মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আ হ ম সাকিব (আলোচনা | অবদান)
→‎নামকরণ: স্প্যাম রোধ
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৩৮ নং লাইন:
|established_event3=[[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান|বর্তমান সংবিধান]]
|established_date3=২১ জুন, ১৭৮৮
|area_footnote=<ref name="WF">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/geos/us.html|titleশিরোনাম=United States|publisherপ্রকাশক=CIA|workকর্ম=The World Factbook|dateতারিখ=2009-09-30|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2010-01-05 (area given in square kilometers)}}</ref>{{Ref label|areabox|c|}}
|area_sq_mi=3794101
|area_km2=9826675
৪৪ নং লাইন:
|area_magnitude=1 E12
|percent_water=৬.৭৬
|population_estimate=৩২৫,০১২,০০০<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.census.gov/popclock/|titleশিরোনাম=U.S. and World Population Clock|publisherপ্রকাশক=[[United States Census Bureau]]|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=January 24, 2017}}</ref>
|population_census=৩০৯,৩৪৯,৬৮৯<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.census.gov/programs-surveys/popest.html|formatবিন্যাস=pdf|titleশিরোনাম=U.S. census department data|publisherপ্রকাশক=[[United States Census Bureau]]|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=January 24, 2017}}</ref>
|population_estimate_year=২০১৭
|population_estimate_rank=৩য়
৫৮ নং লাইন:
|GDP_PPP_per_capita=$৫৭,২২০<ref name=imf2/>
|GDP_PPP_per_capita_rank=১৪তম
|GDP_nominal={{nowrap|$১৮.৫৫৮ ট্রিলিয়ন}}<ref name=imf2>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.imf.org/external/pubs/ft/weo/2016/01/weodata/index.aspx|titleশিরোনাম=Report for Selected Countries and Subjects|publisherপ্রকাশক=IMF|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=June 19, 2016}}</ref>
|GDP_nominal_year=২০১৬
|GDP_nominal_rank=১ম
৬৬ নং লাইন:
|Gini_year=২০১৩
|Gini_change=<!-- Increase/decrease/steady. -->
|Gini_ref=<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=OECD Income Distribution Database: Gini, poverty, income, Methods and Concepts|urlইউআরএল=http://www.oecd.org/els/soc/income-distribution-database.htm|websiteওয়েবসাইট=Organisation for Economic Co-operation and Development}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Global inequality: How the U.S. compares|urlইউআরএল=http://www.pewresearch.org/fact-tank/2013/12/19/global-inequality-how-the-u-s-compares/|websiteওয়েবসাইট=Pew Research}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|titleশিরোনাম=Income Distribution and Poverty : by country – INEQUALITY|urlইউআরএল=http://stats.oecd.org/index.aspx?queryid=46189|websiteওয়েবসাইট=OECD|deadurlঅকার্যকর-ইউআরএল=yes|archiveurlআর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20150402093506/http://stats.oecd.org/index.aspx?queryid=46189|archivedateআর্কাইভের-তারিখ=April 2, 2015}}</ref>
|HDI=০.৯২০<!-- Number only. -->
|HDI_year=২০১৫<!-- Please use the year to which the data refers, not the publication year. -->
|HDI_change=increase<!-- Increase/decrease/steady. -->
|HDI_ref=<ref name="HDI">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://hdr.undp.org/sites/default/files/2016_human_development_report.pdf|titleশিরোনাম=2016 Human Development Report|yearবছর=2016|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=March 23, 2017|publisherপ্রকাশক=United Nations Development Programme}}</ref>
|HDI_rank=১০ম
|currency=[[মার্কিন ডলার]] ($)
৮৩ নং লাইন:
|demonym= মার্কিন (বিশেষণ), মার্কিনী (বিশেষ্য)
|footnotes=
{{note|engoffbox}}ক. ইংরেজি অন্তত ২৮টি রাজ্যের সরকারি ভাষা। "সরকারি" কথাটির অর্থভেদের ভিত্তিতে কোনো কোনো সূত্র অনুযায়ী এই সংখ্যাটি আরও বেশি।<ref name=ILW>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|authorলেখক=Feder, Jody| urlইউআরএল = http://www.ilw.com/immigrationdaily/news/2007,0515-crs.pdf| titleশিরোনাম = English as the Official Language of the United States—Legal Background and Analysis of Legislation in the 110th Congress|dateতারিখ=2007-01-25| publisherপ্রকাশক = Ilw.com (Congressional Research Service)| accessdateসংগ্রহের-তারিখ = 2007-06-19}}</ref> ইংরেজি ও [[হাওয়াইয়ান ভাষা|হাওয়াইয়ান]] উভয় ভাষাই হাওয়াই রাজ্যের সরকারি ভাষা।
 
{{note|engfactobox}}খ. ইংরেজি ভাষা মার্কিন সরকারের কার্যত (De facto ''ডি ফ্যাক্টো'') সরকারি ভাষা। পাঁচ বছর এবং তার অধিক বয়স্ক আমেরিকানদের ৮০ শতাংশের একমাত্র কথ্য ভাষাও হল ইংরেজি। স্পেনীয় ভাষা [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্পেনীয় ভাষা|দ্বিতীয় সাধারণ কথ্য ভাষা]]।
৯৩ নং লাইন:
'''মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র''' ({{lang-en|United States of America}} ''ইউনাইটেড্ স্টেইট্‌স্ অফ্ আমেরিকা''; সংক্ষেপে '''ইউনাইটেড স্টেটস''' বা '''ইউ. এস.''') [[উত্তর আমেরিকা|উত্তর আমেরিকায়]] অবস্থিত '''''একান্ন''''' [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যসমূহ|রাজ্য]] ও একটি [[ওয়াশিংটন, ডি.সি.|যুক্তরাষ্ট্রীয় জেলা]] নিয়ে গঠিত এক [[যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র|যুক্তরাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র]]। এই দেশটি '''যুক্তরাষ্ট্র''' নামেও পরিচিত। উত্তর আমেরিকা মহাদেশের মধ্যভাগে অবস্থিত আটচল্লিশটি রাজ্য ও [[ওয়াশিংটন, ডি.সি.|রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি অঞ্চল]]সহ [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড|মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডটি]] পশ্চিমে [[প্রশান্ত মহাসাগর|প্রশান্ত]] ও পূর্বে [[আটলান্টিক মহাসাগর]]দ্বয়ের মধ্যস্থলে অবস্থিত; এই অঞ্চলের উত্তর ও দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত যথাক্রমে [[কানাডা]] ও [[মেক্সিকো]] রাষ্ট্রদ্বয়। [[আলাস্কা]] রাজ্যটি অবস্থিত মহাদেশের উত্তর-পশ্চিমে; এই রাজ্যের পূর্ব সীমান্তে রয়েছে কানাডা ও পশ্চিমে [[বেরিং প্রণালী]] পেরিয়ে রয়েছে [[রাশিয়া]]। [[হাওয়াই]] রাজ্যটি মধ্য-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত একটি [[দ্বীপপুঞ্জ]]। এছাড়াও [[ক্যারিবীয়]] সাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরের [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-শাসিত অঞ্চল|অনেক অঞ্চল]] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকারভুক্ত।
 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আয়তন প্রায় ৯৮.৩ লক্ষ বর্গকিলোমিটার (৩৭.৯ লক্ষ বর্গমাইল)। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি ৯০ লক্ষ। সামগ্রিক আয়তনের হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তৃতীয় অথবা চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্র। আবার স্থলভূমির আয়তন ও জনসংখ্যার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বৈচিত্র্যমণ্ডিত [[বহুজাতিক সমাজ|বহুজাতিক সমাজব্যবস্থা]]। [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন|বহু দেশ থেকে বিভিন্ন জাতির মানুষের অভিবাসনের]] ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আজ একটি [[বহুসংস্কৃতিবাদ|বহুসংস্কৃতিবাদী]] দেশ।<ref name="DD">Adams, J.Q., and Pearlie Strother-Adams (2001). ''Dealing with Diversity''. Chicago: Kendall/Hunt. {{আইএসবিএন|0-7872-8145-X}}.</ref> [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি]] বিশ্বের বৃহত্তম জাতীয় অর্থনীতি। ২০০৮ সালে দেশের আনুমানিক [[জিডিপি]] হার ছিল ১৪.৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার (নামমাত্র বিশ্ব জিডিপির এক চতুর্থাংশ এবং [[ক্রয় ক্ষমতা সমতা]]য় বিশ্ব জিডিপির এক পঞ্চমাংশ)।<ref name="IMF GDP">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.imf.org/external/pubs/ft/weo/2008/02/weodata/index.aspx|publisherপ্রকাশক=International Monetary Fund|titleশিরোনাম=World Economic Outlook Database|month=October|yearবছর=2008|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2008-10-27}}</ref><ref>The [[European Union]] has a larger collective economy, but is not a single nation.</ref>
 
[[আমেরিকার আদিম অধিবাসী|আমেরিকার আদিম অধিবাসীরা]] সম্ভবত [[নতুন বিশ্বে অভিবাসনের মডেল|এশীয় বংশোদ্ভুত]]। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে এরা কয়েক হাজার বছর ধরে বসবাস করছে। তবে [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেটিভ আমেরিকান|নেটিভ আমেরিকানদের]] জনসংখ্যা [[আমেরিকায় ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপন|ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপনের]] পর থেকে মহামারী ও যুদ্ধবিগ্রহের প্রকোপে ব্যাপক হ্রাস পায়। প্রাথমিক পর্যায়ে [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূল|আটলান্টিক মহাসাগর তীরস্থ]] উত্তর আমেরিকার [[তেরোটি উপনিবেশ|তেরোটি ব্রিটিশ উপনিবেশ]] নিয়ে গঠিত হয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই এই উপনিবেশগুলি একটি [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র|স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র]] জারি করে। এই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে উপনিবেশগুলি তাঁদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ঘোষণা করে এবং একটি সমবায় সংঘের প্রতিষ্ঠা করে। [[আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধ|আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধে]] এই বিদ্রোহী রাজ্যগুলি [[গ্রেট ব্রিটেন রাজ্য|গ্রেট ব্রিটেনকে]] পরাস্ত করে। এই যুদ্ধ ছিল [[ঔপনিবেশিকতার ইতিহাস|ঔপনিবেশিকতার ইতিহাসে]] প্রথম সফল ঔপনিবেশিক স্বাধীনতা যুদ্ধ।<ref>Dull, Jonathan R. (2003). "Diplomacy of the Revolution, to 1783," p. 352, chap. in ''A Companion to the American Revolution'', ed. Jack P. Greene and J. R. Pole. Maiden, Mass.: Blackwell, pp. 352–361. {{আইএসবিএন|1-4051-1674-9}}.</ref> ১৭৮৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর [[ক্যালিফোর্নিয়া কনভেনশন]] বর্তমান [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান|মার্কিন সংবিধানটি]] গ্রহণ করে। পরের বছর এই সংবিধান সাক্ষরিত হলে যুক্তরাষ্ট্র একটি শক্তিশালী কেন্দ্রীয় সরকার সহ একক প্রজাতন্ত্রে পরিণত হয়। ১৭৯১ সালে সাক্ষরিত এবং দশটি [[মার্কিন সংবিধান সংশোধনের তালিকা|সংবিধান সংশোধনী]] সম্বলিত [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিল অফ রাইটস|বিল অফ রাইটস]] একাধিক [[স্বাভাবিক অধিকার|মৌলিক নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতা]] সুনিশ্চিত করে।
 
ঊনবিংশ শতাব্দীতে যুক্তরাষ্ট্র [[লুইজিয়ানা ক্রয়|ফ্রান্স]], [[অ্যাডামস-ওনিস চুক্তি|স্পেন]], [[ওরেগন কান্ট্রি|যুক্তরাজ্য]], [[মেক্সিকান-আমেরিকান যুদ্ধ|মেক্সিকো]] ও [[আলাস্কা ক্রয়|রাশিয়ার]] থেকে জমি অধিগ্রহণ করে এবং [[টেক্সাস প্রজাতন্ত্র]] ও [[হাওয়াই প্রজাতন্ত্র]] অধিকার করে নেয়। ১৮৬০-এর দশকে [[রাজ্যসমূহের অধিকার]] ও [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাসপ্রথা|দাসপ্রথার বিস্তারকে]] কেন্দ্র করে [[দক্ষিণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|গ্রামীণ দক্ষিণাঞ্চল]] ও [[উত্তর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|শিল্পোন্নত উত্তরাঞ্চলের]] বিবাদ [[মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গৃহযুদ্ধ|এক গৃহযুদ্ধের]] জন্ম দেয়। উত্তরাঞ্চলের বিজয়ের ফলে দেশের চিরস্থায়ী বিভাজন রোধ করা সম্ভব হয়। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রে [[মার্কিন সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী|দাসপ্রথা আইনত রদ]] করা হয়। ১৮৭০-এর দশকেই মার্কিন অর্থনীতি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির শিরোপা পায়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|authorলেখক=Maddison, Angus|urlইউআরএল=http://www.ggdc.net/maddison/Historical_Statistics/horizontal-file_09-2008.xls|titleশিরোনাম=Historical Statistics for the World Economy|publisherপ্রকাশক=The Groningen Growth and Development Centre, Economics Department of the University of Groningen|yearবছর=2006|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2008-11-06}}</ref> [[স্পেন-মার্কিন যুদ্ধ]] ও [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধ]] সামরিক শক্তি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠা দান করে। [[দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ|দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের]] সময় এই দেশ [[পারমানবিক অস্ত্র ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র|প্রথম পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র]] হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং [[রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ|রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে]] স্থায়ী সদস্যপদ লাভ করে। [[ঠান্ডা যুদ্ধ|ঠান্ডা যুদ্ধের]] শেষভাগে এবং [[সোভিয়েত ইউনিয়নের ইতিহাস (১৯৮৫–১৯৯১)|সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর]] মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের একমাত্র [[মহাশক্তিধর রাষ্ট্র|মহাশক্তিধর রাষ্ট্রে]] পরিণত হয়। বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের দুই-পঞ্চমাংশ খরচ করে এই দেশ। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শক্তিধর রাষ্ট্র।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|authorলেখক=Cohen, Eliot A.|urlইউআরএল=http://www.foreignaffairs.org/20040701faessay83406/eliot-a-cohen/history-and-the-hyperpower.html|titleশিরোনাম=History and the Hyperpower|workকর্ম=Foreign Affairs|dateতারিখ=July/August 2004|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2006-07-14}} {{সংবাদ উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://news.bbc.co.uk/2/hi/americas/country_profiles/1217752.stm|titleশিরোনাম=Country Profile: United States of America|publisherপ্রকাশক=BBC News|dateতারিখ=2008-04-22|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2008-05-18}}</ref> ১৯৩০ এর দশকে ও একবিংশ শতকের প্রথম দশকের শেষে আমেরিকার অর্থনীতি 'অর্থনেতিক মহামন্দা' বা 'গ্রেট ডিপ্রেশন'র স্বীকার হয়।
 
== নামকরণ ==
১৫০৭ সালে জার্মান মানচিত্রকর মার্টিন ওয়াল্ডসিম্যুলার বিশ্বের একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন। এই মানচিত্রে তিনি ইতালীয় আবিষ্কারক ও মানচিত্রকর আমেরিগো ভেসপুচির নামানুসারে পশ্চিম গোলার্ধের নামকরণ করেন [[আমেরিকা|"আমেরিকা"]]।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.usatoday.com/news/nation/2007-04-24-america-turns-500_N.htm?csp=34|titleশিরোনাম=Cartographer Put 'America' on the Map 500 years Ago|workকর্ম=USA Today|dateতারিখ=2007-04-24|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2008-11-30}}</ref> মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে পূর্বতন ব্রিটিশ উপনিবেশগুলি প্রথম দেশের আধুনিক নামটি ব্যবহার করে। ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই "unanimous Declaration of the thirteen united States of America" নামে এই ঘোষণাপত্রটি "Representatives of the united States of America" কর্তৃক গৃহীত হয়।<!--Do not uppercase "united" here: it is unambiguously lowercased in the Declaration--><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.archives.gov/exhibits/charters/charters.html|titleশিরোনাম=The Charters of Freedom|publisherপ্রকাশক=National Archives|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2007-06-20}}</ref> ১৭৭৭ সালের ১৫ নভেম্বর দ্বিতীয় মহাদেশীয় কংগ্রেসে আর্টিকলস অফ কনফেডারেশন বিধিবদ্ধকরণের মাধ্যমে বর্তমান নামটি চূড়ান্ত হয়। এই আর্টিকেলে বলা হয়েছিল: "The Stile of this Confederacy shall be 'The United States of America.'" সংক্ষিপ্ত নাম হিসেবে ''the United States'' নামটি প্রামাণ্য। অন্যান্য প্রচলিত নামগুলি হল ''the U.S.'', ''the USA'', ও ''America''। কথ্য নামগুলি হল ''the U.S. of A.'' ও ''the States''। [[ক্রিস্টোফার কলম্বাস|ক্রিস্টোফার কলম্বাসের]] নামানুসারে ''কলম্বিয়া'' নামটি এককালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হত। "ডিস্ট্রিক্ট অফ কলম্বিয়া" নামের মধ্যে এই নামটির আজও অস্তিত্ব রয়েছে।
 
মার্কিন নাগরিকেরা বাংলা ভাষায় "মার্কিনী" নামে পরিচিত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সংক্রান্ত বিশেষণ হিসেবে "মার্কিন" শব্দটি ব্যবহার করা হয়।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=http://www.ovidhan.org/b2b/মার্কিন|titleশিরোনাম=Meaning of মার্কিন}}</ref>
 
== ইতিহাস ==
১৩৬ নং লাইন:
 
== পরিমাপ পদ্ধতি ==
{{mainমূল নিবন্ধ|যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ একক}}
 
যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ একক ব্যবস্থা বিদ্যমান রয়েছে। তারা ব্রিটিশদের ব্যবহৃত একক হিসেবে [[মাইল]], [[গজ]] এবং [[ফারেনহাইট]] ইত্যাদি এককগুলো ব্যবহার করে না।<ref>"English units of measurement". ''The Columbia Encyclopedia'' 6th ed. 2001–2007. [http://web.archive.org/web/20080714214207/http://www.bartleby.com/65/en/Englsh-u.html archived copy].</ref> এর পরিবর্তে [[ইউ.এস গ্যালন]] এবং [[ইউ.এস পিন্ট]] পরিমাণের একক হিসেবে ব্যবহার করে। এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর তিনটি দেশের মধ্যে একটি, যারা [[আন্তর্জাতিক একক পদ্ধতি]] ব্যবহার করে না। [[মেট্রিক পদ্ধতি]]কে [[একক]] হিসেবে ধরে [[বিজ্ঞান]], [[চিকিৎসা]] এবং অনেক শিল্পখাতে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|urlইউআরএল=https://www.cia.gov/library/publications/the-world-factbook/appendix/appendix-g.html|titleশিরোনাম=Appendix G: Weights and Measures|publisherপ্রকাশক=CIA|workকর্ম=The World Factbook|dateতারিখ=|accessdateসংগ্রহের-তারিখ=2010-04-01}}</ref>
 
== তথ্যসূত্র ==