আনোয়ার পাশা (সৈনিক): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্যায় এর পরিচালককে জানান।
৫২ নং লাইন:
 
===সারিকামিশের যুদ্ধ, ১৯১৪===
{{Mainমূল নিবন্ধ|সারিকামিশের যুদ্ধ}}
 
আনোয়ার পাশা রুশদের বিরুদ্ধে প্রেরিত [[ককেসাস অভিযান|ককেসাস অভিযানের]] নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। তিনি রুশদের ঘিরে ফেলে উসমানীয় অঞ্চল থেকে বিতাড়িত করে [[কারস]] ও [[বাতুমি]] দখন করতে চাইছিলেন। এই অঞ্চল [[রুশ-তুর্কি যুদ্ধ (১৮৭৭-৭৮)|১৮৭৭-৭৮ এর রুশ-তুর্কি যুদ্ধের]] সময় হাতছাড়া হয়। আনোয়ার পাশা নিজেকে দক্ষ সামরিক নেতা ভাবলেও [[অটো লিমান ভন সেন্ডারস]] তাকে অযোগ্য হিসেবে দেখতেন।<ref name="isbn0-8050-6884-8">{{বই উদ্ধৃতি|authorলেখক=Fromkin, David|titleশিরোনাম=A Peace to End All Peace: The Fall of the Ottoman Empire and the Creation of the Modern Middle East|urlইউআরএল=http://books.google.com/books?id=5Vh8r6M8QQMC|publisherপ্রকাশক=H. Holt|locationঅবস্থান=New York|yearবছর=2001|pagesপাতাসমূহ=119|isbnআইএসবিএন=0-8050-6884-8}}</ref> আনোয়ার [[থার্ড আর্ম (উসমানীয় সাম্রাজ্য)|থার্ড আর্মিকে]] নিজের ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণে এনে রুশদের একটি বড় ধরনের হামলার আদেশ দেন। ১৯১৪ এর ডিসেম্বর থেকে ১৯১৫ এর জানুয়ারি পর্যন্ত সংঘটিত [[সারিকামিশের যুদ্ধ|সারিকামিশের যুদ্ধে]] উসমানীয়রা পরাজিত হয়। তার পরিকল্পনা কাগজে কলমে কার্যকর মনে হলেও তিনি বাহ্যিক অবস্থা যেমন ভৌগোলিক পরিবেশ ও আবহাওয়ার মত ব্যাপার আমলে নেননি। ৯০,০০০ সৈনিক সংবলিত আনোয়ারের বাহিনী ১,০০,০০০ সৈনিকের রুশ বাহিনীর কাছে পরাজিত হয় এবং পিছু হটে আসার সময় দশ হাজারের মত তুর্কি সৈনিক মৃত্যুবরণ করে। [[প্রথম বিশ্বযুদ্ধে]] এটি ছিল উসমানীয়দের এককভাবে ব্যাপক পরাজয়। হোভান্নেস নামক জনৈক আর্মেনীয় যুদ্ধের সময় তার জীবন রক্ষা করলেও [[কনস্টান্টিনোপল|কনস্টান্টিনোপলে]] ফেরার পর আনোয়ার পাশা তার আর্মেনীয় সৈনিকদের উপর ব্যর্থতার দায়ভার চাপান। পরবর্তীতে তিনি আর্মেনীয়দের নির্বাসনের কাজ শুরু করেন এবং এর ফলে ব্যাপক সংখ্যক [[আর্মেনীয় গণহত্যা|আর্মেনীয় নিহত]] হয়।<ref>Palmer-Fernandez, Gabriel. ''Encyclopedia of Religion and War'', p. 139. Published 2003, Taylor & Francis. {{আইএসবিএন|0-415-94246-2}}</ref><ref>Tucker, Spencer. "World War I", p. 394. Published 2005, ABC-CLIO. {{আইএসবিএন|1-85109-420-2}}</ref><ref>Balakian, Peter. ''The Burning Tigris'', p. 184. Published 2003, HarperCollins. {{আইএসবিএন|0-06-019840-0}}.</ref><ref>Akcam, Taner. ''A Shameful Act'', p. 143. Published 2006, Henry Holt & Co. {{আইএসবিএন|0-8050-7932-7}}.</ref>
 
===রাজধানীর সেনাদের নেতৃত্ব, ১৯১৫-১৯১৮===
{{Mainমূল নিবন্ধ|গেলিপলির যুদ্ধ}}
[[File:Q-EnverJerusalem.jpg|250px|right|thumb|গেলিপলি যুদ্ধের পর আনোয়ার পাশা (মধ্যখানে) ও [[জামাল পাশা|জামাল পাশার]] (ডানে) জেরুজালেম সফর।]]
 
৬৮ নং লাইন:
 
===ইসলামের সেনা===
{{Mainমূল নিবন্ধ|আজারবাইজান ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক|ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব আর্মেনিয়া|অটোমান আর্মি অব ইসলাম}}
 
১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে [[রুশ বিপ্লব]] ও পরবর্তী [[রুশ গৃহযুদ্ধ|গৃহযুদ্ধের]] ফলে রুশ সেনারা ককেসাস থেকে সরে যায়। একই সময় কমিটি অব ইউনিয়ন এন্ড প্রোগ্রেস বলশেভিকদের বন্ধুত্ব অর্জনে সক্ষম হয় এবং ১৯১৮ এর ১ জানুয়ারি উসমানীয়-রুশ মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। রুশরা ককেসাস থেকে সরে আসার সময় আনোয়ার বিজয়ের ব্যাপারে ভাবেন। আনোয়ার পাশা দক্ষিণ রাশিয়া দখল করে নেয়ার পরিকল্পনা আলোচনা করলে জার্মানরা তাকে বিরত থাকতে বলে। তিনি [[অটোমান আর্মি অব ইসলাম|ইসলামের সেনা]] নামক নতুন সামরিক বাহিনী গড়ে তোলার নির্দেশ দেন যাতে কোনো জার্মান অফিসার থাকবে না। তার এই বাহিনী [[জর্জিয়া (রাষ্ট্র)|জর্জিয়াকে]] এড়িয়ে যায় এবং [[আজারবাইজান|আজারবাইজানের]] মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়। প্রাক যুদ্ধ সীমান্তে [[থার্ড আর্মি (উসমানীয় সাম্রাজ্য)|থার্ড আর্মিও]] অগ্রসর হয়।