বিমলা মেনন ( মালয়ালম: വിമല മേനോൻ), কালামান্দালাম বিমলা মেনন নামে পরিচিত, একজন ভারতীয় নৃত্যশিক্ষক এবং মোহিনীয়াত্তমের প্রখ্যাত শিল্পী। তিনি তিরুবনন্তপুরমের কেরালা নাট্য একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক।

কালামান্দালাম বিমলা মেনন
জন্ম
বিমলা কুমারী

(1943-01-07) ৭ জানুয়ারি ১৯৪৩ (বয়স ৮১)
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তনকেরালা কালামান্দালাম, চেরুথুরিথি (ডিপ্লোমা ইন মোহিনীঅট্টম এবং ভরতনাট্যম
পেশাকেরালা নাট্য একাডেমির পরিচালক এবং অধ্যক্ষ, শাস্ত্রীয় নৃত্য প্রশিক্ষক ও লেখক
কর্মজীবন১৯৬৪ - বর্তমান
দাম্পত্য সঙ্গীকে পি বিশ্বনাথন মেনন (১৯৬৬ - বর্তমান)
সন্তানবিনোদ কুমার (পুত্র) এবং বিন্ধুজা মেনন (কন্যা)
পিতা-মাতাকৃষ্ণন নায়ার (পিতা), বিশালাক্ষী আম্মা (মা)
পুরস্কারগিনেস বিশ্ব রেকর্ড (২০০৬)
সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার (২০০৬)
কেরালা কালামান্দালাম পুরস্কার (২০০৫)
কেরালা সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার (১৯৯১)
বিশ্বভারতী পুরস্কার (১৯৮০)
সমস্ত কেরাল সোশ্যাল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার (১৯৬৪)
ওয়েবসাইটkalamanadalamvimalamenon.a4add.com

জীবনী সম্পাদনা

বিমলা প্রায় ৫০০০ ছাত্রকে শিখিয়েছেন এবং এখনও তাঁর ৫০ বছরের সফল শিক্ষাদানের কর্মজীবন অব্যাহত রেখেছেন। বিমলা মোহিনীয়াত্তমের রূপ ও শৈলী সম্পর্কে অনেক উদ্ভাবনী ধারণা সামনে এনেছেন। প্রশিক্ষণের জন্য এবং ১২০০ নৃত্যশিল্পীর সমন্বয়ে মোহিনীয়ত্তমের একটি অনুষ্ঠানের জন্য গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে বিমলার নাম রয়েছে। বিমলা ১৯৯১ সালে কেরালা সংগীত নাটক আকাদেমি থেকে সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার এবং ২০০৬ সালে ভারতীয় শাস্ত্রীয় নৃত্যে তাঁর অবদানের জন্য কেন্দ্র সংগীত নাটক একাডেমী পুরস্কার পান। [১]

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা সম্পাদনা

বিমলার জন্ম ত্রিশূর জেলার ইরিঞ্জালাকুটার এক গ্রামের একটি সমৃদ্ধ পরিবারে। তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এস কে কৃষ্ণন নায়ের এবং বিশালক্ষী আম্মার সাত সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। [২] বিমলা থ্রিপুনিথুর বিজয়া ভানুর কাছ থেকে তার প্রাথমিক নৃত্যের পাঠ নিয়েছিলেন। তিনি এম আর মধুসূদনন নায়েরের অধীনে কর্নাটকী সংগীতের প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন। বিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করার পরে, তিনি ১৯৬০ সালে নৃত্যের চার বছরের ডিপ্লোমা কোর্সে কেরালা কালামান্দালামে যোগদান করেছিলেন। [৩] কালামান্দালামে, তিনি পাঝায়ান্নুরের অধীনে মোহিনীঅট্টমের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন। তিনি থানজভুর ভাস্কর রাওয়ের অধীনে ভরতনাট্যমও শিক্ষা করেছিলেন।

নেভেলি লিগনাইট কর্পোরেশনের জওহর স্কুলে নাচের শিক্ষক হিসাবে কর্মরত অবস্থায় তিনি বিশ্বনাথ মেননকে বিবাহ করেছিলেন। ১৯৬৬ সালে বিয়ের পরে তিনি তাঁর স্বামীর সাথে ভুটানে বসবাস করতে যান। সেখানে তিনি ভুটান সরকারের একজন কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছিলেন। তাঁদের এক পুত্র বিনোদ ও এক কন্যা বিন্দুজা মেনন। বিন্দুজা পবিত্রম এবং নজান গান্ধর্বন সহ বিভিন্ন মালয়ালম চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। [৩]

ভুটানে অবস্থানকালে, বিমলা ভুটান সরকারী বিদ্যালয়ে নাচ শিখিয়েছিলেন এবং বহু জায়গায় দক্ষিণ ভারতের শাস্ত্রীয় নৃত্য পরিবেশন করেছেন। [৩]

পুরস্কার ও সম্মাননা সম্পাদনা

 
Vimalawomencollege

তাঁর দীর্ঘ নর্তকী জীবনে, বিমলা মেনন ১৯৯১ সালে কেরালা সংগীত নাটক একাডেমি পুরস্কার এবং ২০০৬ সালে কেন্দ্র সংগীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার সহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার এবং সম্মান অর্জন করেছিলেন। [১] তিনি ১৯৭২ সালে ভারতনাট্যমের জন্য অল কেরালা সোশ্যাল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার পেয়েছিলেন। তিনি ২০০৪ সালে ভারতের সংস্কৃতি বিভাগ কর্তৃক "মোহিনীয়াট্টমে রমনাট্টম" গবেষণামূলক কাজের জন্য সিনিয়র ফেলোশিপ পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। [৩] দক্ষিণ ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যে অবদানের জন্য বিমলা কেরালা কালামান্দালাম থেকে নৃত্যের জন্য কেরালা কালামান্দালাম পুরস্কারও পেয়েছিলেন। [৪]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "Sangeet Natak Akademi awards"The Hindu। ২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  2. "'My students are my wealth'"The Hindu। ২৪ জুন ২০১১। ২৮ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  3. "Ammathanal"। Mathrubhumi (Malayalam ভাষায়)। ১ ডিসেম্বর ২০১১। 
  4. "Kerala Kalamandalam awards announced"The Hindu। ২০ অক্টোবর ২০০৫। ৩ সেপ্টেম্বর ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

দাপ্তরিক ওয়েবসাইট