নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
NahidSultanBot (আলোচনা | অবদান)
বট নিবন্ধ পরিষ্কার করেছে। কোন সমস্য থাকল এর পরিচালককে জানান।
৫ নং লাইন:
| location = [[ভারত মহাসাগর]]
| total islands. =
| major islands = {{ubl|[[গ্রেট নিকোবর দ্বীপ]]|[[ কার নিকোবর দ্বীপ]]}}
| are = {{convert |1648.13|km}}
| highest mount=
৬০ নং লাইন:
'''নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ''' <ref>{{cite news|title = Nicobar Islands declared as world biosphere reserv| url=http://timesofindia.indiatimes.com/home/environment/flora-fauna/Nicobar-Islands-declared-as-world-biosphere-reserve/articleshow/20358478.cms | accessdate = ১১-০১-২০১৭}}</ref> হল [[ভারত মহাসাগর]] এর একটি [[দ্বীপপুঞ্জ]]। এই দ্বীপপুঞ্জটি [[ভারত|ভারতের]] কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল [[আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ]] এর অন্তর্গত। [[আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ]] এর দক্ষিণ দিকে এই দ্বীপপুঞ্জ অবস্থিত। নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ [[সুমাত্র দ্বীপ|সুমাত্রা দ্বীপ]] থেকে {{convert |150|km}} উত্তর দিকে ও [[থাইল্যান্ড]] [[আন্দামান সাগর]] দ্বারা এই দ্বীপপুঞ্জ থেকে পৃথক।[[ভারতীয় উপমহাদেশ]] বা [[দক্ষিণ এশিয়া]] থেকে এই দ্বীপপুঞ্জ প্রায় {{convert |1300|km}} দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এবং [[বঙ্গোপসাগর]] দ্বারা পৃথক।
 
বর্তমানে এই দ্বীপপুঞ্জের [[গ্রেট নিকোবর দ্বীপ]] ইউনেসকো কর্তৃক [[বায়ষ্ফিয়ার ]] রিজার্ভ হিসেবে ঘোষনা করা হয়েছে।
 
==ইতিহাস==
নবম শতাব্দীতে আরব বেদুঈনদের কাছ থেকে সর্বপ্রথম এই দ্বীপপুঞ্জের অস্তিত্ব সম্বন্ধে জানতে পারা যায়, তারা সুমাত্রা যাত্রা করার সময় দ্বীপপুঞ্জের এই পথ ধরেই পাড়ি দিয়েছিল। সর্বপ্রথম পশ্চিমী পর্যটক মার্কো পোলো এটিকে ‘দ্য ল্যান্ড অফ হেড-হান্টারস’ রূপে আখ্যা দিয়েছিলেন। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে মারাঠারা এই দ্বীপপুঞ্জটিকৈ দখল করে নেয়। অষ্টদশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে এটি বারংবার ব্রিটিশ, ডাচ ও পর্তুগীজদের বাণিজ্যিক জাহাজ দখলকারী মারাঠা নৌসেনাপতি কানহোজী আংগ্রের ঘাঁটি হিসাবে গড়ে উঠেছিল।১৮৬৯ খ্রীষ্টাব্দে ইংরেজরা নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ দখল করে নেয় এবং ১৮৭২ খ্রীষ্টাব্দে এই নিকোবর দ্বীপপুঞ্জকে একটি একক প্রশাসনিক ইউনিট গঠনের জন্য আন্দামানের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়। ১৯৪২ সালে জাপানী সেনারা এই দ্বীপপুঞ্জটিকে দখল করে নেয় ও [[নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু]]র নেতৃত্বে [[আজাদ হিন্দ সরকার]] প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৪৫ সালের বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত তাদের ক্ষমতার অধীনেই থাকে। পরবর্তীকালে, [[ ভারত]] ব্রিটিশদের থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর এই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ভারতের উপর স্থানান্তরিত করে দেওয়া হয়।
==জলবায়ু==
নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সারা বছর ধরে একটি নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ু অনুভূত হয়। প্রায় ৮০ শতাংশ আর্দ্রতা সহ, সমুদ্র-বায়ু এখানকার তাপমাত্রার পরিমাণকে ২৩° সেন্টিগ্রেড থেকে ৩১° সেন্টিগ্রেডের মধ্যে রাখতে সাহায্য করে। এখানকার অধিবাসীরা বছরের বিভিন্ন সময়ে বর্ষা অনুভব করে। দক্ষিণ-পশ্চিম বায়ুপ্রবাহের দ্বারা বর্ষাকাল মে মাসের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবর মাসের প্রথমার্ধ পর্যন্ত চলতে থাকে। এরপর দেড় মাসের অন্তরালে নভেম্বর মাসে পুনরায় উত্তর-পূর্ব দিক থেকে বর্ষা শুরু হয়ে যায় এবং ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত চলতে থাকে।
৭৭ নং লাইন:
কিছু নির্দিষ্ট সমষ্টির, বিশেষ বিশেষ পালিত উৎসবগুলির মধ্যে রয়েছে- বাঙালীদের দূর্গাপূজা, তামিলদের পঙ্গুনি উথিরাম, তেলেগুদের পোঙ্গল এবং মালায়ালিদের জন্য ওনাম। আন্দামানে স্থানীয়ভাবে জন্ম নেওয়া মানুষ হিন্দু, মুসলিম ও খ্রীষ্টান ধর্মে বিভক্ত, যারা তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসবগুলি পালন করে। তাদের প্রধান কিছু উৎসবগুলির মধ্যে রয়েছে শিবরাত্রি, জন্মাষ্টমী, হোলি, দীপাবলি, রামনবমী, ঈদ্, খীষ্টমাস, গুড ফ্রাইডে ইত্যাদি। এখানে তিনটি ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ একে অপরের উৎসব-অনুষ্ঠানগুলিতে অংশগ্রহণ করে।
==শিক্ষাব্যবস্থা==
ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলির ন্যায়, নিকোবর দ্বীপপুঞ্জেও একই শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, এখানে ১৪ বছরের কম বয়সের শিশুদের জন্য বাধ্যতামূলক এবং বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা চালু রয়েছে। এখানকার উচ্চ-মাধ্যমিক শিক্ষা, কেন্দ্রীয় মধ্য শিক্ষা (সি.বি.এস.ই) পর্ষদ দ্বারা অনুমোদিত। মহাবিদ্যালয়গুলি সাধারণত [[ পন্ডিচেরি বিশ্ববিদ্যালয়]] এবং কিছু পলিটেকনিক মহাবিদ্যালয় রয়েছে যেগুলি নিউ দিল্লী-র দ্বারা অনুমোদিত। এখানে এমন মহাবিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব রয়েছে যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ডাক্তারি, ইঞ্জিনীয়ারিং এবং আইন বিষয়ে পেশাগত শিক্ষা অর্জন করতে পারে। এখানে এই প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
==ভাষা==
এই দ্বীপপুঞ্জের প্রধান ভাষা হল নিকোবরী। তবে, আধিকারিক ভাষাগুলি যেমন হিন্দি, [[বাংলা ভাষা|বাংলা]], তামিল, তেলেগু ও ইংরাজী ভাষারও এখানে ব্যাপকভাবে প্রচলন রয়েছে।প্রায় ২৫ শতাংশ নিকোবরবাসী [[বাংলা ভাষা]]য় কথা বলেন।
==অর্থনীতি==
নিকোবরে প্রধান অর্থকরী ফসল হিসাবে নরিকেল ও সুপারির ফলন হয়। এছাড়াও জমি ফসলের মধ্যে [[ডাল]], [[ তৈলবীজ]] ও শাক-সবজি এবং মশলার মধ্যে মরিচ, লবঙ্গ, জায়ফল ও দারুচিনির চাষ করা হয়। রাবার, লাল তৈল, পাম এবং কাজু-ও এখানে সীমিত পরিমাণে উৎপন্ন হয়। এই অঞ্চলের প্রধান প্রধান শিল্পগুলি হল পি.ভি.সি পাইপ ও জিনিষপত্র তৈরী, রঙ ও বার্ণিশ, ফাইবার গ্লাস, সফ্ট ড্রিঙ্ক ও পানীয় পদার্থ এবং ইস্পাতের আসবাবপত্র ইত্যাদি। এম.ভি হর্ষবর্ধন, এম.ভি আকবর, এম.ভি নিকোবর-এর ন্যায় নিয়মিত যাত্রিবাহী জাহাজ পরিষেবা পোর্টব্লেয়ার থেকে [[ চেন্নাই]], [[কলকাতা]] ও [[বিশাখাপত্তনম|বিশাখাপত্তনমের]] মধ্যে চলাচল করে।
==পর্যটন==
ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন, এই স্থান হল ভাসমান পান্না দ্বীপ ও পাথরের একটি সমষ্টি।নিকোবর দ্বীপপুঞ্জটি নারকেল ও পাম গাছ দিয়ে ঘেরা সুন্দর সমুদ্র-সৈকত ও তার স্বচ্ছ নীল জল এবং তার জলের নীচে ডুবে থাকা কোরাল ও অন্যান্য সামুদ্রিক জীবের অবস্থানের জন্য বিখ্যাত। ম্যানগ্রোভ সংযুক্ত খাঁড়ি বরাবর দূষণমুক্ত বায়ু এবং বিরল প্রজাতির উদ্ভিদ ও প্রাণী জীবনের দরুণ এই দ্বীপপুঞ্জ বিখ্যাত।<ref>{{cite news|title =দ্বীপ পর্যটন উৎসব ২০১৭ আজ শুরু | url= http://airworldservice.org/bangla/archives/16344
১১২ নং লাইন:
==বহিঃসংযোগ==
{{ভারতের দ্বীপপুঞ্জ}}
 
[[বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ]]