আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[অপরীক্ষিত সংশোধন] | [অপরীক্ষিত সংশোধন] |
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
NahidSultan (আলোচনা | অবদান) Imtiaz ahmed rifat-এর করা 3340993 নং সংস্করণে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। (টুইং) ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত |
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) অ সংশোধন |
||
৩২ নং লাইন:
বঙ্গীয় সমাজে বাংলা ভাষার অবস্থান নিয়ে বাঙালির আত্ম-অম্বেষায়'''জ''' যে ভাষাচেতনার উন্মেষ ঘটে, তারই সূত্র ধরে বিভাগোত্তর পূর্ববঙ্গের রাজধানী [[ঢাকা]]য় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে ভাষা-বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের মার্চে এ নিয়ে সীমিত পর্যায়ে আন্দোলন হয় এবং ১৯৫২ সালের '''একুশে ফেব্রুয়ারি''' তার চরম প্রকাশ ঘটে।
ঐদিন সকালে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে [[আবুল বরকত]], [[আবদুল জব্বার (ভাষা শহীদ)|আবদুল জব্বার]], [[আবদুস সালাম|আবদুস সালামসহ]] কয়েকজন ছাত্রযুবা হতাহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ঢাকাবাসী [[ঢাকা মেডিকেল কলেজ]] হোস্টেলে সমবেত হয়। নানা নির্যাতন সত্ত্বেও ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাতে পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় রাজপথে নেমে আসে। তারা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে শহীদদের জন্য অনুষ্ঠিত গায়েবি জানাজায় অংশগ্রহণ করে। ভাষাশহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, যা সরকার ২৬ ফেব্রুয়ারি গুঁড়িয়ে দেয়। একুশে ফেব্রুয়ারির এই ঘটনার মধ্য দিয়ে [[ভাষা আন্দোলন]] আরও বেগবান হয়। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে ৯ মে
১৯৮৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে 'বাংলা ভাষা প্রচলন বিল' পাশ হয়। যা কার্যকর হয় ৮ মার্চ ১৯৮৭ সাল থেকে।▼
▲ঐদিন সকালে [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের]] ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে [[আবুল বরকত]], [[আবদুল জব্বার (ভাষা শহীদ)|আবদুল জব্বার]], [[আবদুস সালাম|আবদুস সালামসহ]] কয়েকজন ছাত্রযুবা হতাহত হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ঢাকাবাসী [[ঢাকা মেডিকেল কলেজ]] হোস্টেলে সমবেত হয়। নানা নির্যাতন সত্ত্বেও ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাতে পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় রাজপথে নেমে আসে। তারা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে শহীদদের জন্য অনুষ্ঠিত গায়েবি জানাজায় অংশগ্রহণ করে। ভাষাশহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, যা সরকার ২৬ ফেব্রুয়ারি গুঁড়িয়ে দেয়। একুশে ফেব্রুয়ারির এই ঘটনার মধ্য দিয়ে [[ভাষা আন্দোলন]] আরও বেগবান হয়। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে ৯ মে অণুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
তখন থেকে প্রতি বছর এ দিনটি জাতীয় ‘শোক দিবস’ হিসেবে উদ্যাপিত হয়ে আসছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা এক মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে একাধিক্রমে [[প্রধানমন্ত্রী]], মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ, ঢাকাস্থ বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ [[কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার|কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে]] এসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। এ সময় [[আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো|আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি]] গানের করুণ সুর বাজতে থাকে।▼
== আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি ==▼
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হয়। এদিন শহীদ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে [[রেডিও]], [[টেলিভিশন]] এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের সংবাদপত্রগুলিও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।▼
[[কানাডা]]র ভ্যাঙ্কুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ''আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস'' হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন [[জাতিসংঘের মহাসচিব]] [[কফি আনান|কফি আনানের]] কাছে ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে।▼
<ref>[http://www.bbc.co.uk/bengali/news/story/2006/02/printable/060220_torontokhan.shtml টরন্টোয় একুশে, বিবিসি বাংলা]</ref> ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের [[১৭ নভেম্বর]] অনুষ্ঠিত [[ইউনেস্কো|ইউনেস্কোর]] [[প্যারিস]] অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে '''আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস''' হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি [[জাতিসঙ্ঘ|জাতিসঙ্ঘের]] সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=U.N. General Assembly, Sixty-first Session, Agenda item 114, Resolution adopted by the General Assembly, 61/266. Multilingualism (A/RES/61/266) |ইউআরএল=http://daccessdds.un.org/doc/UNDOC/GEN/N06/510/33/PDF/N0651033.pdf?OpenElement# |সংগ্রহের-তারিখ=২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20081216125347/http://daccessdds.un.org/doc/UNDOC/GEN/N06/510/33/PDF/N0651033.pdf?OpenElement# |আর্কাইভের-তারিখ=১৬ ডিসেম্বর ২০০৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> ২০১০ সালের [[২১ অক্টোবর]] [[বৃহস্পতিবার]] [[জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ|জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের]] ৬৫তম অধিবেশনে '''এখন থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে [[জাতিসংঘ]]।''' - এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে উত্থাপন করে [[বাংলাদেশ]]।
==উদ্যাপন==
▲
▲বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হয়। এদিন শহীদ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে [[রেডিও]], [[টেলিভিশন]] এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের সংবাদপত্রগুলিও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।
▲১৯৮৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে 'বাংলা ভাষা প্রচলন বিল' পাশ হয়।
▲== আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি ==
▲[[কানাডা]]র ভ্যাঙ্কুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ''আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস'' হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন [[জাতিসংঘের মহাসচিব]] [[কফি আনান|কফি আনানের]] কাছে ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে।
▲<ref>[http://www.bbc.co.uk/bengali/news/story/2006/02/printable/060220_torontokhan.shtml টরন্টোয় একুশে, বিবিসি বাংলা]</ref> ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের [[১৭ নভেম্বর]] অনুষ্ঠিত [[ইউনেস্কো|ইউনেস্কোর]] [[প্যারিস]] অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে '''আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস''' হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি [[জাতিসঙ্ঘ|জাতিসঙ্ঘের]] সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=U.N. General Assembly, Sixty-first Session, Agenda item 114, Resolution adopted by the General Assembly, 61/266. Multilingualism (A/RES/61/266) |ইউআরএল=http://daccessdds.un.org/doc/UNDOC/GEN/N06/510/33/PDF/N0651033.pdf?OpenElement# |সংগ্রহের-তারিখ=২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20081216125347/http://daccessdds.un.org/doc/UNDOC/GEN/N06/510/33/PDF/N0651033.pdf?OpenElement# |আর্কাইভের-তারিখ=১৬ ডিসেম্বর ২০০৮ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> ২০১০ সালের [[২১ অক্টোবর]] [[বৃহস্পতিবার]] [[জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ|জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের]] ৬৫তম অধিবেশনে '''এখন থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে [[জাতিসংঘ]]।''' - এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে উত্থাপন করে [[বাংলাদেশ]]। গত মে মাসে ১১৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের তথ্যবিষয়ক কমিটিতে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়।<ref>[http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2010-10-23/news/103596 একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে জাতিসংঘ]</ref>
== আরও দেখুন ==
৬৬ ⟶ ৫৯ নং লাইন:
== বহিঃসংযোগ ==
* [http://www.internationalmotherlanguageday.com আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এর ইতিহাস]
* [http://www.unesco.org/new/en/unesco/events/prizes-and-celebrations/celebrations/international-days/international-mother-language-day-2014/ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস জন্য ইউনেস্কো
* [https://web.archive.org/web/20050928184902/http://portal.unesco.org/education/en/ev.php-URL_ID%3D19644%26URL_DO%3DDO_TOPIC%26URL_SECTION%3D201.html ইউনেস্কো শিক্ষা]
{{বাংলা ভাষা আন্দোলন}}
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের জাতীয় দিবস]]
|