নিউ টাউন, কলকাতা
নিউ টাউন বা রাজারহাট নিউ টাউন হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতার পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত একটি পরিকল্পিত উপশহর।[৩][৪] এটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার অন্তর্গত। উপশহরটি নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এনকেডিএ) দ্বারা পরিচালিত।[৫]
নিউ টাউন রাজারহাট নিউ টাউন | |
---|---|
পরিকল্পিত উপশহর | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৩৫′২২″ উত্তর ৮৮°২৮′২৯″ পূর্ব / ২২.৫৮৯৪° উত্তর ৮৮.৪৭৪৮° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা |
অঞ্চল | কলকাতা মহানগর অঞ্চল |
সরকার | |
• ধরন | সংবিধিবদ্ধ উন্নয়ন বোর্ড |
• শাসক | নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনকেডিএ), পশ্চিমবঙ্গ আবাসন পরিকাঠামো উন্নয়ন সংস্থা (হিডকো) |
আয়তন[১] | |
• মোট | ৩৫.৫২ বর্গকিমি (১৩.৭১ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৯ মিটার (৩০ ফুট) |
জনসংখ্যা (ডিসেম্বর ২০১৪)[২] | |
• মোট | ৩৬,৫৪১ |
• জনঘনত্ব | ১,০০০/বর্গকিমি (২,৭০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• সরকারি | বাংলা, ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ০০১৩৫, ৭০০১৩৬, ৭০০১৫৬, ৭০০১৫৭, ৭০০১৬০, ৭০০১৬১ |
টেলিফোন কোড | +৯১ ৩৩ |
যানবাহন নিবন্ধন | WB |
লোকসভা কেন্দ্র | বারাসত |
বিধানসভা কেন্দ্র | রাজারহাট নিউ টাউন |
ওয়েবসাইট | www |
বিধাননগরের মতো নিউ টাউনে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প গড়ে উঠেছে। এটি দেশে দ্রুত বর্ধনশীল প্রধান শহরগুলির মধ্য একটি। এখানে আবাসন ও নির্মাণ শিল্পেরও প্রসার ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গ আবাসন পরিকাঠামো উন্নয়ন সংস্থার (হিডকো) পরিকল্পনায় নিউ টাউনে সড়ক, নিষ্কাশন, নর্দমা ব্যবস্থা, জলের সরবরাহের লাইন, প্রধান সৌন্দর্যায়ন সম্পর্কিত অবকাঠামোগত কাজ এবং ভবন, প্রকল্প, উদ্যান, জাদুঘর, ভূগর্ভপথ, উড়ালপুল ইত্যাদির মতো নির্মাণ কাজ সম্পাদন হয়।[৬]
এই অঞ্চলটিতে মূলত বিশাল আবাদযোগ্য জমি এবং জলাশয় রয়েছে, যা পরিকল্পিত পদ্ধতিতে অধিগ্রহণ ও বিকাশ লাভ করে। মূলত পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর নেতৃত্বে ১৯৯০-এর দশকের শেষভাগে আবাসিক ও শিল্প সুবিধাগুলি এবং এই অঞ্চলের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিনিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়। মাস্টার প্ল্যানটি এমন একটি জনপদের পরিকল্পনা করা হয় যা প্রতিবেশী পরিকল্পিত বিধাননগরের চেয়ে কমপক্ষে তিনগুণ বড়।
ইতিহাসসম্পাদনা
প্রাচীন সভ্যতাসম্পাদনা
সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের এক দল গবেষক, দেশকাল নামক বিধাননগরভিত্তিক একটি ইতিহাসচর্চার গোষ্ঠীর সূত্রে অ্যাকোয়াটিকার নিকটে কোচপুকুরে একটি ঢিবিতে খননকার্য চালান। এবং সেখান থেকে আনুমানিক প্রায় দুহাজার বছরের পুরনো কিছু ভগ্ন মৃৎ সামগ্রীর খোঁজ পান। গবেষকদের অনুমান উত্তর ও পূর্ব দমদম এবং বিধাননগর মহকুমা জুড়ে প্রাচীন কোনও সভ্যতার অস্তিত্ব ছিল, কারণ এই অঞ্চল অধুনালুপ্ত প্রাচীন বিদ্যাধরী নদী অববাহিকার অংশ।[৭]
জমি অধিগ্রহণসম্পাদনা
নিউ টাউন গঠিত হওয়ার আগে এলাকাটি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম উর্বর অঞ্চল ছিল। কেষ্টপুর, বাগজোলা এবং তাদের সংলগ্ন আরও তিনটি খাল দ্বারা সেচ হওয়া, এলাকাটি ছিল এক জলাভূমি, যা একটি সমৃদ্ধ কৃষিজমির ব্যবস্থা ছিল এবং কৃষকরা স্থায়ীভাবে কৃষিকাজে নিয়জিত ছিল। ১৯৯৯ সালের এপ্রিল মাসে বামফ্রন্ট সরকার ঔপনিবেশিক ভূমি অধিগ্রহণ আইন দ্বারা নিউ টাউন শহর স্থাপনের জন্য প্রায় ৭,০০০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ শুরু করে। এটি কর্পোরেট পরিষেবা এবং বিস্তৃত আবাসিক চত্বর হিসাবে পরিকল্পনা করা হয়।[৮]
অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ সিধান্ত প্রত্যাখ্যানসম্পাদনা
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালের জুন মাসে ঘোষণা করেন যে তার সরকার নিউ টাউনে আর জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। নিউ টাউন জনপদের জন্য ১৯৯৯ সালে ৭,০৮৫ একর (২,৮৬৭ হেক্টর) জমি অধিগ্রহণ করে বামফ্রন্ট সরকার। ৭,০৮৫ একর (২,৮৬৭ হেক্টর) জমির মধ্যে ২৫০ একর (১০০ হেক্টর) জমি ইচ্ছুক কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করা হয় এবং বাকি জমি (৬,৮৩৫ একর (২,৭৬৬ হেক্টর)) অধিগ্রহণ করা হয়। ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী ৭,০৮৫ একর (২,৮৬৭ হেক্টর) জমির মধ্যে ১,৮০৭ একর (৭৩১ হেক্টর) জমি অব্যবহৃত অবস্থাতে রয়েছে।[৯]
বাম সরকারের রাজারহাট সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ২৫ টি মৌজা বিস্তৃত জনপদের জন্য আরও ১,৫৮৭ একর জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০১১ সালে প্রত্যাখ্যান করে।[৯]
কলকাতা মহানগর অঞ্চলে অন্তর্ভুক্তিসম্পাদনা
২০১৬ সালের আগস্ট মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল নিউ টাউনকে কলকাতা মহানগর অঞ্চলের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন।[১০]
স্মার্ট সিটিসম্পাদনা
ভারতের পূর্ববর্তী সংযুক্ত প্রগতিশীল জোট সরকার নিউ টাউনকে সোলার সিটি হিসাবে ঘোষণা করেছিল। পরবর্তীকালে ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট সরকার এই শহরটিকে স্মার্ট গ্রিন সিটি হিসাবে ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্বারা প্রদত্ত একটি প্রস্তাব অনুসারে এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায়।[১১][১২] কিন্তু পরবর্তীকালে নিউ টাউন স্মার্ট সিটিজ মিশন থেকে বাদ পড়ে গেল যখন রাজ্যের সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ওই প্রতিযোগিতা থেকে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত শহরকে বাদ দিল।[১৩] ভারত সরকারের স্মার্ট সিটিতে উন্নীত করার জন্য প্রদত্ত ₹১,০০০ কোটিও বাতিল করল রাজ্য সরকার।[১৪]
ভূগোলসম্পাদনা
নিউ টাউন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার রাজারহাট থানা এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স ও কাশীপুর থানার ৪৫টি মৌজা জুড়ে বিস্তৃত। শহরের মোট আয়তন ৬০.৩৫৪ বর্গকিলোমিটার (২৩.৩০৩ মা২)। নিউ টাউন অ্যাকশন এরিয়া ১, ২ ও ৩ এবং কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক এলাকা (সিবিডি) দ্বারা গঠিত।[১]
ইকো পার্কে অবস্থিত হ্রদটি নিউ টাউনের সবচেয়ে বড় হ্রদ এবং এই হ্রদটির আয়তন ০.৪২ কিলোমিটার (০.২৬ মা)।[১৫]
জলবায়ুসম্পাদনা
নিউ টাউন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জলবায়ু লেখচিত্র | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
নিউ টাউনের জলবায়ু ক্রান্তীয় সাভানা প্রকৃতির। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ২৬.৩ °সে (৭৯.৩ °ফা) এবং মাসিক গড় তাপমাত্রা ১৯.৮–৩০.৫ °সে (৬৭.৬–৮৬.৯ °ফা)-এর মধ্যে থাকে।[১৬] এখানে গ্রীষ্মকাল উষ্ণ ও আর্দ্র। এই সময় গড় তাপমাত্রা ৩০.৫ °সে (৮৬.৯ °ফা)-এর[১৬] কাছাকাছি থাকলেও মে-জুন মাসে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা প্রায়শই ৪০ °সে (১০৪ °ফা) ছাড়িয়ে যায়। শীতকাল সাধারণত মাত্র আড়াই মাস স্থায়ী হয়। ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা ৯–১১ °সে (৪৮–৫২ °ফা)-এর কাছাকাছি থাকে। সাধারণভাবে মে মাস শহরের উষ্ণতম মাস। অন্যদিকে জানুয়ারি শীতলতম মাস। জানুয়ারির গড় তাপমাত্রা ১৯.৪ °সে (৬৬.৯ °ফা)।[১৬] গ্রীষ্মের শুরুতে প্রায়শই শিলাবৃষ্টি, ঝড় ও বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে। এর স্থানীয় নাম কালবৈশাখী।
দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর বঙ্গোপসাগরীয় শাখাটি শহরে বৃষ্টিপাত ঘটানোর জন্য দায়ী। বর্ষাকাল সাধারণত স্থায়ী হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত। শহরের বার্ষিক ১৬৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের অধিকাংশই এই সময়ে ঘটে থাকে। জুলাই মাসে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সর্বোচ্চ থাকে। এই সময় গড়ে ৩৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।[১৬]
জনসংখ্যাসম্পাদনা
২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এক সমীক্ষা অনুযায়ী, শহরের জনসংখ্যা ৩৬,৫৪১।[১৭] শহরের আয়তন ৩৫.৫২ বর্গকিলোমিটার (১৩.৭১ মা২) হলে নিউ টাউনের জনঘনত্ব ১,০০০ প্রতি বর্গকিলোমিটার (২,৬০০ /বর্গমাইল)।[১]
প্রশাসনসম্পাদনা
নিউ টাউন কোন পৌরসভা দ্বারা পরিচালিত হয় না। এটি নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনকেডিএ) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ২০০৮ সালে নভেম্বর মাসে দ্য নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অ্যাক্ট, ২০০৭ (পশ্চিমবঙ্গ আইন ৩০, ২০০৭) আইনের অধীনে বিভিন্ন পৌর পরিষেবা প্রদান করার জন্য এনকেডিএ গঠিত হয়। এটি একটি পৌর স্থানীয় সরকার (ইউএলবি) তৈরির জন্য একটি অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা।[১০][১৮]
পশ্চিমবঙ্গ আবাসন পরিকাঠামো উন্নয়ন সংস্থা (হিডকো) নিউ টাউনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত করে।[১৯] নিউ টাউন ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (এনটিইএসসিএল) শহরে বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদান করে।[২০]
নিউ টাউন রাজারহাট নিউ টাউন বিধানসভা কেন্দ্র ও বারাসাত লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।
অর্থনীতিসম্পাদনা
নিউ টাউন কলকাতার দ্বিতীয় তথ্যপ্রযুক্তি হাব হিসাবে প্রকাশ পেয়েছে এবং এর আয়তন সল্টলেকের আকারের তিনগুণ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি তথ্য প্রযুক্তির বড় কেন্দ্র চালু রয়েছে, অন্যদিকে টিসিএস (৪০ একর), উইপ্রো (৪৫ একর) এবং ইনফোসিস (৫০ একর)[২১]
নিউ টাউনে হিডকো দ্বারা নির্মিত বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি টেক হাব ও ফিনটেক হাব বর্তমান।[২২]
চিকিৎসাসম্পাদনা
এই অনুচ্ছেদটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। |
টাটা মেডিক্যাল সেন্টারসম্পাদনা
2004 সালে ভারতের পূর্ব এবং উত্তর-পূর্ব অংশ এবং প্রতিবেশী দেশগুলির জন্য একটি জনহিতকর উদ্যোগ হিসাবে ধারণা করে , টাটা মেডিকেল সেন্টার (TMC) যা পরবর্তীতে 16 মে, 2011 তারিখে কলকাতায় কার্যক্রম শুরু করে। হাসপাতালটি একটি দাতব্য ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত হয় – টাটা মেডিকেল সেন্টার ট্রাস্ট, 2005 সালে প্রতিষ্ঠিত।
14 ফেব্রুয়ারী 2019 থেকে হাসপাতালের দ্বিতীয় ধাপটি কার্যকর করা হয়েছিল । এটি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার নিউ টাউনে 13 একর জমিতে অবস্থিত যা রাজ্যের বৃহত্তম কর্কট রোগ চিকিৎসা কেন্দ্র।
হাসপাতালটি সু-প্রশিক্ষিত পেশাদার কর্মীদের একটি সমন্বিত অনকোলজি সুবিধা এবং আধুনিক সুবিধা এবং সমসাময়িক চিকিৎসা সরঞ্জামে সজ্জিত। 431 শয্যার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন হাসপাতালটি সমাজের সকল অংশকে সেবা দেয়, যার 75% অবকাঠামো সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর জন্য ভর্তুকিযুক্ত চিকিত্সার জন্য নির্ধারিত। এটি সম্পূর্ণ রোগ নির্ণয় থেকে মাল্টিমোডালিটি থেরাপি, প্রাক-বাসন থেকে পুনর্বাসন এবং প্যালিয়েটিভ কেয়ার পর্যন্ত সাইকো অনকোলজিক্যাল সাপোর্ট পর্যন্ত বিস্তৃত পরিসেবা প্রদান করে। ইনস্টিটিউশনের উদ্দেশ্য ক্যান্সারের যত্ন, রোগীর সেবা, শিক্ষা এবং গবেষণায় উৎকর্ষ সাধন করা।
প্রধান হাসপাতাল ক্যাম্পাসটি ক্যান্সার ব্যবস্থাপনার জন্য প্রতিষ্ঠিত তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি, অন্য দুটি হল প্রেমাশ্রয় (বহিরাগত রোগী এবং তাদের আত্মীয়দের জন্য একটি আবাসন সুবিধা) এবং টাটা ট্রান্সলেশনাল ক্যান্সার রিসার্চ সেন্টার (টিটিটিআরসি )। টিটিসিআরসি হাসপাতালের মূল ক্যাম্পাসের মধ্যে অবস্থিত, প্রেমাশ্রয় 1 কিমি দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত।
পর্যটনসম্পাদনা
নিউ টাউনের ইকো পার্ক হল ভারতের বৃহত্তম এবং এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম উদ্যান। উদ্যানটি ২০০ একরের একটি কৃত্রিম ঝিলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। মাদার’স ওয়াক্স মিউজিয়াম ইকো পার্কের ঠিক উল্টো দিকে অবস্থিত। অ্যাকোয়াটিকা শহরের ৭৫,০০০ বর্গ ফুটের একটি জলবৈশ্বিক উদ্যান। পূর্ব ভারতের এটি বৃহত্তম জল চিত্তবিনোদক উদ্যান।
পরিবহনসম্পাদনা
নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া ১, ২ ও ৩, চারটি আর্টারিয়াল রোড দ্বারা পরস্পর যুক্ত আছে। এর মধ্যে মেজর আর্টারিয়াল রোড বা মেইন আর্টারিয়াল রোড (এমএআর) নিউ টাউনের প্রধান সড়ক, যা অ্যাকশন এরিয়া ১ ও ২ দিয়ে যায়।[২৩] এটি বিশ্ব বাংলা সরণির অন্তর্গত। পশ্চিমবঙ্গ আবাসন পরিকাঠামো উন্নয়ন সংস্থা (হিডকো) নিউ টাউনে বৈদ্যুতিক বাস চালু করেছে এবং কলকাতা মেট্রো লাইন ৬ মেজর আর্টারিয়াল রোড বরাবর বিস্তৃত।[২৩] ২০১৫ সালে নিউ টাউনের ২৫টি বিভিন্ন বাস রুটে প্রায় ৩০০টি বাস চলে।[২০] তবে অ্যাকশন এরিয়া ৩-এ গণপরিবহন তেমন বিস্তৃত নয়।[২৩]
২০১৫ সাল থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিধাননগর সেক্টর ৫ পর্যন্ত মেজর আর্টারিয়াল রোডসহ ১০.৫ কিলোমিটার (৬.৫ মা) ওয়াই-ফাই এলাকা স্থাপন করা হয়েছে, যা ভারতের প্রথম ওয়াই-ফাই সড়ক সংযোগ স্থাপন। এটি ইতিমধ্যে সবুজ করিডোর হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।[২৪]
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অ্যাকশন এরিয়া ১-এর নারকেলবাগান চৌমাথা থেকে অ্যাকশন এরিয়া ৩ পর্যন্ত রোপওয়ে বা দ্রুতগামী ব্যক্তিগত পরিবহন বা লাইট রেল পরিবহনের প্রস্তাবের জন্য হিডকো এক বিশেষজ্ঞের খোঁজ করেছিল।[২৩] পূর্বে নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনকেডিএ) শহরে মনোরেল পরিবহনের প্রস্তাব করলেও অতিরিক্ত খরচের জন্য ২০২০ সালে মনোরেলের পরিবর্তে সস্তা রোপওয়ের প্রস্তাব করেছে।[২৫]
শিক্ষাসম্পাদনা
বিশ্ববিদ্যালয়সম্পাদনা
আরও দেখুনসম্পাদনা
- কলকাতা পশ্চিম আন্তর্জাতিক মহানগরী – হাওড়া শহরের অদূরে পরিকল্পিত শহর
- লেক টাউন, কলকাতা – দক্ষিণ দমদম পৌরসভার পরিকল্পিত শহর
তথ্যসূত্রসম্পাদনা
- ↑ ক খ গ "Archived copy" (পিডিএফ)। ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০২৩।
- ↑ "NKDA Overview"। https://www.icra.in/Rationale/GetRationaleFile/27752 (ইংরেজি ভাষায়)। ICRA।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য); - ↑ "Satellite Towns List"।
- ↑ "Danger in Satellite townships"।
- ↑ "NTKDA Act, 2007" (পিডিএফ)। NTKDA। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "Times of India"। timesofindia.indiatimes.com। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১৫।
- ↑ মাজি মণ্ডল, শুভদীপ (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "নিউ টাউনে ঢিবি থেকে পাওয়া গেল প্রত্নসামগ্রী"। আনন্দবাজার পত্রিকা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ "Farmers Demand Return of Lands Acquired for Rajarhat Township in West Bengal"। www.landconflictwatch.org/। সংগ্রহের তারিখ ০৭ এপ্রিল ২০২০। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ ক খ "Mamata land lock on New Town"। www.telegraphindia.com। ২৫ জুন ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ ক খ "KMA notification" (পিডিএফ)। Urban Development Department, Government of West Bengal। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "শিকে ছঁড়িল কলকাতার,"স্মাট সিটি" হবে নিউটাউন"। ২৪ ঘণ্টা। সংগ্রহের তারিখ ৮ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ http://timesofindia.indiatimes.com/city/kolkata/West-Bengal-seeks-smart-green-city-tag-for-New-Town/articleshow/37867094.cms[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "West Bengal: Mamata dumps Centre's Smart City project, to develop cities on its own"। The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ১৯ আগস্ট ২০১৬। ২ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৭।
- ↑ "Green City Mission: Rs 50 lakh each for all 125 municipalities in West Bengal"। The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ ডিসেম্বর ২০১৬। ১১ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১৭।
- ↑ "About Ecopark"। ৭ এপ্রিল ২০২০। ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ "NEW TOWN CLIMATE"। en.climate-data.org। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "NKDA Overview"। https://www.icra.in/Rationale/GetRationaleFile/27752 (ইংরেজি ভাষায়)। ICRA।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য); - ↑ "Background"। New Town Kolkata Development Authority (NKDA)। ২৬ মে ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০২২।
- ↑ "HIDCO Overview"। ১৫ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ "Smart City Proposal" (পিডিএফ)। NKDAMAR। Ministry of Urban Development, Government of India। পৃষ্ঠা 7। ১৩ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৬।
- ↑ "Infosys in Kolkata"।
- ↑ "HIDCO to come up with 'vertical city' in Fintech hub"। ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯। ২৭ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ "Kolkata: Hi-tech link plan for New Town's Action Area III"। The Times of India। ২০২০-০২-২৬। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৯।
- ↑ "10.5km Wi-Fi zone in Rajarhat New Town"। The Times of India। ২০১৪-০৬-১৮। আইএসএসএন 0971-8257। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৯।
- ↑ MP, Team (২০২০-০২-০৭)। "Soon, ropeway services to connect areas in New Town"। www.millenniumpost.in (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৯।
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
- নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনকেডিএ)
- পশ্চিমবঙ্গ আবাসন পরিকাঠামো উন্নয়ন সংস্থা (হিডকো)