বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[পরীক্ষিত সংশোধন] | [পরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
স ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
|||
১৭ নং লাইন:
|website = [http://www.jamaat-e-islami.org/index.php jamaat-e-islami.org]
}}
'''বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী''', যার পূর্বনাম ছিলো '''জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ'''<ref>[http://nation.ittefaq.com/issues/2008/10/21/news0727.htm জামায়াত তার নাম পরিবর্তন করেছে। দ্য ডেইলি নিউ নেশন, ২১ অক্টোবর, ২০০৮]</ref> [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] সবচেয়ে বড় ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশে ইসলামী শরিয়া আইন বাস্তবায়ন এই দলের উদ্দেশ্য। এই দলের অনুসারীগণ ইসলাম তথা কুরআন-সুন্নাহ মেনে চলেন।<ref>[http://www.economist.com/node/12855437 The Tenacity of Hope]</ref><ref>[http://www.economist.com/node/16485517?zid=309&ah=80dcf288b8561b012f603b9fd9577f0e Bangladesh and war crimes: Blighted at birth], [[The Economist]]</ref> ২০১৩ সালের ১ আগস্ট [[বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট|বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট]] জামায়াতের নিবন্ধন সম্পর্কিত একটি রুলের রায়ে এই সংগঠনের নিবন্ধন অবৈধ এবং একে নির্বাচনে অংশগ্রহনের অযোগ্য ঘোষণা করে।<ref name=autogenerated1>[http://bdnews24.com/bangladesh/2013/08/01/jamaat-registration-cancelled Jamaat loses registration - bdnews24.com<!-- Bot generated title -->]</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
জামায়াত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার এবং পাকিস্তান বিভক্তির বিরোধিতা করেছিল।<ref>জনতার আদালতে জামাতে ইসলামী- দিব্য প্রকাশ, ৩৮/২ ক, বাংলাবাজার, ঢাকা, পৃষ্ঠা-১৮</ref><ref>দৈনিক পাকিস্তান, ২৮শে নভেম্বর, ১৯৭১, সাভারে রাজাকার বাহিনীর কমান্ডারদের ট্রেনিং শেষে জেনারেল নিয়াজী বলেনঃ "একদিকে তাদের ভারতীয় চরদের সকল চিহ্ন মুছে ফেলতে হবে, অন্যদিকে বিপথগামী যুবকদের সঠিক পথে আনতে হবে।"</ref> দলটি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে বাঙালি জাতীয়তাবাদী, বুদ্ধিজীবী এবং সংখ্যালঘু হিন্দুদের হত্যায় সহযোগিতা করেছিল।<ref>[http://books.google.com.bd/books?id=fustp5GGqHIC&pg=PA48&dq=Jamaat+intellectuals+killing&hl=bn&sa=X&ei=AI60UpWoAo6qrAeatIHQBA&ved=0CEEQ6AEwAw#v=onepage&q=Jamaat%20intellectuals%20killing&f=false ''"The Ruling Enemy"''] page. 47-48</ref><ref>[http://books.google.com.bd/books?id=6XYp-z5aP4MC&pg=PA257&dq=Jamaat+intellectuals+killing&hl=bn&sa=X&ei=AI60UpWoAo6qrAeatIHQBA&ved=0CGsQ6AEwCQ#v=onepage&q=Jamaat%20intellectuals%20killing&f=false ''"Century of Genocide"''] Samuel Totten, William S. Parson, Page 257</ref> দলটির অনেক নেতাকর্মী সেসময় গঠিত আধা-সামরিক বাহিনীতে যোগদান করেছিল<ref name="Rubin2010"/>, যারা গণহত্যা, বিশেষ করে হিন্দুদের ধর্ষণ এবং জোরপূর্বক ইসলাম ধর্মে স্থানান্তরের মত যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকায় অভিযুক্ত।<ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর নতুন সরকার জামায়াতকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং দলের নেতারা পাকিস্তানে নির্বাসনে চলে যান। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে প্রথম রাষ্ট্রপতি [[শেখ মুজিবুর রহমান|শেখ মুজিব]] হত্যাকান্ডের পর এবং কয়েকটি সামরিক অভ্যুত্থানের পর ১৯৭৭ সালে মেজর জেনারেল [[জিয়াউর রহমান]] ক্ষমতায় এলে জামায়াতের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। দলটির নেতাকর্মীরা ফিরে আসার অনুমতি পান এবং ১৯৭৯ সালের মে মাসে তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা [[আব্বাস আলী খান|আব্বাস আলী খানের]] নেতৃত্বে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হলো শরিয়া ভিত্তিক একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা যা পাকিস্তান ও সৌদি আরবের দেশসমূহে লক্ষ করা যায়। জামায়াতের বিরুদ্ধে হিন্দু ও বৌদ্ধ এবং আহমদিয়া মুসলিমদের উপর ধারাবাহিক আক্রমণের অভিযোগ করা হয়ে থাকে।{{citation needed}}
১৯৮০-এর দশকে জামায়াত গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের জন্য বহুদলীয় জোটে যোগদান করে। এসময় দলটি [[আওয়ামী লীগ]] ও সমসাময়িক বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে পরবর্তীতে দলটি [[বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার|তত্ত্বাবধায়ক সরকার]] ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য আন্দোলন করে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে [[বিএনপি]]র সাথে মিলিত হয়ে আরো অন্য দুটি দলসহ চারদলীয় ঐক্যজোট গঠন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোট জয়লাভ করলে বেগম [[খালেদা জিয়া]]র নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে জামায়াতের দুজন সদস্য মন্ত্রী নির্বাচিত হন। ২০০৮ সাল থেকে দলটির জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে এবং [[বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন, ২০০৮|নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে]] দলটি ৩০০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৫টি আসন লাভ করে। ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার [[আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল|আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের]] মাধ্যমে ১৯৭১ সালে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করে; ২০১২ সালের মধ্যে দুজন বিএনপি নেতা ও জামায়াতের সাবেক ও বর্তমান সদস্যসহ ৮ জন নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা দায়ের করা হয়। ২০১৩ সালের জুলাই পর্যন্ত জামায়াতের সাবেক সদস্যসহ মোট চার জনকে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও সাবেক আমির [[গোলাম আযম|গোলাম আযমকে]] ৯০ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।<ref name="বিবিসিবাংলা১">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |
== ইতিহাস ==
৩৬ নং লাইন:
জামায়াতে ইসলামী, জেনারেল [[আইয়ুব খান]] সামরিক আইন ঘোষণার সময় পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে এবং ১৯৬৫ সালে সর্বদলীয় গণতান্ত্রিক জোট গঠিত হয়।
পরবর্তীতে [[আওয়ামী লীগ]] প্রদত্ত ছয় দফা এবং মাওলানা [[আবদুল হামিদ খান ভাসানী]] ঘোষিত ১১ দফার তারা তীব্র বিরোধিতা করে। [[১৯৭০]] সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী পশ্চিম পাকিস্তানে ৪ টি আসন লাভ করে। মুক্তিযুদ্ধকালীন [[১৯৭১]] সালের ৩ সেপ্টেম্বর ডাঃ আব্দুল মালিক কে গভর্নর করে ১৭ই সেপ্টেম্বার একটি প্রাদেশিক সরকার গঠন করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
=== বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ (১৯৭১) ===
৭৩ নং লাইন:
১৯৭৯ সালে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জামায়াতের কতিপয় নেতা ইসলামিক ডেমোক্র্যাটিক লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ৬ জন প্রার্থী জয়ী হন। ১৯৭৯ সালে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নামে এ দলটি পুনরায় রাজনৈতিক দৃশ্যপটে আবির্ভূত হয় এবং মওলানা আব্বাস আলী খানকে দলের ভারপ্রাপ্ত আমীর নির্বাচন করা হয়।
১৯৭৯ সাল থেকে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশে তার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ১০টি আসনে জয়লাভ করে। জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কৌশল হিসেবে জামায়াতের ১০ জন সংসদ সদস্য ১৯৮৭ সালের ৩ ডিসেম্বর সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থীরা ৩৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৮টি আসনে বিজয়ী হয় এবং সরকার গঠনের জন্য সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে সমর্থন দেয়। মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ৩০টি আসনের মধ্যে জামায়াত ২টি আসন লাভ করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bn.banglapedia.org/index.php?title=%E0%A6%9C%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87_%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%80_%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6|শিরোনাম=জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ - বাংলাপিডিয়া|ওয়েবসাইট=bn.banglapedia.org|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2018-06-20}}</ref>
== নিবন্ধন বাতিল ==
কয়েকটি ইসলামী সংগঠনের ২৫ জন সদস্য জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করলে ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি [[বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট|বাংলাদেশের হাই কোর্ট]] একটি রুল জারি করে। জামায়াতের আমির [[মতিউর রহমান নিজামী]], সেক্রেটারি জেনারেল [[আলী আহসান মুজাহিদ]] এবং [[নির্বাচন কমিশন]] সচিবকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলে আদালতের বেঞ্চ। পরবর্তিতে ১লা আগস্ট ২০১৩ সালে [[বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট|বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট]] রুলের রায় ঘোষনা করে এতে সংগঠনের নিবন্ধন অবৈধ এবং সংগঠনটিকে নির্বাচনে অংশগ্রহনের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
== তথ্যসূত্র ==
|