হিন্দি-উর্দু বিতর্ক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Tanay barisha (আলোচনা | অবদান) হটক্যাটের মাধ্যমে -বিষয়শ্রেণী:উর্দু; +বিষয়শ্রেণী:উর্দু ভাষা |
|||
১৬ নং লাইন:
|}
[[File:Digraphia in Hindustani.png|thumb|300px|ভারতের একটি সড়ক ফলকে [[উর্দু]], [[হিন্দি]] ও [[ইংরেজি]]।]]
'''হিন্দি-উর্দু বিতর্ক''' [[হিন্দি]] ও [[উর্দু|উর্দুর]] সরকারি ভাষার মর্যাদা প্রশ্নে ১৯শ শতাব্দীতে শুরু হওয়া একটি বিতর্ক। এই দুইটি ভাষা [[হিন্দুস্তানি ভাষা|হিন্দুস্তানির]] দুটি রূপ। ১৯৫০ সালে সরকারি ঘোষণার মাধ্যমে এই বিতর্ক দাপ্তরিকভাবে শেষ হলেও এর রেশ রয়ে গেছে। মুসলিমদের পক্ষ থেকে বলা হয় যে হিন্দুরা [[উর্দু]] ভাষা ত্যাগ করেছে। অন্যদিকে হিন্দুদের বক্তব্য হল মুসলিম শাসনামলে উর্দু কৃত্রিমভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে।<ref name="Khan2006">{{বই উদ্ধৃতি|
আক্ষরিকভাবে হিন্দি ও উর্দু [[খাড়িবুলি ভাষা|খাড়িবুলি ভাষার]] দুইটি রূপ। বিশেষত উত্তর ও মধ্য ভারতে এই ভাষার প্রচলন বেশি। খাড়িবুলি ভাষার ফারসি প্রভাবিত রূপ উর্দু বলে পরিচিত। [[দিল্লি সালতানাত]] (১২০৬-১৫২৬) ও [[মুঘল সাম্রাজ্য|মুঘল সাম্রাজ্যের]] (১৫২৬-১৮৫৮) সময়কালে [[উর্দু]] উপমহাদেশে গড়ে উঠে।<ref name="National Council for Promotion of Urdu language 2">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|
উনিশ শতাব্দীর শেষ কয়েক দশক ভারতের উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ এবং আওধে হিন্দি ও উর্দু নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। হিন্দির পৃষ্ঠপোষকরা [[দেবনাগরী লিপি|দেবনাগরী]] হরফে হিন্দুস্তানি ভাষা লেখার দাবি জানায়। উত্তর ভারতে দেবনাগরী হরফের সরকারি স্বীকৃতির জন্য আন্দোলন গড়ে উঠে। বাবু শিব প্রসাদ ও [[মদন মোহন মালব্য]] ছিলেন এই আন্দোলনের প্রথমদিককার নেতা। এর ফলশ্রুতিতে উর্দুর সরকারি মর্যাদা রক্ষার জন্য পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে উর্দু আন্দোলন গড়ে উঠে। [[সৈয়দ আহমদ খান]] ছিলেন উর্দুর পক্ষের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি।
৩৪ নং লাইন:
===ব্রিটিশ ভাষা নীতি===
{{Further|দক্ষিণ এশিয়ায় ফারসি ভাষা}}
১৮৩৭ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বিভিন্ন প্রদেশে ফারসির স্থলে স্থানীয় ভাষার ব্যবহার শুরু করে। তবে উত্তর ভারতে ফারসির বদলে [[ফার্সি লিপি|ফার্সি হরফে]] লিখিত উর্দু ভাষার ব্যবহার শুরু হয়।<ref name="Paul R. Brass">Language, Religion and Politics in North India by Paul R. Brass, Publisher: iUniverse, Incorporated, {{আইএসবিএন|978-0-595-34394-2}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি |
===হিন্দি ও উর্দু আন্দোলন===
{{
১৮৬৭ সালে যুক্ত প্রদেশের কিছু হিন্দু [[উর্দু|উর্দুর]] স্থলে হিন্দিকে সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়ার দাবি জানায়।<ref name = "PK">[http://www.storyofpakistan.com/articletext.asp?artid=A133 Urdu-Hindi Controversy], from [http://www.storyofpakistan.com/ Story of Pakistan].</ref> বেনারসের বাবু শিব প্রসাদ ছিলেন নাগরির পৃষ্ঠপোষকদের অন্যতম। ১৮৬৮ সালে লিখিত ''মেমোরেন্ডাম অন কোর্ট ক্যারেক্টারস'' এ তিনি ভারতের মুসলিম শাসকদের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের ফারসি শিখতে বাধ্য করার অভিযোগ করেন। ১৮৯৭ সালে [[মদন মোহন মালব্য]] ''কোর্ট ক্যারেক্টার এন্ড প্রাইমারি এডুকেশন ইন নর্থ ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সেস এন্ড আওধ'' নামে কিছু দলিল ও বিবৃতির সংগ্রহ প্রকাশ করেন। এতে তিনি হিন্দির পক্ষে লেখেন।<ref name="Kenneth W. Jones"/><ref name="Ulrich Ammon, Marlis Hellinger">Status Change of Languages by Ulrich Ammon, Marlis Hellinger</ref>
৫৮ নং লাইন:
==স্বাধীনতা পরবর্তী অবস্থা==
১৯০০ সালের এপ্রিলে উত্তর পশ্চিম প্রদেশের ঔপনিবেশিক সরকার নাগরি ও [[ফার্সি লিপি|ফারসি-আরবি লিপি]] উভয়ের সমান সরকারি মর্যাদার আদেশ জারি করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |
[[চক্রবর্তী রাজাগোপালাচারী]] [[মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি|মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির]] মুখ্যমন্ত্রীর থাকার সময় মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে [[হিন্দুস্তানি ভাষা|হিন্দুস্তানিকে]] বাধ্যমূলক করেন তবে পরে এই সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেয়া হয়।<ref name="indiatoday">{{সংবাদ উদ্ধৃতি|
১৯৪৮ সালে পাকিস্তানে [[উর্দু|উর্দুকে]] রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে [[পূর্ব পাকিস্তান|পূর্ব পাকিস্তানে]] উর্দুর পাশাপাশি [[বাংলা]] রাষ্ট্রভাষা করার [[বাংলা ভাষা আন্দোলন|দাবি]] জানানো হয়। ১৯৫৬ সালের সংবিধানে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুর পাশাপাশি বাংলা স্থান লাভ করে।
|