ব্র্যাক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MahbubPathan (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
→‎ইতিহাস: সংশোধন
১৫ নং লাইন:
 
== ইতিহাস ==
বর্তমান সময়ের ব্র্যাক প্রতিষ্ঠানটি পূর্বে পরিচিত ছিল বাংলাদেশ রিহ্যাবিলিটেশন অ্যাসিস্ট্যান্স কমিটি নামে। মূলত এটি গঠিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধ শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনার সহায়তার জন্য। শাহ [[ফজলে হাসান আবেদ]] তখন সুনামগঞ্জ জেলার [[শালাহশাল্লা উপজেলা]]য় ছোট আকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রকল্প হিসেবে কাজ শুরু করেন। এই ত্রাণ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে যুদ্ধের সময় ধ্বংস কবলিত হওয়া মোট ১৪ হাজার ঘরবাড়ি পুনর্নির্মিত করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি কয়েক শত মাছ ধরার নৌকা পুনর্নির্মিত করা হয়েছিল। ব্র্যাকের দাবি অনুযায়ী মাত্র ০৯ (নয়) মাসের মধ্যে এই উন্নয়নমূলক কাজগুলো করা হয়েছিল। এছাড়াও তখন বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানসহ চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হয়েছিল।
 
ব্র্যাক ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে কৃষি উন্নয়ন, মৎস্য, সমবায়, গ্রামীণ কারুশিল্প, বয়স্কদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, নারীর জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ এবং কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের মাধ্যমে গ্রামের উন্নয়ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সামাজিক উন্যয়নে ব্যাপক অবদান রেখেছিল। প্রথমে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম মূল্যায়ন এবং নির্দেশনা নির্ধারনের জন্য একটি গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগ (রেড) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। এছাড়াও ১৯৭৭ সালে ভূমিহীন, গরিব কৃষক, কারিগরি ও দুর্বল নারীদের সহায়তা করার জন্য গ্রাম সংগঠন (ভিও) তৈরি করা হয়েছিল। এরপর একই বছর আবার ব্র্যাক তার কার্যক্রমের অর্থায়নের জন্য একটি বাণিজ্যিক অর্থভাণ্ডার স্থাপন করেছিল। যা পরবর্তী বছর আরং[[আড়ং (ব্র্যাক)|আড়ং]] নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।
 
বাংলাদেশে ১৯৭০ইং ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে ডায়রিয়া রোগজনিত কারণেবাংলাদেশে শিশু মৃত্যু একটি প্রধান কারণ ছিল।ছিল ডায়রিয়া। ১৯৭৯ইং সনেরসালের ফেব্রুয়ারিতে শালাহশাল্লা উপজেলার ০২ (দুই) গ্রামে ব্র্যাক ডায়রিয়া প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ে প্রচারণার শুরু করে। প্রচারণাতে গ্রামীণ মায়েদেরকে তাদের ঘরে থাকা উপাদান থেকে কিভাবে ডায়রিয়া নিরাময়ের ঔষদ (ওআরএস) তৈরি করা যায় এবং ডায়রিয়া হলে কিভাবে ঔষধ সেবন করতে হয় তা শেখানো হয়েছিল। এই প্রচার করা হয়েছিল পোস্টার, রেডিও ও টিভির মাধ্যমে। প্রায় দশ বছরের এই কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চল (বেসামরিক অস্থিরতার কারণে কাজ করতে অনিরাপদ ছিল) ব্যতীত বাংলাদেশের প্রতিটি অংশে ৭৫,০০০ গ্রামে এই কর্মসূচি পরিচালিত হয়। ফলে বর্তমানে মায়েদের বেশিরভাগই এখন নিরাপদ ও কার্যকর ওআরএস তৈরি করতে পারে। বাংলাদেশে ওটিইপি শুরু হওয়ার সময় এই চিকিৎসাটি খুব কমই পরিচিত ছিল। কিন্তু ১৫ বছর পরে গ্রামাঞ্চলে এটি ৮০% চেয়ে বেশি ক্ষেত্রে গুরুতর ডায়রিয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়, যা পৃথিবীর মধ্যে সর্বোচ্চ হারের মধ্যেমধ্যকার একটি।
 
ব্র্যাক ১৯৮৫ইং সালে প্রথম ফ্রি বেসরকারি উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষাদান শুরু করে।করে, যা এখনও বিদ্যমান।
 
১৯৮৬ইং সনেসালে ব্র্যাক তার গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মসূচী শুরু করে যা চারটি প্রধান কার্যক্রমকার্যক্রমকে অন্তর্ভুক্ত করে। সেগুলো হলো প্রাতিষ্ঠানিক ভবনে গঠনমূলক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, ঋণ কার্যক্রম আয় এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি।
 
১৯৯১ইং সনেসালে তারা নারী স্বাস্থ্য উন্নয়ন কর্মসূচি শুরু করে। পরের বছর ব্র্যাক রাজেন্দ্রপুরে ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজমেন্ট সেন্টার (সিডিএম) প্রতিষ্ঠা করে।
 
১৯৯৬ইং সনেসালে ব্র্যাকে সামাজিক উন্নয়ন, মানবাধিকার ও আইনী সেবা কার্যক্রম চালু করে।
 
১৯৯৮ইং সনেসালে ব্র্যাকের ডেইরিদুগ্ধ অ্যান্ডএবং ফুডখাদ্য প্রকল্প কমিশনশুরু করা হয়।করে। এরপর ব্র্যাক একটি তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট চালু করে।
 
২০০১ইং সনেসালে ব্র্যাক একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে যার নাম [[ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিবিশ্ববিদ্যালয়]]।
 
== কার্যক্রম ==