কল্কি অবতার এবং মোহাম্মদ সাহেব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Robin Saha (আলোচনা | অবদান)
ধ্বংসপ্রবণতা। পূর্বাবস্থায় ফেরত
ট্যাগ: হাতদ্বারা প্রত্যাবর্তন দৃশ্যমান সম্পাদনা
MdaNoman (আলোচনা | অবদান)
@Robin shaha ভালো সম্পাদনা লক্ষ্য করুন
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
১৪ নং লাইন:
'''''কল্কি অবতার এবং মোহাম্মদ সাহেব''''' ({{lang-hi|कल्कि अवतार और मुहम्मद साहब}}) হচ্ছে হিন্দিতে প্রকাশিত একটি বই।<ref name="VP">{{cite book |last1=Upādhyāya |first1=Veda Prakāśa |title=Kalki avatāra aura Muhammada Sāhaba |date=1969 |publisher=Viśva Ekatā Prakāśana (copyright from Michigan University) |url=https://books.google.com.bd/books?id=NOYrAAAAMAAJ&q=%E0%A4%B5%E0%A5%87%E0%A4%A6+%E0%A4%AA%E0%A5%8D%E0%A4%B0%E0%A4%95%E0%A4%BE%E0%A4%B6+%E0%A4%89%E0%A4%AA%E0%A4%BE%E0%A4%A7%E0%A5%8D%E0%A4%AF%E0%A4%BE%E0%A4%AF&dq=%E0%A4%B5%E0%A5%87%E0%A4%A6+%E0%A4%AA%E0%A5%8D%E0%A4%B0%E0%A4%95%E0%A4%BE%E0%A4%B6+%E0%A4%89%E0%A4%AA%E0%A4%BE%E0%A4%A7%E0%A5%8D%E0%A4%AF%E0%A4%BE%E0%A4%AF&hl=hi&sa=X&ved=0ahUKEwiJ6qfGmdLjAhUg_XMBHYInDQsQ6AEILTAC |accessdate=26 July 2019 |language=hi}}</ref><ref>{{cite book |title=Holy Vedas and Islam |publisher=Q.S. Khan's Books |first= Q.S.|last= Khan| isbn=9789380778112 |page=44 |pages=|url=https://books.google.com.bd/books?id=eyF-E1nHFFYC&pg=PA44&dq=ved+prakash+upadhyay&hl=bn&sa=X&ved=2ahUKEwiR5dWNhNLjAhXr63MBHQkTAlcQ6AEwAnoECAgQAQ#v=onepage&q=ved%20prakash%20upadhyay&f=false |accessdate=26 July 2019 |language=en}}</ref><ref>{{cite book |title=Pavitra Ved aur Islam Dharm |publisher=Q.S. Khan's Books |page=33 |url=https://books.google.com.bd/books?id=-sr00fsDSHYC&pg=PA33&dq=Ved+Prakash+Upadhyay&hl=bn&sa=X&ved=0ahUKEwjP6tOZidLjAhXBfX0KHRQNDNkQ6AEIPjAI#v=onepage&q=Ved%20Prakash%20Upadhyay&f=false |language=hi}}</ref> ভারতীয় [[সংস্কৃত]] পণ্ডিত অধ্যাপক ড. বেদ প্রকাশ উপাধ্যায় বইটি রচনা করেছেন।<ref>{{cite news|url=http://haryanaexpress.in/2019/04/09/in-the-field-of-sanskritoff|title=संस्कृत के क्षेत्र में विशिष्ट योगदान देने पर डा. वेद प्रकाश को मिला राष्ट्रपति सम्मान|date=9 April 2019|work=Haryana Express|accessdate=10 April 2019|last1=Prakash|first1=Ishwar}}{{Dead link|date=जून 2020|bot=InternetArchiveBot}}</ref><ref>{{cite news|url=https://m.khaskhabar.com/amp/news/news-dr-ved-prakash-upadhyay-gets-president-award-2018-news-hindi-1-335601-KKN.html?PageSpeed=off|title=डॉ वेद प्रकाश उपाध्याय को मिलेगा राष्ट्रपति सम्मान-2018|date=20 August 2018|work=khaskhabar|accessdate=10 August 2019}}</ref><ref>{{cite news|url=http://aggarjanpatrika.com/news/6248-डॉ-वेद-प्रकाश-उपाध्याय-को-राष्टऊपति-सम्मान.aspx|title=डॉ. वेद प्रकाश उपाध्याय को राष्टऊपति सम्मान|date=9 April 2019|work=aggarjanpatrika.com|accessdate=10 August 2019}}</ref> "সারস্বত বেদান্ত প্রকাশ সংঘ" (প্রয়াগ, ভারত) ১৯৬০ সালে বইটি প্রকাশ করে।<ref>{{cite book |last1=Vidyarthi |first1=Abdul Haque |title=Muhammad in World Scriptures |date=1997 |publisher=Dar-ul-Isha'at Kutub-e-Islamia |isbn=9788190053785 |page=338 |url=https://books.google.com.bd/books?id=MPrXAAAAMAAJ&q=Kalki+Avatar+Muhammad&dq=Kalki+Avatar+Muhammad&hl=bn&sa=X&ved=0ahUKEwjAnqHDitLjAhVIfSsKHUYHCBUQ6AEIOTAH |accessdate=26 July 2019 |language=en}}</ref><ref>{{cite book |last1=Rizvi |first1=Sayyid Saeed Akhtar |title=Prophecies about the Holy Prophet of Islam in Hindu, Christian, Jewish & Parsi Scriptures |date=2001 |publisher=Bilal Muslim Mission of Tanzania |isbn=9789987620210 |page=8 |url=https://books.google.com.bd/books?id=EZurAgAAQBAJ&pg=PA8&dq=kalki+avatar+muhammad&hl=bn&sa=X&ved=0ahUKEwjizbjxi9LjAhVTfH0KHdvMDmoQ6AEIIzAC#v=onepage&q=kalki%20avatar%20muhammad&f=false |accessdate=26 July 2019 |language=en}}</ref><ref>{{cite book |author1=Abdul Haque Vidyarthi |title=Muhammad in World Scriptures. |date=1990 |publisher=Adam publishers.}}</ref><ref>{{cite book |author1=Abdul Haq Vidyarthi |author2=U. Ali |title=Muhammad in Parsi, Hindu & Buddhist Scriptures |publisher=IB |date=1990}}</ref> ড. অসিত কুমার বন্দোপাধ্যায় বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন, তবে বাংলা সংস্করণটিতে লেখকের নূরুল হুদা নামটি সহনাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।<ref name=":0">কল্কি অবতার এবং মোহাম্মদ সাহেব - প্রকাশক: ইসলামী সাহিত্য প্রকাশনালয়।</ref> বাংলা সংস্করণটি ‘ইসলামী সাহিত্য প্রকাশনালয়’ হতে প্রকাশিত হয়েছে।<ref name=":0" />
 
বইটিবইটিতে [[মাওলানা আবদুল হক বিদ্যার্থী]] কাদিয়ানী কর্তৃক লিখিত বই ''Muhammad in World Scriptures (১৯৩৫)'' হতে অনুলিপিত হয়। মাওলানা আবদুল হক বিদ্যার্থী ছিলেনহিন্দুধর্মের [[মির্জা গোলাম আহমদকল্কি]] কাদিয়ানীরঅবতারের তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব সংক্রান্ত বক্তব্য ও কাদিয়ানী চিন্তাধারা সম্বলিত [[কাদিয়ানী সম্প্রদায়: তত্ত্ব ও ইতিহাস|কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের]] লেখক।<ref>''[https://www.abdulhaq.info/books/english/miws-1st-ed.pdf Muhammad in World Scriptures (১৯৩৫)] - [[মাওলানা আবদুল হক বিদ্যার্থী]]''</ref> এতেসাথে ইসলাম ধর্মের নবী [[মুহাম্মাদ|মুহাম্মাদকেমুহাম্মাদের]] হিন্দুধর্মের [[কল্কি]] অবতারের সাথেতুলনামূলক সাদৃশ্য দেখানোর পাশাপাশি বেদ ও পুরাণে মুহাম্মাদের ভবিষ্যৎবাণী থাকার দাবিচেষ্টা করা হয়েছে। ইসলামি চিন্তাবিদ [[জাকির নায়েক]]<ref>[https://www.ahmadiyya.org/images_blog/dr-naik-qadiyani-connection.pdf Comparison of work of Zakir Naik Salafi and Abdul Haq Vidyarthi Qadiyani] - জাহিদ আযিয কাদিয়ানী</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Research|প্রথমাংশ=Agniveer|তারিখ=2010-01-02|ভাষা=en-US|শিরোনাম=Dr Zakir Naik’s fraud exposed|ইউআরএল=https://agniveer.com/naikexposed/|সংগ্রহের-তারিখ=2022-09-26|ওয়েবসাইট=Agniveer}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=sunnipediabd.com - sunnipediabd Resources and Information.|ইউআরএল=http://ww1.sunnipediabd.com/|সংগ্রহের-তারিখ=2022-09-26|ওয়েবসাইট=ww1.sunnipediabd.com}}</ref>, [[মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান আজমী]] সহ বিভিন্ন ইসলামি বক্তা ওইসলামিক লেখক তাদের তুলনামূলক ধর্মালোচনায় বিষয়বস্তুরএই বইটির উপরতথ্য আলোচনাব্যবহার করেছেন এবং একইভাবে হিন্দুধর্মগ্রন্থে ইসলামি ভবিষ্যৎবাণী থাকারভবিষ্যৎবাণীর কথা দাবি করেন।<ref>{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Prophet Muhammad (pbuh) in the Hindu Scriptures – The Kalki Avtar – Dr Zakir Naik|ইউআরএল=https://www.youtube.com/watch?v=dkDY192-KUk|ভাষা=bn-BD}}</ref><ref> ''দিরাসাত ফিল ইয়াহুদিয়াত ওয়াল মাসীঈহিয়াত ওয়াদ্দীনিল হিন্দ -'' [[মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান আজমী]]</ref> বইটিতে ইসলামি ধর্মগ্রন্থ ও হিন্দু ধর্মগ্রন্থ থেকে বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার হয়েছে যা বিতর্কের সৃষ্টি করে। বলা হয়ে থাকে, হিন্দু ধর্মগ্রন্থ থেকে দেওয়া তথ্যগুলো ত্রুটিপূর্ণ ও ভ্রান্ত তথ্যসূত্রযুক্ত।<ref name=":2">''[[iarchive:20201023_20201023_0916|অভ্রান্ত বৈদিক শাস্ত্রের আলোকে কল্কি অবতার]];'' প্রকাশক: শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী; রচনা, সংকলন ও সম্পাদনা: প্রণয়কুমার পাল ও শুভাশীষ দত্ত; প্রকাশনা: অমৃতের সন্ধানে প্রকাশন; প্রথম প্রকাশ - ২০১৯।</ref>
 
== তুলনামূলক সাদৃশ্যতা দেখানো ==
== বিষয়বস্তু ও বিশ্লেষণ ==
বইটির বিষয়বস্তু মূলত [[কল্কি|কল্কি অবতারকে]] [[মুহাম্মাদ]] বলে দাবি এবং হিন্দুধর্মগ্রন্থে ইসলামীয় নবী মুহাম্মাদের উপস্থিতি দাবিতে আলোচনা। এজন্য হিন্দু শাস্ত্রের সূত্র হিসেবে কল্কি পুরাণ, ভবিষ্য পুরাণ, ভাগবত পুরাণ, বেদ প্রভৃতি বেছে নেওয়া হয়েছে। হিন্দু পণ্ডিতগণ এসমস্ত দাবিসমূহের সমালোচনা এবং বিরোধিতা করেন। একটি ভারতীয় সংগঠন ‘অগ্নিবীর’ এসমস্ত দাবীর সমালোচনা করে। এছাড়া “''অভ্রান্ত বৈদিক শাস্ত্রের আলোকে কল্কি অবতার (২০১৯)”'' বইতে কল্কি অবতারের সাথে দাবিকৃত সাদৃশ্যতার সমালোচনা পাওয়া যায়।<ref>''[[iarchive:20201023_20201023_0916|অভ্রান্ত বৈদিক শাস্ত্রের আলোকে কল্কি অবতার]];'' প্রকাশক: শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী; রচনা, সংকলন ও সম্পাদনা: প্রণয়কুমার পাল ও শুভাশীষ দত্ত; প্রকাশনা: অমৃতের সন্ধানে প্রকাশন; প্রথম প্রকাশ - ২০১৯ ।</ref>
 
* '''জন্মস্থান''': কল্কি জন্মস্থান শম্ভল গ্রামের সাথে মুহাম্মদের জন্মস্থান মক্কার আক্ষরিক অর্থের সাদৃশ্যতা।
বইটিতে কল্কিপুরাণ হতে কল্কির সাথে যেসমস্ত সাদৃশ্যতা দেখানো হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, আচরণগত সাদৃশ্যতা। যেমন: কল্কির সর্বশেষ আগমনের সাথে মুহাম্মাদ ইসলামের শেষ নবী; কল্কির শ্বেতঅশ্ব ও তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করার সাথে মুহাম্মাদের বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধের সাদৃশ্যতা, প্রভৃতি।<ref>কল্কি অবতার এবং মোহাম্মদ সাহেব - প্রকাশক: ইসলামী সাহিত্য প্রকাশনালয়।</ref> সমালোচকগণ এ ধরণের সাদৃশ্যতার বিপরীতে কল্কির সাথে মুহাম্মাদের বৈসাদৃশ্যসমূহের উদ্ধৃতি করেন।<ref name=":222">''[[iarchive:20201023_20201023_0916|অভ্রান্ত বৈদিক শাস্ত্রের আলোকে কল্কি অবতার]];'' প্রকাশক: শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী; রচনা, সংকলন ও সম্পাদনা: প্রণয়কুমার পাল ও শুভাশীষ দত্ত; প্রকাশনা: অমৃতের সন্ধানে প্রকাশন; প্রথম প্রকাশ - ২০১৯ ।</ref> আবার বইটিতে আক্ষরিক অর্থ প্রয়োগ করেও বিভিন্ন বিষয়ে সাদৃশ্যতা থাকার কথা বলা হয়। এধরণের আক্ষরিক অর্থ প্রয়োগ দ্বারা চরিত্রদ্বয়ের সাদৃশ্যতা তৈরিকে সমালোচকগণ ভ্রান্তিমূলক এবং অর্থের ভুল প্রয়োগ বলে মনে করেন।<ref name=":12">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Prophet Muhammad (pbuh) in the Hindu Scriptures – The Kalki Avtar – Dr Zakir Naik|ইউআরএল=https://www.youtube.com/watch?v=dkDY192-KUk|ভাষা=bn-BD}}</ref>
* '''পিতামাতার নাম''': কল্কির পিতামাতা বিষ্ণুযশ ও সুমতির সাথে মুহাম্মদের পিতামাতা আব্দুল্লাহ ও আমিনার সাদৃশ্যতা দেখানো হয়েছে। ‘আব্দুল্লাহ’ অর্থ ‘আল্লাহর দাস’ এবং ‘আমিনা’ অর্থ ‘শান্ত স্বভাবযুক্ত’; কল্কির পিতামাতার ক্ষেত্রেও একই অর্থ দাবি করা হয়েছে।
* '''আচরণগত''': বাহন হিসেবে ঘোরার ব্যবহার, অস্ত্রহিসেবে তরবাড়ি ব্যবহার, সর্বশেষ আগমন, অসাধুর দমন, পরাক্রমশালীতা, অল্পভাষণ, দান, কৃতজ্ঞতা ইত্যাদি আচরণগত দিক দিয়ে উভয়ের সাদৃশ্যতা দেখানো।
* '''জন্মসময়''': জন্ম তারিখের সাদৃশ্যতা।
 
== বিষয়বস্তু ওবিষয়বস্তুর বিশ্লেষণ ==
এছাড়াও বইটিতে [[ভবিষ্যপুরাণ|ভবিষ্য পুরাণের]] প্রতিসর্গ পর্বে বর্ণিত [[ইব্রাহিমীয় ধর্ম|ইব্রাহিমীয়]] [[আদম ও হাওয়া|আদম ও হব্যবতির]]([[হাওয়া]]), [[নূহ|নূহ্যের]] [[নূহের নৌকা|বৃত্তান্ত]] তুলে ধরা হয়েছে। পণ্ডিতদের মতে ভবিষ্য পুরাণের ‘প্রতিসর্গপর্ব’ অংশটি অষ্টাদশ কিংবা ঊনবিংশ শতকের প্রক্ষিপ্ত সংযোজন বলে বিবেচিত হয়।{{Sfn|Rocher|1986}}{{Sfn|Dalal|2014}}<ref>{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=uV-RrRoMzbgC|শিরোনাম=Rethinking India's Oral and Classical Epics|শেষাংশ=Alf Hiltebeitel|বছর=1999|প্রকাশক=University of Chicago Press|পাতাসমূহ=217–218|আইএসবিএন=978-0-226-34050-0}}</ref> [[মরিজ উইন্টারনিৎজ]] বলেছেন, ভবিষ্য পুরাণ শিরোনামে যেসব পুথি আমাদের হস্তগত হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে ''আপস্তম্বীয় ধর্মসূত্র'' গ্রন্থে উদ্ধৃত মূল ভবিষ্য পুরাণের সেই প্রাচীন কীর্তি নয়।<ref>For statement that the extant text is not the ancient work, see: Winternitz, volume 1, p. 567.</ref><ref>For the quotation in ''{{IAST|Āpastambīya Dharmasūtra}}'' attributed to the ''{{IAST|Bhaviṣyat Purāṇa}}'' not extant today, see: Winternitz, volume 1, p. 519.</ref> গুস্তাভ গ্লেসার দেখিয়েছেন, ভবিষ্য পুরাণের টিকে থাকা পাণ্ডুলিপিগুলো মূল ভবিষ্য পুরাণের প্রাচীন বা মধ্যযুগীয় সংস্করণও নয়। এই পর্বের রচয়িতা ইংরেজি বাইবেল এবং আরবি ইসলামী গ্রন্থ উভয়ই জানেন বলে মনে করা হয়, তবে এখানে ব্যবহৃত অনেক শব্দই আরবি শব্দ ও নাম থেকে উদ্ভূত হয়েছে, ইংরেজি উৎস থেকে তেমন ব্যবহৃত হয় নি। এতে মুঘল ইতিহাস সম্পর্কেও সমালোচনামূলক মন্তব্য রয়েছে (পাঠগুলোতে তাদের "মুকুল" বলা হয়েছে) এবং একজন ''মহামদের'' কথা বলা হয়েছে। সমালোচকগণ দেখান, ভবিষ্য পুরাণে বর্ণিত ''মহামদ'' হচ্ছেন ‘[[ম্লেচ্ছ]]’(=বিদেশি, বর্বর) এবং তিনিই [[ত্রিপুরাসুর]] নামক ‘[[দৈত্য (হিন্দুধর্ম)|দৈত্য]]’ বা ‘[[পিশাচ]]’ যার পুনর্জন্ম হয়েছে<ref>ভবিষ্য পুরাণ, ৩।২১।১১-১২</ref> এবং ''মুসলমান'' শব্দের অর্থ ধর্ম নষ্টকারী বলা হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Newar|প্রথমাংশ=Sanjeev|তারিখ=2009-12-24|ভাষা=en-US|শিরোনাম=Prophet in Hindu Scriptures – Bhavishya Puran (Part 2)|ইউআরএল=http://agniveer.com/prophet-puran/|সংগ্রহের-তারিখ=2022-09-23|ওয়েবসাইট=Agniveer}}</ref> আরবীয় শব্দের উপস্থিতি থেকে বুঝা যায় ভবিষ্য পুরাণের এই অংশটি চতুর্দশ শতাব্দির পরে ভালভাবে লেখা হয়েছিল এবং অবশ্যই মুঘল সাম্রাজ্যের উত্থানের পর এবং ভারতে আরবি উৎস প্রাপ্তির পর রচিত হয়েছিল।<ref name="Hiltebeitel1999p2754">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=uV-RrRoMzbgC|শিরোনাম=Rethinking India's Oral and Classical Epics|শেষাংশ=Alf Hiltebeitel|বছর=1999|প্রকাশক=University of Chicago Press|পাতাসমূহ=274–277|আইএসবিএন=978-0-226-34050-0}}</ref> এজন্য এই পর্বটি বহু পণ্ডিতকে ''ভবিষ্য পুরাণের'' গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পরিচালিত করেছে এবং এই পুরাণগুলো প্রামাণিক ধর্মগ্রন্থ হিসেবে গৃহীত হয়নি।{{Sfn|K P Gietz|1992}}{{Sfn|Rocher|1986}} এই পুরাণে ''সন্তে'' (Sunday থেকে এসেছে), ''ফার্বরী'' (ফেব্রুয়ারি থেকে এসেছে), ''সিক্সটী'' (Sixty থেকে এসেছে) সহ এধরণের শব্দের ব্যবহার আরও পাওয়া যায়।<ref name="Glaesser">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Glaesser|প্রথমাংশ=Gustav|বছর=1969|শিরোনাম=Review of Das Bhaviṣyapurāṇa (Münchener Indologische Studien vol. 5) by Adam Hohenberger, Helmut Hoffmann|পাতাসমূহ=511–513|jstor=29755461}}</ref> [[এ কে রামানুজন]] একটি " যথাযথভাবে হালনাগাদকৃত ভবিষ্য পুরাণ" গ্রন্থে [[খ্রিস্ট]], [[মুসা]] ও [[রাণী ভিক্টোরিয়া মসজিদ|রাণী ভিক্টোরিয়ার]] উল্লেখ পেয়েছেন।<ref name=":02">For quotations see: Ramanujan, A. K., "Folk Mythologies and {{IAST|Purāṇas}}" in: Doniger</ref> ''প্রতিসর্গপর্ব'' প্রসঙ্গে হাজরা বলেছেন: ''ভবিষ্য পুরাণ''-এর(এক।১।২-৩) অন্তর্গত হলেও ''প্রতিসর্গপর্ব'' আদম, নোয়া, যাকুতা, তৈমুরলং, নাদিরশাহ, [[আকবর]] (দিল্লীশ্বর), জয়চন্দ্র... এবং আরও অনেকের কথা বলে। ভারতে ব্রিটিশ শাসনের কথাও এ গ্রন্থ জানে, এমনকি [[কলকাতা]] ও পার্লামেন্টের কথাও উল্লেখ করে।<ref>For quotation describing the ''Pratisargaparvan'' as "practically a new work" see: Hazra, Rajendra Chandra, "{{IAST|The Purāṇas}}", in: Radhakrishnan (CHI, 1962), volume 2, p. 263.</ref>
{{নিরপেক্ষতা}}
 
[[মুহাম্মদ জিয়াউর রহমান আজমী]] তার ''দিরাসাত ফিল ইয়াহুদিয়াত ওয়াল মাসীঈহিয়াত ওয়া আদিয়ানিল হিন্দ'' (ইহুদি ধর্ম, খ্রিস্টধর্ম এবং ভারতীয় ধর্ম নিয়ে অধ্যয়ন) বইতে তিনি হিন্দুধর্মগ্রন্থে ইসলামী ভবিষ্যৎবাণী অন্তর্ভুক্ত হওয়ার দাবি করেছেন। তার মতে নবী ইব্রাহিমের সময়ে আর্য অভিপ্রায়ণ হয়েছিল এবং সেই সময়ে ভারতে কোনো নবীর আগমন ঘটেছিল। তার নির্দেশে সেই সময়ে হিন্দুধর্মগ্রন্থে ইসলামী ভবিষ্যৎবাণী সংযুক্ত হয়। যদিও তিনি আরও বলেছেন, হিন্দুদের অধিকাংশ ধর্মগ্রন্থ খলিফা [[মামুন বিন আল রশীদ|মামুন বিন আল রশীদের]] সময়ে [[বায়তুল হিকমাহ|বায়তুল হিকমাহতে]] আরবিতে অনূদিত হয়। কিন্তু তখনকার কোন লেখকই তাদের কোন বইতে এ সকল ভবিষ্যৎবাণী সম্পর্কে কোন কিছু উল্লেখ করেন নি। উদাহরণস্বরূপ [[আল বিরুনি]] রচিত ''তাহক্বীক মা লিলহিন্দ মিন মাক্বুলাতিন মা’ক্বুলাতিন ফিল আক্বলি আউ মারযুলা'' ও আরও দুইটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থের আরবি অনুবাদের ব্যাপারে বলেন, যেগুলোর কোনটিতে এসকল ভবিষ্যৎবাণীর ব্যাপারে কিছু বলা হয় নি। এছাড়া বইটির লেখক বেদ প্রকাশ উপাধ্যায়ের ব্যাপারে আজমি বলেন, তিনি এ বইতে এসকল ভবিষ্যৎবাণীর সত্যায়ন দাবি করলেও নিজে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন নি।<ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=الرحمن |প্রথমাংশ1=أعظمى، محمد ضياء |শিরোনাম=دراسات في اليهودية والمسيحية وأديان الهند |তারিখ=2001 |প্রকাশক=مكتبة الرشد، |পাতাসমূহ=৭০৩-৭০৮ |ইউআরএল=https://www.noor-book.com/en/book/internal_download/865e7470002231144605c52e5e264acd/2/fb5dd854dcf907fb80f85b5242f2e4f8/NDI2NzVlNmY3N2ZhOTUxNDMzZGVhY2I0NDg0MmI4OGMzNWIyMDgyNmRlZTI4ZmYxN2QyY2RjNGRkMGQzMzg0OWI5MmNkYjhmYTExNzEwNDA1N2YyNWMzNWIyYjBkYWEzMWVhOWUxZDJmZmUwYmM0MGI4ZWNkYWMxZjkzZGJlZjQxS1dhZ3ZyRUgwZnA3RmQrRThEeURZSFpKNysrUkFZQ3FoeG5WYTdaZkVhL2cranNiZFdnVThjWWc0OXZnTVpn |সংগ্রহের-তারিখ=১৪ আগস্ট ২০২২ |ভাষা=ar}}</ref><ref>{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ1=الرحمن |প্রথমাংশ1=أعظمى، محمد ضياء |শিরোনাম=دراسات في اليهودية والمسيحية وأديان الهند والبشارات في كتب الهندوس |তারিখ=2008 |প্রকাশক=مكتبة الرشد، |পাতাসমূহ=703-708 |ইউআরএল=https://books.google.com.bd/books?id=4bGWswEACAAJ&dq=%D8%AF%D8%B1%D8%A7%D8%B3%D8%A7%D8%AA+%D9%81%D9%8A+%D8%A7%D9%84%D9%8A%D9%87%D9%88%D8%AF%D9%8A%D8%A9+%D9%88+%D8%A7%D9%84%D9%85%D8%B3%D9%8A%D8%AD%D9%8A%D8%A9+%D9%88+%D8%A3%D8%AF%D9%8A%D8%A7%D9%86+%D8%A7%D9%84%D9%87%D9%86%D8%AF&hl=en&sa=X&redir_esc=y |সংগ্রহের-তারিখ=১৪ আগস্ট ২০২২ |ভাষা=ar}}</ref>
বইটিতে আরও দাবি করা হয়, বেদে মুহাম্মাদের ভবিষ্যৎবাণীর কথা আছে। যেমন অথর্ববেদের কুন্তপ সুক্তে বিদ্যমান ‘নরাসংশ’, যা যেকোনো প্রসংশিত ব্যাক্তির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়েছে, এর সাথে মুহাম্মাদ শব্দের অর্থ প্রশংসা বলে উক্ত সুক্তে মুহাম্মাদের বর্ণনার দাবি করা হয়েছে। উক্ত সুক্তে দেখা যায় কোনো ন্যায়পরায়ণ প্রশংসিত রাজার (ইন্দ্রের) উদ্দেশ্যে প্রশংসা করা হয়েছে, যদিও সেগুলোর সাথে মুহাম্মাদের সম্পর্ক পাওয়া যায় না।<ref>ড. তুলশিরাম শার্মা (লন্ডন ইউ কে.); ''[[অথর্ববেদ]] (ইংরেজি ভাষা); প্রকাশক- Vijaykumar Govindram Hasanand''</ref> মূলত মুহাম্মাদকে প্রমাণ করার জন্য প্রেক্ষাপট তৈরির উদ্দেশ্যে মন্ত্রের নির্দিষ্ট কিছু পদকে সূক্ষ্মভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং সেগুলোর অর্থগত মিল দেখানো হয়েছে। সমালোচকগণ এধরণের অর্থপ্রয়োগকে গুপ্ত প্ররোচনা বলে মনে করেন।<ref name=":13">{{সাময়িকী উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Prophet Muhammad (pbuh) in the Hindu Scriptures – The Kalki Avtar – Dr Zakir Naik|ইউআরএল=https://www.youtube.com/watch?v=dkDY192-KUk|ভাষা=bn-BD}}</ref>
 
শিবলি কলেজের সংস্কৃতের অধ্যাপক সুলতান মুবিনের দাবি করেছেন, এগুলো বানোয়াট ও হিন্দুদের পরবর্তী সংযোজন, মুসলিম শাসণামলে মুসলিম শাসকদের খুশি করার জন্য হিন্দুরা এগুলো অন্তর্ভূক্ত করেছে। যেমন: [[কল্কি পুরাণ]] ও [[ভবিষ্যপুরাণ]] বইয়ে ইসলামী বিষয়ে অনেক ভবিষ্যৎবাণী আছে।
 
হিন্দু পণ্ডিতগণ বইটির দাবিসমূহের বিরোধিতা করেন। অমৃতের সন্ধানে প্রকাশনি হতে প্রকাশিত “''[[iarchive:20201023_20201023_0916|অভ্রান্ত বৈদিক শাস্ত্রের আলোকে কল্কি অবতার]]”'' বইতে কল্কি অবতারের সাথে দাবিকৃত সাদৃশ্যতার সমালোচনা পাওয়া যায়। এছাড়া ভারতীয় সংগঠন অগ্নিবীর দাবিটির সমালোচনা করে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Newar|প্রথমাংশ=Sanjeev|তারিখ=2009-12-24|ভাষা=en-US|শিরোনাম=Prophet in Hindu Scriptures – An analysis (Part 1)|ইউআরএল=http://agniveer.com/prophet-hindu/|সংগ্রহের-তারিখ=2022-08-25|ওয়েবসাইট=Agniveer}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Newar|প্রথমাংশ=Sanjeev|তারিখ=2009-12-24|ভাষা=en-US|শিরোনাম=Prophet in Hindu Scriptures – Bhavishya Puran (Part 2)|ইউআরএল=http://agniveer.com/prophet-puran/|সংগ্রহের-তারিখ=2022-08-25|ওয়েবসাইট=Agniveer}}</ref> সমালোচনায় বলা হয়েছে,
* উভয়ের আচরণগত বৈশিষ্ট্য়ের অনেক বৈসাদৃশ্যতা দেখা যায়। তাছাড়া অর্থগত কোনো সাদৃশ্যতা থাকলেও চরিত্রদ্বয় এক নাও হতে পারে।<ref name=":22">''[[iarchive:20201023_20201023_0916|অভ্রান্ত বৈদিক শাস্ত্রের আলোকে কল্কি অবতার]];'' প্রকাশক: শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী; রচনা, সংকলন ও সম্পাদনা: প্রণয়কুমার পাল ও শুভাশীষ দত্ত; প্রকাশনা: অমৃতের সন্ধানে প্রকাশন; প্রথম প্রকাশ - ২০১৯ ।</ref>
* হিন্দুমতানুসারে কল্কিদেবকে ভগবান [[বিষ্ণু|বিষ্ণুর]] [[দশাবতার|অবতার]] রূপে দেখা হয়।<ref name=":1">[http://www.vedabase.net/bg/8/17/en1 B-Gita 8.17] {{ওয়েব আর্কাইভ|url=https://web.archive.org/web/20090429214109/http://vedabase.net/bg/8/17/en1|date=২৯ এপ্রিল ২০০৯}} "And finally in Kal-yuga (the yuga we have now been experiencing over the past 5,000 years) there is an abundance of strife, ignorance, irreligion and vice, true virtue being practically nonexistent, and this yuga lasts 432,000 years. In Kali-yuga vice increases to such a point that at the termination of the yuga the Supreme Lord Himself appears as the Kalki avatara"</ref> তিনি মানব হতে পারেনা।<ref name=":22" />{{Rp|পৃ:১৪}}
* হিন্দুদের বিশ্বাসানুযায়ী [[কল্কি|কল্কিদেবের]] আগমন হবে [[কলি যুগ|কলিযুগের]] শেষে। অর্থাৎ আরও ৪,২৭,০০০ বছর পর।<ref name="Brockington1998p287">{{বই উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://books.google.com/books?id=HR-_LK5kl18C|শিরোনাম=The Sanskrit Epics|লেখক=J. L. Brockington|বছর=1998|প্রকাশক=BRILL Academic|পাতাসমূহ=287–288 with footnotes 126–127|আইএসবিএন=90-04-10260-4}}</ref><ref name=":1" /> অতিতের কোনো সময়ে কল্কির আবির্ভাব ঘটতে পারে না।<ref name=":22" />{{Rp|পৃ:১৯}}
* কল্কির পিতা ‘বিষ্ণুযশ’ নামের অর্থ ‘বিষ্ণুর ন্যায় যশ যার’ এবং মাতা ‘সুমতি’ নামের অর্থ ‘সুবুদ্ধি’<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|শিরোনাম=Bangladict.com - অভিধানে 'মতি' এর অর্থ|ইউআরএল=http://www.bangladict.com/মতি|সংগ্রহের-তারিখ=2022-07-01|ওয়েবসাইট=www.bangladict.com}}</ref>। যার সাথে “আল্লাহর দাস” এবং “শান্ত স্বভাবযুক্ত” অর্থের সাদৃশ্যতা নেই। তাছাড়া মুহাম্মদের জন্মের আগে তার পিতার মৃত্যু হয়।<ref name="Meri2004">{{citation|last=Meri|first=Josef W.|title=Medieval Islamic civilization|url=http://books.google.com/books?id=H-k9oc9xsuAC|accessdate=3 January 2013|volume=1|year=2004|publisher=Routledge|language=ইংরেজি|isbn=978-0-415-96690-0|page=525|আর্কাইভের-তারিখ=১৪ নভেম্বর ২০১২|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20121114153019/http://books.google.com/books?id=H-k9oc9xsuAC|ইউআরএল-অবস্থা=কার্যকর}}</ref> কিন্তু কল্কির ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না।<ref name=":22" />{{Rp|পৃ:৩৮-৩৯; ৬৭}}
* বইটিতে [[মক্কা]] স্থানের সাথে কল্কির জন্মস্থান ''[[শম্ভল]]'' গ্রামের সাদৃশ্য দেখানো হয়েছে যার ব্যুৎপত্তিগত অর্থ করা হয়েছে ‘শান্তির স্থান’। অথচ শম্ভল (শম্ভু + আলয়) শব্দের আক্ষরিক অর্থ ‘কল্যানের নিবাস’। অপর দিকে মক্কা শব্দের আক্ষরিক অর্থ স্পষ্ট জানা যায় না।<ref name="Versteeghp513">{{cite book|url=https://books.google.com/books?id=OWQOAQAAMAAJ|title=Encyclopedia of Arabic language and linguistics, Volume 4|year=2008|publisher=Brill|page=513|isbn=978-90-04-14476-7|edition=Illustrated|author=Versteegh, Kees|editor1=C.H.M. Versteegh|editor2=Kees Versteegh}}</ref>
* কল্কি পুরাণের বর্ণনা অনুযায়ী শম্বল গ্রাম হবে নদী, পর্বত, কুঞ্জশোভিত, ষড়ঋতু সমন্বিত সমৃদ্ধ প্রকৃতি ও বনভূমি পূর্ণ স্থান। বনভূমি ও নদীবিহীন কোনো মরুভূমি অঞ্চল শম্বলগ্রাম হবে না। এছাড়া ভারতের উত্তর প্রদেশের [[সম্ভল লোকসভা কেন্দ্র|সম্ভল]] গ্রামকে পুরাণে উল্লিখিত গ্রাম বলে হিন্দুবিশ্বাসিগণ মনে করেন।<ref name=":22" />
* কল্কির জন্ম ''মাধব'' (চান্দ্র মাস অনুযায়ী মাঘ) মাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশ তিথিতে যা চন্দ্র মাসের ২৭ (কৃষ্ণপক্ষের ১৫দিন + ১২দিন) তারিখ হয়। অপরদিকে ‍মুহাম্মদের জন্ম তারিখ নির্ণয়ে মুসলিম সমাজে মতভেদ আছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|তারিখ=2016-04-22|ভাষা=bn|শিরোনাম=মহানবী (সা.)-এর জন্ম তারিখ নিয়ে ঐতিহাসিকদের অভিমত {{!}} কালের কণ্ঠ|ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/print-edition/islamic-life/2016/04/22/350124|সংগ্রহের-তারিখ=2022-06-30|ওয়েবসাইট=Kalerkantho}}</ref><ref name=":22" />{{Rp|পৃ:৫৭-৫৯}}
* পুরাণ অনুযায়ী কল্কি হবেন পিতামাতার চতুর্থ সন্তান।<ref>[[কল্কি পুরাণ]] ২।৩১</ref> কিন্তু মুহাম্মদের ক্ষেত্রে তা দেখা যায় না।
* কল্কির ‘দুই’ জন স্ত্রী ছিলেন ‘পদ্মা’ ও ‘রম্ভা’। পদ্মা হবেন সিংহলের (বর্তমান শ্রীলঙ্কার) রাজকন্যা।{{sfn|Rocher|1986|p=183 with footnotes}} এর সাথে দাবিকৃত চরিত্রের সাদৃশ্যতা নেই।<ref name=":22" />{{Rp|পৃ:৪৫-৪৭}}
 
== আরও দেখুন ==