সুয়েজ খাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
103.231.161.17 (আলাপ)-এর করা 1টি সম্পাদনা বাতিল: তথ্যসূত্রহীন সংস্কার - কপি-পেস্...
৫৪ নং লাইন:
সুয়েজ খালের মালিকানা ও পরিচালনা মিসরের সুয়েজ ক্যানেল অথরিটির ওপর ন্যাস্ত। ‌আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী, সুয়েজ খাল শান্তিকালীন সময় অথবা যুদ্ধকালীন সময় - সব সময়েই যে কোন দেশের পতাকাবাহী বানিজ্যিক বা যুদ্ধ জাহাজের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
 
== ইতিহাস ==
 
সুয়েজ খালের ইতিহাস
প্রায় তিন হাজার বছর আগের ঘটনা। ফারাও রাজা নেকো তখন মিসরের অধিপতি। তিনি প্রতাপশালী নৃপতি। বিশাল তার নৌবহর। শিল্প সংস্কৃতির প্রতি তার অগাধ শ্রদ্ধা। কাজেই তিনি স্থির করেছিলেন যে, কোনো দেশ আক্রমণ করবেন না, যুদ্ধ করবেন না কখনো। তাহলে তিনি এই বিশাল নৌবহরকে কী কাজে লাগাবেন? ১৮৫৯ সালের ২৫ এপ্রিল সুয়েজ খালের খনন কাজ শুরু হয়। সুয়েজ খালের কথা লিখেছেন মোস্তাক চৌধুরী
বিশাল নৌবহরকে কি কাজে লাগাবেন ফারাও রাজা নেকো? চিন্তায় পড়ে গেলেন তিনি। রাতে ঘুমের ঘোরে ফারাও নিকো তার প্রশ্নের জবাব পেলেন। স্বপ্নাদৃষ্ট নৃপতি পরদিন সকালে তার সভাসদদের ডেকে বললেন স্বপ্নের কথা। সভাসদরা এক বাক্যে মেনে নিলেন তার প্রস্তাব। তিনি খালটি খনন করবেনই। এবার চাই শ্রমিক। দেখতে দেখতে লক্ষাধিক দাস সংগ্রহ হয়ে গেল। এবার শুরু হলো স্থান নির্বাচনের কাজ। ভূমি জরিপ শুরু হয়। পরে ঠিক হয় বর্তমান কায়রোর অনতিদূরে নীল নদ থেকে লোহিত সাগর পর্যন্ত দীর্ঘ হবে খালটি। সেই পথে চলবে বাণিজ্য আরব-পারস্যে এবং অনেক দূরের দেশেও। মিসরের নৌবাহিনী ধ্বংসের কাজে নিয়োজিত না হয়ে পারাপার করবে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি। মানুষে মানুষে গড়ে উঠবে সৌভ্রাতৃত্ব। নেকো বলেছিলেন সুয়েজ পূর্ব-পশ্চিম মিলনের প্রতীক, মিলনের সেতু। জলে-স্থলে দুইয়ে থাকবে যোগাযোগ মিলনের দ্বার।
খাল কাটা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে এমনি একদিনের কথা। নেকো হঠাৎ ভীত হয়ে উঠেছেন। তার বুক কাঁপছে। তিনি শঙ্কাগ্রস্ত এক অস্বাভাবিক মানুষ হয়ে উঠলেন। বন্ধ কর! বন্ধ কর!-- বন্ধ কর এ খনন! বন্ধ কর এ খনন! গুরুগম্ভীর আওয়াজ। ফারাও নেকো নতজানু হয়ে শুনছে সে দৈববাণী। তার চোখে জল, বুকে ভয়। মহামিলনের মহান স্বপ্ন তার ভেঙে খান খান হচ্ছে দৈববাণীতে। বাণীটি তার আরাধ্য দেবতার। তিনি শুনলেন, এ খালেই আসবে মিসরের বর্বর হামলাকারীরা। এ পথেই আসবে মিসরের বৈদেশিক শত্র“, মিসরের যত আপদ। কাজেই আর নয়, খাল নয়, জলপথ নয়, বন্ধ কর এ খনন। শেষপর্যন্ত নেকো বন্ধ করে দিলেন খাল-খননের কাজ। কিন্তু তবুও তার বুকের ভয় দূর হয় না। এমনি করে মিসরের ফারাও রাজাদের আমলে ভূমধ্যসাগর ও লোহিত সাগর এই দুই সাগরের মিলন আর হলো না। তারা বলতেন এ কাজ আর হবেও না কোনো দিন। দেবতার নিষেধ। সেই থেকে দীর্ঘদিন কেটে গেছে খালের কাজে আর হাত পড়েনি।
হঠাৎ একদিন আলবেনীয় মোহম্মদ আলীর বংশধর সৈয়দ পাশার আঙিনায় প্রবেশ করেন এক তরুণ ইঞ্জিনিয়ার। তিনি কায়রোর ফরাসি রাষ্ট্রদূতের পুত্র ফার্ডিনান্ড দ্য লেসেপস্?। লেসেপস্? সুদর্শন। সৈয়দ পাশাও বয়সে তরুণ। সুযোগ বুঝে একদিন লেসেপস্? তার বাসনার কথা জানালেন পাশাকে। তিনি রাজি হলেন। বলাবাহুল্য শুরু হলো নতুন করে মিসরের দুর্দশা। এই পথের সূত্র ধরেই এলো মৃত্যু, এলো জরা, এলো ধ্বংস, লোভ, লাঞ্ছনা, বঞ্চনা আর এলো বিশ্বাসঘাতকতা। যেন ফারাওদের সেই দৈববাণীর জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি। মিসর বিশ্বের বৃহত্তম রণাঙ্গন। সুয়েজ খালের ইতিহাস অনেক বড়। এই খাল তৈরি হতে সময় নেয় দশ বছর আর প্রাণ হারায় এক লাখ বিশ হাজার শ্রমিক।
 
== ধারণক্ষমতা ==