক ([[ব্যারাকপুর]]),[[খড়দহ]], [[চিৎপুর]], [[কলিকাতা]],[[কালীঘাট]] ইত্যাদি জায়গা পার হয়েছিলেন।তিনি চম্পকনগরী থেকে যাত্রা শুরু করে [[বারুইপুর|বারুইপুরে]] পৌছেছিলেন। কর্ণপুর রচিত “[[চৈতন্যচরিতামৃত]]” গ্রন্থে ও ২৪টি পরগনা জেলার অনেক জায়গার নামের উল্লেখ পাওয়া যায়।“[[মনসামঙ্গল]]” কাব্যে ও “চৈতন্যচরিতামৃত” গ্রন্থে পাওয়া বিভিন্ন জায়গার নাম ও বিবরণ তুলনা করলে দেখে যায় ২৪টি পরগনা জেলার উক্ত জায়গাগুলির অস্তিত্ব ছিল। চাঁদসওদাগর বারুইপুরে পৌছে আদি গঙ্গা তীরবর্তী [[মনসা]]মন্দির লুঠ করেন। [[শ্রীচৈতন্যদেব]] বারুইপুরের কাছে অতিসরাতে অনন্ত পন্ডিতের আতিথ্য গ্রহণ করেন।[[মথুরাপুর]] থানা অঞ্চলে ছিল [[ছত্রভোগ]] বন্দর।
===মধ্যযুগীয়===
খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতাব্দীর মধ্যভাগে এই অঞ্চলের নদীপথে [[পর্তুগাল|পর্তুগিজ]] জলদস্যুদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল৷ ১০০ বছর তাদের আদিপত্য বজায় ছিল উত্তর ২৪টি পরগনা ও দক্ষিণ ২৪টি পরগনার [[বসিরহাট]] অঞ্চলে। এই সময় পর্তুগিজ জলদস্যুদের অত্যাচারে অনেক সমৃদ্ধশালী জনপদ জনশূন্য হয়ে যায়। খ্রিস্টীয় শতাব্দীর শুরুতে মহারাজা [[প্রতাপাদিত্য]] সাগরদ্বীপ, সরসুনা ,জগদ্দল প্রভৃতি অঞ্চলে দুর্গ বানিয়ে এদের আটকাবার চেষ্ঠাচেষ্টা করেন ও বিতাড়িত করতে সক্ষম হন৷ মহারাজা প্রতাপাদিত্য ছিলেন বাংলার [[বারো ভুঁইয়া]]র(১১ ভুঁইয়া ও ১ মুঘল সম্রাট) একজন, জলদস্যুদের পরাজিত করার পর তিনি [[যশোর]],[[খুলনা]], [[বরিশাল]]সহ গোটা '''২৪টি পরগনা''' জেলাতে আধিপত্য বিস্তার করেন৷ মহারাজা [[প্রতাপাদিত্য]] সলকা ও মগরাহাটের যুদ্ধে মুঘলসম্রাটের হাতে পরাজিত ও বন্দী হন৷ [[দিল্লী]] যাত্রাকালে [[বারাণসী|কাশী]]র নিকট আততায়ী-এর হাতে তিনি নিহত হন৷ লক্ষ্মীকান্ত মজুমদাররে নাতি কেশবচন্দ্র মজুমদার মুর্শিদকুলি খাঁর আমলে দক্ষিণ ২৪টি পরগনা ও খুলনার জমিদার নিযুক্ত হন।
 
১০১৭ বঙ্গাব্দে(১৬১০ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) মুঘলদের হাতে [[প্রতাপাদিত্য]] পরাজিত হয়৷ প্রতাপাদিত্যের পরাজয়ে বড়িশার [[সাবর্ণ রায়চৌধুরী]] বংশের প্রতিষ্টাতা লক্ষ্মীকান্ত মজুমদার(গাঙ্গুলি) বাংলার সুবেদার মানসিংহের পক্ষ নেন। এর প্রতিদানে ১০১৭ বঙ্গাব্দে(১৬১০ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) সম্রাট জাহাঙ্গির তাকে মাগুরা,পাইকান, আনোয়ারপুর, [[কলকাতা]]র জমিদারি স্বত্ত্ব দেন।
 
===ব্রিটিশ শাসনকাল===
একই সময় ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলাতে নিজের অবস্থান আরো শক্ত করতে থাকে৷ অতঃপর ১১৬৪ বঙ্গাব্দে(১৭৫৭ খ্রীষ্টাব্দে) ব্রিটিশ বাহিনী বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব [[সিরাজ-উদ-দৌল্লা]]কে পলাশির(বর্তমান [[নদীয়া জেলা]]তে অবস্থিত) যুদ্ধে পরাস্ত করেন ও বাংলার স্বাধীনতা-সূর্য অস্তমিত হয়৷ যুদ্ধশেষে লর্ড ক্লাইভকে বাংলার প্রথম জায়গিরদার নিযুক্ত করা হয় ও তার মৃৃত্যুর পরে কোম্পানি সরাসরি এই শাসনভার নেয়৷ এরপর থেকে ব্যবসার আড়ালে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য স্থাপনের সূত্রপাত ঘটে৷
 
১২০০ বঙ্গাব্দে(১৭৯৩ খ্রীষ্টাব্দে) লর্ড কর্নওয়ালিসের সময়ে সমগ্র সুন্দরবন অঞ্চল ২৪ টি পরগণা অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত ছিলো৷ ১২০৯ বঙ্গাব্দে(১৮০২ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) নদীয়ার আরো কিছু পরগণাকে ২৪ টি পরগণার অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ১২২১ বঙ্গাব্দে(১৮১৪ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) প্রশাসনিক সুবিধার্থে এই নবগঠিত জেলার জন্য আলাদা একজন কালেক্টর নিয়োগ করা হয়৷ পরে ১২২৪ বঙ্গাব্দে(১৮১৭ খ্রীষ্টাব্দে) পলতা ও [[বরাহনগর|বরানগর]] এবং নদীয়ার বলন্দা ও আনোয়ারপুর যথাক্রমে ১২২৭(১৮২০) ও ১২৩১ বঙ্গাব্দে(১৮২৪ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) ২৪ পরগণার অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷ আরো পরে খুলনার দক্ষিণাংশের বেশকিছু অঞ্চল ও বাখেরগঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিমে(নৈঋতে) সামান্য অঞ্চলও এই জেলাটির সঙ্গে যুক্ত করা হয়৷ ১২৩১ বঙ্গাব্দে(১৮২৪ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) জেলাসদর [[কলকাতা]] থেকে [[বারুইপুর|বারুইপুরে]] স্থানান্তরিত করা হয় যা আবার ১২৩৫ বঙ্গাব্দে(১৮২৮ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) কলকাতারই দক্ষিণে [[আলিপুর|আলিপুরে]] স্থানান্তরিত করা হয়৷ ১২৪১ বঙ্গাব্দে(১৮৩৪ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) জেলাটিকে বারাসাত ও আলিপুর এই দুটি নতুনজেলাতে বিভক্ত করি হয়৷ পরে আবার নবনির্মিত জেলাদুটিকে একত্রিত করা হয়৷ পরে অবিভক্ত ২৪ টি পরগণা জেলা বিভিন্ন ব্রিটিশ বিরোধী কাজে লিপ্ত হয়৷
 
১৩১২ বঙ্গাব্দে(১৯০৫ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) [[বঙ্গভঙ্গ|বঙ্গভঙ্গের]] সময়ে জেলা গঠন পুণর্বিশ্লেষ্য বিষয় হয়ে ওঠে৷ জেলাটির [[সুন্দরবন]] সংলগ্ন বেশ কিছু অঞ্চল পার্শ্ববর্তী খুলনা ও বাখেরগঞ্জ অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয় যা বর্তমানেও [[বাংলাদেশ]] মুল ভূখণ্ডের উক্ত অঞ্চলদুটিতে রয়েছে৷
 
===স্বাধীনতা পরবর্তী===
১৩৫৪ বঙ্গাব্দে(১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) দেশভাগের সময় পুর্ববর্তী ২৪ পরগণা জেলার সম্পূর্ণ অংশ ভারতে যুক্ত হলেও যশোর জেলার [[বনগাঁ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক|বনগাঁ]], [[বাগদা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক|বাগদা]] ও [[গাইঘাটা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক|গাইঘাটা]] অঞ্চল এই জেলার সাথে যুক্ত করে স্বাধীন ভারতের ২৪ পরগণা জেলা গঠিত হয়৷ ১৩৯০ বঙ্গাব্দে(১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) ডাঃ অশোক মিত্রের প্রস্তাবনাতে ১৩৯২ বঙ্গাব্দে(১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) জেলাটির উত্তর অংশ নিয়ে উত্তর ২৪ পরগণা জেলা গঠন করা হয় ও লবনহ্রদ(সল্টলেক) বা [[বিধাননগর]]কে এই জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়৷
 
==ঐতিহাসিক আন্দোলন==
১২৩১ বঙ্গাব্দে(১৮২৪ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) জেলাটি ব্রিটিশ বিরোধীতার মুলকেন্দ্র হয়ে ওঠে যখন '''[[ব্যারাকপুর|বারাকপুর]] সেনানিবাসে'' বাসরত সিপাহীরা '''ইঙ্গ-বর্মা''' যুদ্ধে ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়ে লড়াই করতে মানা করে৷ এর কারণ ছিলো তৎকালীন ব্রাহ্মণ্যসমাজের মতে সমুদ্র পাড় করা ছিলো হিন্দুশাস্ত্র বিরূদ্ধ কাজ৷ '''১১ই কার্তিক'''(২রা নভেম্বর) বিদ্রোহীদের ওপর আক্রমণ করা হয়, অনেকে পালিয়ে বাঁচলেও দলনেতাদের ব্রিটিশ বাহিনী ফাঁসি দেয়৷ কিছু ঐতিহাসিকদের মতে এটি ছিলো '''[[সিপাহী বিদ্রোহ|সিপাহী বিদ্রোহের]] সূত্রপাত'''৷
 
পরবর্তী পর্যায়ে '''১২৬৩-৬৪ বঙ্গাব্দে(১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) [[প্রেসিডেন্সি বিভাগ|প্রেসিডেন্সি বিভাগের]] সদর দপ্তর বারাকপুরে সিপাহীদের বিদ্রোহ চরম আকার ধারণ করে'''৷ একে স্বাধীনতার প্রথম যুদ্ধ বলেও আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে৷ বিদ্রোহ মুলত শুরু হয়েছিলো সেনানিবাসে আসা নতুন কার্তুজকে নিয়ে৷ সিপাহীরা সন্দেহ করেছিলো যে কার্তুজের কিছু অংশ সম্ভবতঃ এমন কিছু দিয়ে তৈরী যা ছিলো ধর্মবিরূদ্ধ৷ পরে তা প্রমাণ হয়ে যায় যে ঐগুলি [[গরু]] ও [[শুয়োর|শুয়োরের]] চর্বি দিয়ে বানানো হয়েছিলো যা ভারতীয়দের জন্য অব্যবহার্য ছিলো কারণ এগুলিকে দাঁতে কেটে ভরতে হতো বন্দুকে৷ ফলস্বরূপ বারাকপুর সেনানিবাসে সিপাহী '''[[মঙ্গল পান্ডে|মঙ্গল পান্ডের]]''' অনুপ্রেরণায় সৈন্যদের তরফ থেকে ৪ঠা চৈত্র ১২৬৩ বঙ্গাব্দে(২০ মার্চ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) বিদ্রোহ ঘোষিত হয়৷ এরপর থেকে ইংল্যাণ্ডের রাণীর প্রভাবে ভারতের শাসনভার ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বদলে সরাসরি [[ইংল্যান্ড]] সাম্রাজ্য দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে৷
 
নীলচাষীদের বিদ্রোহও জেলাটির ইতিহাসকে গৌরবান্বিত করেছে৷ ১১৮৪ বঙ্গাব্দে(১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) '''লুইস বোনার্ড''' বাংলার [[ফ্রান্স|ফরাসি]] উপনিবেশ [[চন্দননগর|চন্দননগরের]] দুটি খামারে প্রথম নীলচাষ ও নীলের উৎপাদনকে ত্বরান্বিত করেন৷ ফরাসিদের দৌলতে '''বয়নশিল্পে''' ও কাপড়ের রং ধরে রাখতে নীলের ব্যবহার ও চাহিদা ততদিনে [[ইউরোপ|ইউরোপে]] বৃৃদ্ধি পেয়েছিলো ফলে ব্রিটিশ কোম্পানিও এই নীলচাষকে বৃদ্ধি করতে চায়৷ এর ফলে পত্তনিপ্রথা চালু করে যেসব জমিতে নীলচাষ উৎকৃষ্ট সেখানের জমিদারদের থেকে কোম্পানি জমাগুলির মালিকানা দাবি করে৷ যদিও '''[[রাজা রামমোহন রায়]]''' ও '''[[দ্বারকানাথ ঠাকুর|দ্বারকানাথ ঠাকুরের]]''' মতো কিছু জমিদার এই ব্যবসার বিরোধিতা করছিলেন৷ এটি মুলত দু'ভাবে হতো, হয় ভুমিহীন শ্রমিকদের দ্বারা নীলকুঠির তত্ত্বাবধানে অথবা অন্যান্য চাষিদের নীলচাষে ঋণ দিয়ে৷ জমিদার ও পত্তনিদারদের হাতে সরাসরি এই দায়িত্ব থাকতো৷
 
১২৩৭ বঙ্গাব্দে(১৮৩০-৩১ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) [[বারাসাত মহকুমা|বারাসাত]], [[বনগাঁ মহকুমা|বনগাঁ]], [[বসিরহাট মহকুমা|বসিরহাট]] অঞ্চলে নীলচাষে বিমুখ চাষীদের বিদ্রোহ দমন করতে কোম্পানি ও স্থানীয় জমিদাররা একীভূত হয়৷ পরিশেষে ১২৬৬ বঙ্গাব্দে(১৮৫৯-৬০) নাগাদ নীলকুঠিতে নীলচাষীদের প্রতি অত্যাচারকে কেন্দ্র করে নীলচাষীরা ও ২৪ পরগণার শ্রীরামপুর গ্রামের তালুকদার '''শিবনাথ ঘোষ''' সহ কিছু জমিদারগোষ্ঠীর সমর্থনে নীলবিদ্রোহ ২৪ পরগণা ও পার্শ্ববর্তী [[নদীয়া]] ও [[যশোর জেলা]]তে ব্যাপক আকার নেয়৷ নীলবিদ্রোহ সম্বন্ধীয় '''দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ''' নাটকটি বেশ উল্লেখযোগ্য৷
 
==ভূপ্রকৃৃতি==
৮২ নং লাইন:
[[File:Bengal Intelligent Park - Kolkata 2011-08-29 4815.JPG|thumbnail|right|দ্য বেঙ্গল ইন্টেলিজেন্ট পার্ক , সেক্টর ৫ এ অবস্থিত]]
[[File:Cognizant Technology Solutions office, Calcutta.jpg|thumbnail|right|দ্য কগনিজ্যান্ট টেকনোলজি সলিউশন, আধিকারিক দপ্তর সল্টলেকে অবস্থিত]]
কলকাতার তথ্যপ্রযুক্তি কেন্দ্র(দ্য ইনফরমেশন টেকনোলজি হাব) এই জেলাতেই অবস্থিত, যা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ''''সিলিকন ভ্যালি'''' নামে আখ্যায়িত হতে চলেছে৷ এটি [[কলকাতা]]র জনপ্রিয় তথ্যপ্রযুক্তি ও বহুরাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলির অন্যতম আলোচনা ও আধিকারিক স্থান৷ ১৪২৪ বঙ্গাব্দে(২০১৭ খ্রিস্টাব্দেখ্রিষ্টাব্দে) আনুমানিক গণনা অনুযায়ী ৫.৮ লক্ষ চাকুরীর জোগান দিয়েছে এই কেন্দ্রগুলি যা [[বিধাননগর|সল্টলেকের]] মুলত সেক্টর ৫ ও সেক্টর ৩ অঞ্চলে কেন্দ্রীভুত৷
 
সল্টলেক-[[বিধাননগর]] ছাড়াও রাজারহাট-[[নিউ টাউন, কলকাতা|নিউ টাউন]] অঞ্চলটি দ্রুত উন্নতিশীল৷ সুযোগ সুবিধা, পরিবহন ও সৌন্দর্যায়ন সহ পর্যটন ও এই অঞ্চলগুলির অর্থনীতিরাকান্ডারী৷
১৬৬ নং লাইন:
 
===মহাবিদ্যালয়===
* [[নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি]]<ref>{{citeওয়েব webউদ্ধৃতি | urlইউআরএল = http://nit.ac.in/ | titleশিরোনাম = নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি | publisherপ্রকাশক = NIT |accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 8 May 2018}}</ref>
* [[বিধাননগর কলেজ]]
* [[গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজ]]
২০৪ নং লাইন:
 
====বনগাঁ মহকুমা====
বনগাঁ মহকুমা বনগাঁ, গাইঘাটা ও বাগদা ব্লক ও [[বনগাঁ পৌরসভা]] নিয়ে গঠিত৷ সীমান্ত বানিজ্যবাণিজ্য ও কৃষি এই মহকুমার প্রধান অর্থনৈতিক ভিত্তি৷ সড়কপথে [[যশোর রোড|যশোর রোডের ]] মাধ্যমে মহকুমাটি কলকাতার সঙ্গে যুক্ত৷ রেলপথে বনগাঁ [[কলকাতা]] ও নদীয়ার [[রাণাঘাট|রাণাঘাটের]] সঙ্গে যুক্ত৷
 
মতুয়া সম্প্রদায়ের পূণ্যতীর্থ [[ঠাকুরনগর]] এই মহকুমায় অবস্থিত৷
 
====বসিরহাট মহকুমা====
বসিরহাট এইজেলার বৃহত্তম মহকুমা৷ তিনটি পুরসভা ১০টি ব্লক নিয়ে এই মহকুমা গঠিত৷ কৃষিভিত্তিক এই মহকুমার দক্ষিনদক্ষিণ অংশ [[সুন্দরবন|সুন্দরবনের]] অংশ৷
 
টাকী রোড এবং রেলপথে মহকুমাটি [[কলকাতা|কলকাতার]] সঙ্গে যুক্ত৷