বাংলাদেশ বিমান বাহিনী যাদুঘর

বাংলাদেশের প্রথম বিমান জাদুঘর
(বিমান বাহিনী জাদুঘর থেকে পুনর্নির্দেশিত)

বিমান বাহিনী যাদুঘর ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশের প্রথম বিমান জাদুঘর। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর গৌরবময় ঐতিহ্যের ইতিহাস, সাফল্য ও উন্নয়নের ক্রমবিকাশকে সংরক্ষণ এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার প্রয়াসে এই জাদুঘর ২০১৪ সালে উন্মু্ক্ত করা হয়।[২]

বিমান বাহিনী যাদুঘর
বিমান বাহিনী যাদুঘরের প্রবেশদ্বার
মানচিত্র
স্থাপিত১৭ জুন ১৯৮৭ (1987-06-17)[১]
অবস্থানতেজগাঁও, ঢাকা, বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৩°৪৬′ উত্তর ৯০°২২′ পূর্ব / ২৩.৭৭° উত্তর ৯০.৩৭° পূর্ব / 23.77; 90.37
সংগ্রহ
  • ডাকোটা বিমান
  • অ্যালিউট হেলিকপ্টার
  • এফ-৮৬ যুদ্ধবিমান
  • মুক্তিবাহিনীর হান্টার জেট
  • মিগ-২১এফএল
  • ন্যাট বিমান
মালিকবাংলাদেশ বিমান বাহিনী
ওয়েবসাইটwww.bafmuseum.mil.bd

অবস্থান সম্পাদনা

এই জাদুঘরের পশ্চিমে রয়েছে বেগম রোকেয়া সরণি ও কম্পিউটার সিটি (আইডিবি ভবন) এবং পূর্বে রয়েছে তেঁজগাও বিমান বন্দরের সুবিশাল রানওয়ে ও বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার। উত্তর দিকে রয়েছে সুদৃশ্য হ্রদ এবং দক্ষিণে সবুজ বৃক্ষসারি ও বনানী।[৩]

পটভূমি সম্পাদনা

১৭ জুন ১৯৮৭ সালে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী জাদুঘরের গোড়া পত্তন হয়। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে বেগম রোকেয়া সরণি সংলগ্ন তেঁজগাও বিমান বন্দরের রানওয়ের পশ্চিম পার্শ্বে মনোরম পরিবেশে আরও সুবিন্যস্ত ও সুগঠিতভাবে পূণর্গঠন করা হয় এবং জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এই বিমান জাদুঘরটি উদ্বোধন করেন এয়ার মার্শাল এনামুল বারী।[৪]

উল্লেখযোগ্য সংগ্রহ সম্পাদনা

মূলত বিভিন্ন সময়ের হেলিকপ্টার ও বিমান দিয়েই এই জাদুঘর সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে:

  • বলাকা: বলাকা বাংলাদেশের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান। রাশিয়ার তৈরি এই বিমানটি বাংলাদেশে আসে ১৯৫৮ সালে।
  • এয়ার টুওরার: ট্রেইনিংয়ের জন্য এই বিমান ব্যবহার করা হয়। ১৯৯৭ সালে নিউজিল্যান্ডের তৈরি এই বিমান বাংলাদেশ বিমান বাহিনিতে যোগ হয়।
  • পিটি-৬: ১৯৮৫ সালে চিনের তৈরি এই বিমানটি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যুক্ত হয়।
  • ফুগাসি এম-১৭০: ফ্রান্সে ১৯৬০ সালে তৈরি করা এই বিমানটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয় ১৯৯৭ সালে।
  • গ্লাইডার: বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আকাশ অভিজ্ঞতার জন্য জার্মানির দেওয়া এই বিমানটি বাংলাদেশে আনা হয় ১৯৮২ সালে।
  • এয়ারটেক কানাডিয়ান ডিএইচ ৩/১০০০: কানাডার তৈরি এই বোমারু বিমানটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম সুমদ্র বন্দরে সফল অভিযান পরিচালনা করে।[৫]
  • হান্টার বিমান: মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশকে ভূমি শত্রু থেকে রক্ষা করতে এই বিমানটি ব্যবহার করে। ভারতীয় বিমানবাহিনী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে এই বিমানটি উপহার দেয়।[৫]
  • ডাকোটা বিমান: মুক্তিযুদ্ধের সময়কার একটি বোমারু বিমান। এটি ৫০০০ পাউন্ড বোম্ব বহন করতে সক্ষম।

এছাড়াও আছে এফটি-৫, মিগ-২১, জি নাট, এফ৬, এ৫-১১১।[৪]

জাদুঘরের সময়সূচী সম্পাদনা

বিমান বাহিনী জাদুঘর সোম থেকে শনিবার বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এবং বিশেষ দিন ব্যতীত প্রতি রবিবার বন্ধ থাকে।[৩] ৫০ টাকা মূল্যের টিকেট সংগ্রহ করে জাদুঘরে প্রবেশ করা যায়। এছারাও ৩০ টাকার টিকেটের বিনিময়ে ভেতরের হেলিকাপ্টার বা বিমানে উঠা যায়।[৬]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Welcome to BAF Haritage"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৪-১৮ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "বিমান জাদুঘর"bdnews24.com। ৬ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৬ 
  3. "..::BAF Museum::.." [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. "দেখে আসুন দেশের প্রথম বিমান জাদুঘর"রাইজিংবিডি ডটকম। ৯ ডিসেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৮ এপ্রিল ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "হেলিকাপ্টারে চড়া মাত্র ৩০ টাকায়"শেয়ারনিউজ২৪। ১১ নভেম্বর ২০০৪। ১৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৬ 
  6. "হেলিকাপ্টারে চড়া মাত্র ৩০ টাকায়"। ১৯ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৬