অনুরাধা গান্ধী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাবুজ্জামান (আলোচনা | অবদান) সংশোধন |
|||
৫০ নং লাইন:
|box_width =
}}
'''অনুরাধা গান্ধী''' (১৯৫৪ — ১২ এপ্রিল ২০০৮) ছিলেন একজন ভারতীয় [[সাম্যবাদ|সাম্যবাদী]], লেখক, এবং বিপ্লবী নেত্রী। তিনি ভারতের নিষিদ্ধ ঘোষিত [[ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)|মাওবাদী কমিউনিস্ট পার্টির]] সদস্য ছিলেন।<ref name="Banned List">{{
[[মার্কসবাদ|মার্কসবাদী আন্দোলন]] দ্বারা খসড়াকৃত নীতিগত কাগজপত্রের ভেতরে অনুরাধা বর্ণবিভেদ এবং "[[নারীবাদ]] এবং মার্কসবাদ"-এর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। তিনি [[দণ্ডকারণ্য|দণ্ডকারন্যের]] মতো কৃষিভিত্তিক উৎপাদনকেন্দ্রিক এলাকায় গেরিলাদেরকে সম্ভাব্য শ্রমিক সমবায় গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে চেষ্টা করেন। তিনি পার্টিতে প্রভাবশালী পিতৃতান্ত্রিক ধারণার আধিপত্যের উপর সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন।<ref name="OPEN">{{
জ্যোতি পানোয়ানি লিখেছিলেন "নকশাল হুমকি', [[মনমোহন সিংহ]] বলেন, 'দেশের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি'। কিন্তু আমি মনে করি একটি মেয়ে যে সবসময় হাসত এবং যে সব দিক থেকে একটি সমৃদ্ধ জীবন ছেড়ে দিয়েছিল অন্যদের জীবনকে পরিবর্তন করতে"। জ্যোতি পানোয়ানি হচ্ছেন অনুরাধার ১৯৭০-এর দশকে কলেজের বন্ধু, যে তার মৃত্যু সম্বন্ধে লিখেছিলেন।<ref name="TOI">{{
==শৈশব==
আগের প্রজন্মের সাম্যবাদী, গণেশ ও কুমুদ শনবাগের<ref name="OPEN"/> মুম্বাই সিপিআই অফিসে বিবাহ হয় এবং এরকম একটি পরিবারে অনুরাধার জন্ম হয়।<ref name="OPEN"/> তারা ১৯৫০-এর দশকের মধ্যভাগ পর্যন্ত পার্টিতে ছিলেন, তখনও বর্তমানের মতো মাওবাদী ও মার্কসবাদী দলের মধ্যে ভাগ ছিল না।<ref name="OPEN"/> পরে গণেশ প্রতিরক্ষা কমিটির সদস্য হন, এবং কমিউনিস্টদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় স্বেচ্ছায় কাজ করতেন।<ref name="OPEN"/> কুমুদ একজন সক্রিয় সমাজকর্মী হিসেবে তার জীবন কাটিয়েছেন, এবং বর্তমানে তিনি এক নারী দলের সঙ্গে জড়িত আছেন।
তারা তাদের ছেলেমেয়েদের এমনভাবে লালনপালন করেন যে, তারা পরে বিপ্লবী হয়ে ওঠে। অনুরাধার ভাই, বিশিষ্ট [[মুম্বাই]]-ভিত্তিক নাট্যকার, প্রগতিশীল নাটক লিখতেন। অনুরাধা সান্তাক্রুজে জে বি ক্ষুদে স্কুলে পড়াশোনা করেন। সেই স্কুলটি শিশুদের বৈচিত্রময় মতামত এবং ধারনার উন্মুক্ত ছিল এবং সেখানে অনেক পড়তে উৎসাহিত করা হতো। সেখানে যেমন ধ্রুপদী নাচ এবং থিয়েটারের ক্ষেত্রে বিকাশের আয়োজন ছিলো।<ref name="OPEN"/>
৬৪ নং লাইন:
==রাজনৈতিক কর্মজীবন==
১৯৭০ সালে, মুম্বাইর এলফিনস্টোন কলেজ চরমপন্থী বামপন্থী কর্মীদের জন্য একটি ভরকেন্দ্র ছিল, এবং অনুরাধা সেক্ষেত্রে একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করেন। সেই সময়ের যুদ্ধ আক্রান্ত [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] শরণার্থী শিবির দেখে, এবং মহারাষ্ট্রের দুর্ভিক্ষ-আক্রান্ত এলাকাগুলো দেখে, তিনি সামাজিক কাজে জড়িয়ে পড়েন। তারপর তিনি প্রগ্রেসিভ ইয়ুথ মুভমেন্ট (PROYOM)-এ যোগ দেন, যেখানে তিনি তত্কালীন [[নকশাল আন্দোলন|নকশাল আন্দোলনের]] সাথে সংযুক্ত হন। ১৯৭৪ সালে ওয়রলি দাংগা প্রতিরোধে অংশ নেন। তিনি এফ্রো- আমেরিকান বিপ্লবী সংগঠনের আদলে গড়া ওঠা ১৯৭৫ খৃষ্টাব্দে দলিত পন্থের আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৭৭ সালে দিল্লীতে অনুষ্ঠিত সিভিল লিবার্টি কনফারেন্সে রাজনৈতিক বন্দীমুক্তির পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন তিনি। গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সংগঠন CPDR এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতাদের ভেতর তিনি ছিলেন একজন। নাগপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্ব পড়ানোর কাজে যুক্ত থাকায় বহু ছাত্র ও শিক্ষক তার দ্বারা বিপ্লবী রাজনীতিতে আকৃষ্ট হন। ভারতের জরুরী-অবস্থা পরবর্তীকালে যখন গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখন তিনি একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৮২ সালে ট্রেড ইউনিয়ন এবং দলিত আন্দোলনে তার আগ্রহের কারণে তাঁকে মুম্বাই থেকে নাগপুরের বিদর্ভ অঞ্চলে পাঠানো হয়। [[নাগপুর]] ছাড়াও কাম্পতি, খাপারখোলা, জবলপুর, অমরাবতী এলাকায় বিড়ি, ঠিকা ও রেলশ্রমিকদের সংগঠিত করেছেন। তিনি এই সময় প্রায় বেশ কয়েক বার গ্রেফতার হন, যার ফলে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।<ref name = "OPEN"/><ref name=":0">{{বই উদ্ধৃতি|title=রাসমনি থেকে অনুরাধা|last=সেইসব শহীদেরা|first=পিনাকী বিশ্বাস|publisher=অতিরিক্ত পাবলিকেশন|year=২০১৪|isbn=978-81-928741-0-4|location=কলকাতা|pages=২৪, ২৫}}</ref
== বিপ্লবী কর্মকান্ড ==
৭০ নং লাইন:
==ব্যক্তিগত জীবন==
অনুরাধা শনবাগ ১৯৮৩ সালে কোবাদ গান্ধীকে বিয়ে করেন,<ref>{{
==মৃত্যু==
অনুরাধা ১২ এপ্রিল, ২০০৮ তারিখে [[ম্যালেরিয়া]] ফ্যালসিপেরাম এর সাথে সম্পর্কিত রোগে মারা যান। তাঁর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, যা একাধিক অঙ্গ ব্যর্থতা বয়ে আনে; ফলে হাতের লেখা খারাপ হয়ে যায়।<ref name="Parsiana">{{
==তথ্যসূত্র==
|