বিবেক তীর্থ
বিবেক তীর্থ বা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ সেন্টার ফর হিউম্যান এক্সেলেন্স অ্যান্ড সোশ্যাল সাইন্সেস ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতা শহরের উপকণ্ঠে নিউ টাউনে অবস্থিত এক সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা কেন্দ্র। এটি স্বামী বিবেকানন্দকে উৎসর্গ করে নির্মিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১১ নভেম্বর ২০১৪-এ বিবেক তীর্থের শিলান্যাস করেছিলেন।[১]
বিবেক তীর্থ | |
---|---|
বিকল্প নাম | রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ সেন্টার ফর হিউম্যান এক্সেলেন্স অ্যান্ড সোশ্যাল সাইন্সেস |
সাধারণ তথ্য | |
অবস্থা | সম্পূর্ণ |
ঠিকানা | অ্যাকশন এরিয়া-২, নিউ টাউন, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, পিন: ৭০০১৫৬ |
দেশ | ভারত |
স্থানাঙ্ক | ২২°৩৫′৩৬″ উত্তর ৮৮°২৮′২১″ পূর্ব / ২২.৫৯৩৩° উত্তর ৮৮.৪৭২৬° পূর্ব |
নির্মাণকাজের আরম্ভ উদযাপন | ১১ নভেম্বর ২০১৪ |
নির্মাণকাজের আরম্ভ | ৩ মার্চ ২০১৬ |
নির্মাণব্যয় | ₹ ১৬০ কোটি (US$ ১৯.৫৬ মিলিয়ন) |
ভূতল | ৫ একর (২০,০০০ বর্গমিটার) |
গণপরিবহন সুবিধা | ইকো পার্ক মেট্রো স্টেশন |
ওয়েবসাইট | |
belurmath |
অবস্থান সম্পাদনা
বিবেক তীর্থ নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া-২ অঞ্চলে বিশ্ব বাংলা সরণিতে ইকো পার্কের ১ নং গেটের পাশে অবস্থিত। ৬ নং মেট্রো লাইনের ইকো পার্ক মেট্রো স্টেশন এই বিবেক তীর্থ এলাকায় পরিষেবা প্রদান করবে।[২][৩][৪]
বিবরণ সম্পাদনা
বিবেক তীর্থ রামকৃষ্ণ মিশনের অধীন এক সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা কেন্দ্র। ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এর প্রস্তাব করেছিল এবং ১১ নভেম্বর ২০১৪-এ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের তৎকালীন সাধারণ সচিব স্বামী সুহিতানন্দজী এর শিলান্যাস করেছিলেন।[৫][৬] বিবেক তীর্থ ১০-তলা প্রধান ভবন এবং ভগিনী নিবেদিতা, জে. জে. গুডউইন, ওল সারা বুল ও জোসেফাইন ম্যাকলিয়ডের নামে চারটি ভবন নিয়ে গঠিত। নিবেদিতা, গুডউইন, বুল ও ম্যাকলিয়ড প্রত্যেকেই স্বামী বিবেকানন্দের চার বিদেশি শিষ্য ছিলেন। প্রধান ভবনটি আর্ট ইনস্টিটিউট অব শিকাগোর আদলে তৈরি, যেখানে বিবেকানন্দ ১১ সেপ্টেম্বর ১৮৯৩-এ তাঁর বিখ্যাত বক্তৃতা দিয়েছিলেন।[৩] এতে প্রশাসনিক কার্যালয় ও ১,৪০০টি আসনের অডিটোরিয়াম রয়েছে। অন্যান্য ভবনে ডিজিটাল গ্রন্থাগার, প্রদর্শনী কক্ষ ও ধ্যান কক্ষ রয়েছে। বিবেক তীর্থ ক্যাম্পাস ৫ একর (২০,০০০ বর্গমিটার) ক্ষেত্র জুড়ে বিস্তৃত। শিলান্যাসের দুই বছর পর মার্চ ২০১৬-এ এর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল এবং এর খরচ বাবদ ₹ ১৬০ কোটি (US$ ১৯.৫৬ মিলিয়ন)[৬] পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য উচ্চশিক্ষা পরিষদ ও নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ অথরিটি যথাক্রমে ₹ ২ কোটি (US$ ২,৪৪,৪৬৬) ও ₹ ৭ কোটি (US$ ০.৮৬ মিলিয়ন) দান করেছিল।[৪] কর্পোরেট ও পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিংও এর নির্মাণের জন্য অর্থদান করেছিল।[৫] চরিত্র নির্মাণ, যোগাযোগের দক্ষতা, অভিভাবকদের উৎসাহ দান, চাপ নিয়ন্ত্রণ, মন নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিষয়ে সেখানে পড়ানো হয়।[১][২]
আরও দেখুন সম্পাদনা
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ ক খ Bureau, M. Post (২০১৬-০৩-০৪)। "Construction work of Vivek Tirtha begins"। millenniumpost.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১১।
- ↑ ক খ donationsbm। "Ramakrishna Mission Vivekananda Centre for Human Excellence and Social Sciences (Viveka Tirtha), New Town, Kolkata"। Belur Math – Ramakrishna Math and Ramakrishna Mission (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১১।
- ↑ ক খ "Vivek Tirtha – A tribute to the great saint"। aitcofficial.org। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ ক খ "Viveka Tirtha, one-of-a-kind institute dedicated to Swami Vivekananda, to come up soon – ABPEducation"। abpeducation.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০১-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১১।
- ↑ ক খ "VIVEKA TIRTHA Ramakrishna Mission Vivekanda Centre for Human Excellence and Social Sciences"। thecommontimes.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৬।
- ↑ ক খ Goswami, Tarun (২০২০-১২-২৬)। "Work on RKM Centre for Human Excellence in full swing"। millenniumpost.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-১৬।