বিশাল বটবৃক্ষ

স্বতন্ত্র বটবৃক্ষ

বিশাল বটবৃক্ষ কলকাতার হাওড়ায় আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে অবস্থিত আনুমানিক ২৭০ বছরের প্রাচীন বটগাছ।[১] এই উদ্ভিদ উদ্যানে পাঁচটি মহাদেশ থেকে নিয়ে আসা বিভিন্ন উদ্ভিদ প্রজাতি, বাঁশবাগান এবং পামবাগান থাকলেও এই বটগাছটি দর্শকদের অধিক দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ১৮৬৪ এবং ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দের প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বটগাছটির কতকগুলি প্রধান শাখা ভেঙে যায় ও ছত্রাক দ্বারা আক্রান্ত হল। বটগাছের প্রধান কান্ডটি নষ্ট হয়ে গেলে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে সেটি কেটে ফেলা হয়। যদিও মূল কান্ডটি না থাকলেও আশ্চর্যজনকভাবে গাছটি পরিপূর্ণ সতেজ ভাবে বেঁচে আছে।[২]

বিশাল বটবৃক্ষ
২০১১ খ্রিস্টাব্দে তোলা বিশাল বটবৃক্ষের আলোকচিত্র
প্রজাতিবট (ফাইকাস বেঙ্গালেনসিস)
অবস্থানআচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, শিবপুর, হাওড়া
স্থানাঙ্ক২২°৩৩′৩৯″ উত্তর ৮৮°১৭′১২″ পূর্ব / ২২.৫৬০৭৬২৮° উত্তর ৮৮.২৮৬৭৫৩১° পূর্ব / 22.5607628; 88.2867531
উচ্চতা২৪ মি (৭৯ ফু)
রোপণকাল১৭৭২ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে
তত্ত্বাবধায়কবোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া
বিশাল বটবৃক্ষের শাখা-প্রশাখা

এই বিশালাকার বটগাছটি পরিধি বরাবর ৩৩০ মিটার (১০৮০ ফুট) দীর্ঘ রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল, তবে বর্তমানে তবে গাছটি এর বাইরেও ছড়িয়ে পরেছে। গাছটি দ্রুত গতিতে বিস্তার লাভ করায়, বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া একে চলন্ত গাছ বলে অভিহিত করেছে।[৩] গাছটির বিশালাকৃতির চাঁদোয়া বা ছাউনির জন্য গিনেস বিশ্ব রেকর্ডে দ্য গ্রেট ব্যানিয়ন ট্রির নাম পাওয়া যায়।[৪][৫] ব্রিটিশ লেখিকা মারিয়া গ্রাহাম কলকাতার এই উদ্যানে ভ্রমণকালে বর্ণময় পরাশ্রয়ী উদ্ভিদ দ্বারা আবৃত এই বিশালাকার বটগাছটি দেখে মুগ্ধ হয়ে যান।[৬]

উদ্ভিদবিদ্যা শ্রেণিবিভাগ সম্পাদনা

উদ্ভিদবিদ্যার দ্বিপদ নামকরণ অনুযায়ী মোরাসিয়া পরিবারের এই বিশালাকার বটগাছটির বিজ্ঞানসম্মত নাম ফাইকাস বেঙ্গালেনসিসডুমুর ফলের মতো ছোট আকৃতির এই ফল পাকলে নরম ও লাল রঙের হয়; এই ফল খাওয়ার যোগ্য নয়। পাখিরা বটফল খেলে, পাখির বিষ্ঠা থেকে বাড়ির কার্নিশে বা অন্যান্য যেকোনো জায়গায় এই গাছ হয়ে যায়। এটি ভারতের একটি দেশজ উদ্ভিদ প্রজাতি।

ইতিহাস সম্পাদনা

 
ফ্রান্সিস ফ্রিথের তোলা বিশাল বটবৃক্ষের আলোকচিত্র, আনু. ১৮৫০-৭০

কমপক্ষে ২৭০ বছরের অধিক প্রাচীন এই বিশালাকার বটগাছটির উল্লেখ উনবিংশ শতকের বিভিন্ন ভ্রমণ বৃত্তান্তে পাওয়া যায়। প্রারম্ভিক সময়ে রচিত ভ্রমণ বৃত্তান্তের লেখকরা এটির বিশাল আকার এবং অস্বাভাবিক সংখ্যক বটের ঝুরির কথা লক্ষণীয় ভাবে উল্লেখ করেছেন। ১৭৮৭ খ্রিস্টাব্দে ক্যালকাটা রয়েল বোটানিক্যাল গার্ডেন (বর্তমানে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যান) প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পূর্ব থেকে এই গাছটি সেখানে ছিল। ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে প্রাপ্ত জে. ডি. হুকারের তথ্য অনুযায়ী এই বটবৃক্ষটি ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দের দিকে একটি খেজুর গাছের উপর বেড়ে উঠেছিল।[৭] ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে এ. পি. বেন্থালও একই তথ্য লিপিবদ্ধ করেন।[৮] গাছটি ১৮৬৪ এবং ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দের দুটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হল। ক্ষতিগ্রস্ত কাণ্ডে ছত্রাকের সংক্রমণটি দ্রুত ছড়িয়ে পরলে উদ্ভিদবিদরা এটিকে বাঁচানোর জন্য ৫৮ বছর লড়াই করেছিলেন।[৯] তবে মূল কাণ্ডটিকে বাঁচানো না গেলে ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে সেটি কেটে ফেলা হয়। গাছটির বিশাল সংখ্যক স্তম্ভমূল বা ঝুরি উল্লম্বভাবে মাটিতে চলে গেছে। যার ফলে বটগাছটিকে স্বতন্ত্র গাছের বদলে অরণ্য বলে বেশি মনে হয়।[১০]

মূল গাছের ক্ষতিগ্রস্ত কাণ্ডটি ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে কেটে ফেলার পর বটগাছটির কেন্দ্রস্থলে মূল গাছের চিহ্নস্বরূপ একটি স্মৃতিফলক তৈরি করা হয়েছে। জমি থেকে ১.৭ মিটার উপরে অবস্থিত আদি কাণ্ডটির বের ছিল ১৫.৭ মিটার বা প্রায় ৫১ ফুট।

বর্ণনা সম্পাদনা

বিভিন্ন সময়ে নথিভুক্ত তথ্য অনুযায়ী গাছের বৃদ্ধির পরিমাপ[৮]
বছর বটরে ঝুরির সংখ্যা বিস্তৃতির পরিধি
(মিটার)
অগ্রভাগের উচ্চতা
(মিটার)
মন্তব্য
১৮৫০ ৮৯ ২৪০ ২০.৫
১৯০০ ৪৬৪ ৩৭৭ ২০.৫ প্রধান কাণ্ডের গোঁড়ার
অংশের পরিধি ১৫ মি.
১৯৩৮ ৬৬৬ ৩৩৮ ২০.৫
১৯৪৬ ১০৪৪ ৪২৬ ২৭
১৯৬২ ১০০০ ৪০৮ ৩০
১৯৬৫ ১০৪৪ ৪২০ ৩০
১৯৬৮ ১০৫০ ৪২০ ৩০.৫ ১৯৬৯ এবং ১৯৭৮ এর ঘূর্ণিঝড়ের
প্রভাবে বৃদ্ধি হ্র্যাস পেয়েছে
১৯৭৩ ১১২৫ তথ্য নেই ৩০.৫
১৯৮০ ১৩৮০ ৩০.৫
১৯৮১ ১৫৭৩ ৪০২ ২৬.৪
১৯৮৪ ১৭৭৫ ৪১২ ২৪.০
১৯৮৬ ১৮২৫ ৪২০ ২৪.৫ আয়তন ছিল ১৪০০০
বর্গমিটার (৩৪৬ একর)

১২ ফেব্রুয়ারি, ১৮০৩ সম্পাদনা

 
মূল কাণ্ডের স্থান চিহ্নিত স্মৃতিফলক; ঘূর্ণিঝড় ও ছত্রাক আক্রমণের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত গাছের মূল কাণ্ডটি ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে কেটে ফেলা হলে সেই স্থানটিকে চিহ্নিত করে রাখা হয়। কেটে ফেলার সময় মূল কাণ্ডটির বের ছিল ১৫.৭ মিটার

জর্জ ভিসকাউন্ট ভ্যালেন্তিয়ার ভ্রমণবৃত্তান্ত থেকে ১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে বিশাল বটবৃক্ষের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা পাওয়া যায়। পর্যটকেরা এই বিশালাকৃতির বটবৃক্ষটিকে একটি গাছের চাইতে ক্ষুদ্রাকার বনভূমি বলতে বেশি পছন্দ করতেন।[১১]

ভ্রমণবৃত্তান্তে তিনি গাছটির বিশেষত্ব সম্পর্কে বলেন-

(ইংরেজি)

«The finest object in the garden is a noble specimen of the Ficus Bengalensis, on whose branches are nourished a variety of specimens of the parasitical plants, Epidendrons, Linodorums, and Filices.»

(বাংলা)

«এই উদ্ভিদ উদ্যানের সবচেয়ে বিশেষ হ'ল ফাইকাস বেঙ্গলেনসিসের একটি দুর্দান্ত নমুনা, যার শাখাগুলি পরজীবী উদ্ভিদ, এপিডেন্ড্রনস, লিনোডোরমস এবং ফিলাইসিসের বিভিন্ন নমুনা দ্বারা আবৃত।»

(জর্জ ভিসকাউন্ট ভ্যালেন্তিয়া, ভ্রমণবৃত্তান্ত সংক্রান্ত পুস্তকে)

ডিসেম্বর, ১৮৯৪ সম্পাদনা

উদ্ভিদবিদ জর্জ কিং এই বিশাল বটবৃক্ষের সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন। ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা থাকাকালীন কলকাতা রয়েল বোটানিক্যাল গার্ডেনে ভ্রমণকালে তিনি তথ্যগুলি নথিভুক্ত করেছিলেন। তাঁর বর্ণনা অনুযায়ী সেইসময় গাছটির প্রধান কাণ্ডটির গোঁড়ার অংশের পরিধি ছিল ৫১ ফুট এবং বটগাছের যেসকল স্তম্ভমূলগুলো মাটি স্পর্শ করেছিল তার সংখ্যা ছিল ৩৭৮ টি। মাটি স্পর্শ না করা নতুন শিকড়ের সংখ্যা ছিল পর প্রায় ১০০ টি। গাছটির সর্পিলাকার অংশগুলিকে ধরে চাঁদোয়া বা ছাউনির পরিধি ছিল ৯৭৬ ফুট এবং সর্পিলাকার অংশগুলিকে বাদ দিয়ে পরিধি ছিল ৮৫৮ ফুট। গাছটির উত্তর ও পশ্চিমদিকের শাখাগুলো বিভিন্ন সময়ে হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভেঙে যাওয়ায় গাছটি বৃত্তাকার ভাবে বিস্তৃত হয়নি। তাই গাছটির বৃহত্তম ব্যাসের দৈর্ঘ্য ২৮৭ ফুট এবং ক্ষুদ্রতম ব্যাসের দৈর্ঘ্য ২৬৪ ফুট।[১২]

বর্তমানে সম্পাদনা

বর্তমানে গাছটি প্রায় ১৮,৯১৮ বর্গমিটার (প্রায় ১.৮৯ হেক্টর বা ৪.৬৭ একর) জায়গা নিয়ে অবস্থিত। গাছের শীর্ষদেশের পরিধি ৪৮৬ মিটার এবং সবচেয়ে বড়ো শাখাটি ২৪.৫ মিটার উঁচু। এখন গাছটির প্রায় ৪০৩৩ টি স্তম্ভমূল উলম্বভাবে মাটিতে চলে গেছে।[৪] সমীক্ষা থেকে দৈত্যাকার এই গাছের ৬৭ টি অংশ দুর্বল বলে চিহ্নিত হলে ১৫-২০ ফুটের বাঁশ এবং ইউক্যালিপটাস গাছকে অবলম্বন হিসেবে ব্যবহার করে গাছের সুরক্ষা প্রদান করা হয়েছে।[৯]

২০২০ খ্রিস্টাব্দের ২০ মে পশ্চিমবঙ্গে ঘটা আমফান ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের বহু দেশি বিদেশি দুষ্প্রাপ্য গাছ, ফুল, পাখির বাসা সমেত ২৭০ বছরের পুরানো গিনেস বুক খ্যাত দ্য গ্রেট ব্যানিয়ন ট্রি বা বিশাল বটবৃক্ষ এই ঝড়ে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।[১৩][১৪]

সাংস্কৃতিক মাধ্যমে সম্পাদনা

বিখ্যাত জাপানি চিত্রপরিচালক আকিরা কুরোসাওয়া কলকাতায় এই বটবৃক্ষটি দেখতে আসেন এবং এই বৃক্ষের ব্যাপ্তি দেখে সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র নির্মাণের দক্ষতাকে দ্য গ্রেট ব্যানিয়ান ট্রির সঙ্গে তুলনা করেন।[৩][১৫] ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত অনলাইন আর্ট গ্যালারী গ্রেট ব্যানিয়ান আর্ট এই বটবৃক্ষটির নামানুসারে তাদের সংস্থার নামকরণ করে। এই নামের মাধ্যমে তারা তাদের সংস্থার চিন্তাভাবনা ও দৃষ্টিভঙ্গিকে দ্য গ্রেট ব্যানিয়ান ট্রির মতো গভীর, বিস্তৃত ও সতেজতার প্রতীক রূপে তুলে ধরেছে।[১৬]

আরও দেখুন সম্পাদনা

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Sambamurty 2005, পৃ. 206।
  2. "Great Banyan Tree"Atlas Obscura (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৯ 
  3. Service, Tribune News। "A Tree or a Monument?"Tribuneindia News Service (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১০ 
  4. "BSI Garden"bsi.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৯ 
  5. "Largest canopy on a living tree"Guinness World Records (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৯ 
  6. Pandey, Shakunt (জুন ২০১২)। "Cover Story: 225 Years of Botanic History"SR Vol.49(06) [June 2012] (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0036-8512 
  7. "Himalayan Journals (Complete), by J. D. Hooker"www.gutenberg.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪ 
  8. চক্রবর্তী, আর. কে.; মুখোপাধ্যায়, ডি. পি. (১৯৮৭)। Botanical Survey of India Bulletin:The Great Banyan Tree (English ভাষায়)। ২৯। কলকাতা: বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। পৃষ্ঠা ৬৬। 
  9. P, Jhimli Mukherjee; Apr 8, ey / TNN / Updated:; 2019; Ist, 09:25। "Botanic's great banyan tree gets special protection | Kolkata News - Times of India"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪ 
  10. Singh, Shiv Sahay (২০২০-০৫-২৪)। "Howrah's historic botanical garden turns into a graveyard of nearly 1,000 trees"The Hindu (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪ 
  11. Mountnorris, George Annesley; Salt, Henry; Galloway, J. Roy; United Service Club (Great Britain), former owner DSI; Russell E. Train Africana Collection (Smithsonian Institution. Libraries) DSI (১৮০৯)। Voyages and travels to India, Ceylon, the Red Sea, Abyssinia, and Egypt, in the years 1802, 1803, 1804, 1805, and 1806। Smithsonian Libraries। London : Printed for William Miller by W. Bulmer and Co.। পৃষ্ঠা ৬৪। 
  12. King, George (১৮৯৫)। A Guide to the Royal Botanic Garden, Calcutta (ইংরেজি ভাষায়)। Thacker, Spink। পৃষ্ঠা ১৯। 
  13. "আয়লা-ফণী পারেনি, উম্পুনে হার মানল বোটানিক্যাল গার্ডেনের ২৭০ বছরের বৃদ্ধ বটগাছ!"EI Samay। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪ 
  14. "Storm strikes 270-year-old Great Banyan Tree"www.telegraphindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৪ 
  15. B, Krishnendu; Jul 26, yopadhyay | TNN |; 2011; Ist, 07:01। "Mother of all trees - Times of India"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১০ 
  16. "Great Banyan Art: An online art gallery"www.greatbanyanart.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১০...the Banyan tree, which is regarded as a symbol of wisdom and knowledge.The Banyan Tree is known to have deep and widespread roots, signifying strength. ...Metaphorically speaking, this represents our brand's mission: long term commitment and vision. 

গ্রন্থপুঞ্জি সম্পাদনা