বিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপল

সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার বিজয়ী

স্যার বিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপল (/ˈnpɔːl/ or /nˈpɔːl/; ১৭ আগস্ট ১৯৩২ – ১১ আগস্ট ২০১৮)[] ভারতীয়-নেপালীয় বংশোদ্ভূত ত্রিনিদাদীয় সাহিত্যিক। তিনি পরবর্তীকালে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব লাভ করেন। তিনি মূলত ইংরেজি ভাষায় সাহিত্যচর্চা করে থাকেন। ২০০১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জয় করেন।[] তিনি ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পটভূমিতে রচিত তার হাস্যরসাত্মক উপন্যাস, বিশ্ব বিস্তৃত শীতল উপন্যাস এবং তার জীবন ও ভ্রমণকাহিনী নিয়ে রচিত আত্মজীবনীমূল উপন্যাসসমূহের জন্য পরিচিত। পঞ্চাশ বছরের অধিক সাহিত্য জীবনে তার ত্রিশের অধিক কল্পকাহিনী ও ননফিকশন প্রকাশিত হয়, তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ইন আ ফ্রি স্টেট, আ বেন্ড ইন দ্য রিভার, আ হাউস ফর মিস্টার বিশ্বাস

ভি এস নাইপল
২০১৬ সালে ঢাকায় নাইপল
২০১৬ সালে ঢাকায় নাইপল
জন্মবিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপল
(১৯৩২-০৮-১৭)১৭ আগস্ট ১৯৩২
চাগুয়ানাস, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো
মৃত্যু১১ আগস্ট ২০১৮(2018-08-11) (বয়স ৮৫)
লন্ডন, যুক্তরাজ্য
পেশালেখক
জাতীয়তাত্রিনিদাদ ও টোবাগো, যুক্তরাজ্য
ধরনউপন্যাস, প্রবন্ধ
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিইন আ ফ্রি স্টেট
আ বেন্ড ইন দ্য রিভার
আ হাউস ফর মিস্টার বিশ্বাস
দি এনিগমা অব অ্যারাইভাল
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারবুকার পুরস্কার
১৯৭১
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার
২০০১
দাম্পত্যসঙ্গীপাট্রিসিয়া আন হাল নাইপল (১৯৫৫–৯৬)
নাদিরা নাইপল (১৯৯৬- বর্তমান)

প্রারম্ভিক জীবন

সম্পাদনা

নাইপল ১৯৩২ সালের ১৭ই আগস্ট ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর চাগুয়ানাসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সিপ্রাসাদ নাইপল ও দ্রোয়াপতি কাপিলদেওয়ের দ্বিতীয় সন্তান।[] ১৯৮০-এর দশকে তার পিতামহরা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে ভারত হতে অভিবাসিত হয়ে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো যান।[] ত্রিনিদাদে ভারতীয় অভিবাসী সম্প্রদায়ে নাইপলের পিতা ইংরেজি ভাষার সাংবাদিকতা করতেন এবং ১৯২৯ সালে ত্রিনিদাদ গার্ডিয়ানে প্রবন্ধ লেখা শুরু করেন।[] ১৯৩২ সালে নাইপলের জন্মের বছরে তার পিতা চাগুয়ানাসে করেসপনডেন্ট হিসেবে যোগ দেন।[] নাইপল ২০০১ সালে নোবেল পুরস্কারের ভাষণে বলেন পিতার দিক থেকে তিনি নেপালি বংশোদ্ভূত।[]

১৯৩৯ সালে সাত বছর বয়সে নাইপলের পরিবার ত্রিনিদাদের রাজধানী পোর্ট অব স্পেনে চলে যায়, সেখানে তিনি ব্রিটিশ সরকারী বিদ্যালয়ের আদলে নির্মিত সরকারী কুইন্স রয়্যাল কলেজে ভর্তি হন।[] সেখান থেকে পাস করার পর নাইপল ত্রিনিদাদের সরকারী বৃত্তি লাভ করেন, যার ফলে তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য ব্রিটিশ কমনওয়েলথের যে কোন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার সুযোগ পান। তিনি ১৯৫০ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং ইংরেজি সাহিত্য বিষয়ে অধ্যয়ন করেন।[][১০]

মৃত্যু

সম্পাদনা

নাইপল ২০১৮ সালের ১১ই আগস্ট ৮৫ বছর বয়সে লন্ডনে নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন।[১১]

পুরস্কার ও সম্মাননা

সম্পাদনা

গ্রন্থতালিকা

সম্পাদনা
  • দ্য মিস্টিক ম্যাসুর (১৯৫৭)
  • দ্য সাফ্রেজ অব এলভিরা (১৯৫৮)
  • মিগ্যেল স্ট্রিট (১৯৫৯)
  • আ হাউজ ফর মিস্টার বিশ্বাস (১৯৬১)
  • মিস্টার স্টোন অ্যান্ড দ্য নাইটস কম্প্যানিয়ন (১৯৬৩)
  • দ্য মিমিক মেন (১৯৬৭)
  • আ ফ্ল্যাগ অন দি আইল্যান্ড (১৯৬৭)
  • ইন আ ফ্রি স্টেট (১৯৭১) - বুকার পুরস্কার বিজয়ী
  • গেরিলাস (১৯৭৫)
  • আ বেন্ড ইন দ্য রিভার (১৯৭৯)
  • দি এনিগমা অব অ্যারাইভাল (১৯৮৭)
  • আ ওয়ে ইন দ্য ওয়ার্ল্ড (১৯৯৪)
  • হাফ আ লাইফ (২০০১)
  • দ্য নাইটওয়াচম্যান্‌স অকারেন্স বুক: অ্যান্ড আদার কমিক ইনভেনশন (গল্প) - (২০০২)
  • ম্যাজিক সিডস (২০০৪)

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "নোবেলজয়ী লেখক ভি এস নাইপলের চিরবিদায়"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। ১২ আগস্ট ২০১৮। ২৩ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৮ 
  2. "Nobel Prize for Literature 2001 - Press Release"নোবেল পুরস্কার। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৮ 
  3. হেওয়ার্ড ২০০২, পৃ. ৫।
  4. French 2008, পৃ. 12।
  5. ফ্রেঞ্চ ২০০৮, পৃ. ১৯: "In 1929, the year of his marriage, Seepersad began work as a freelance reporter on the Trinidad Guardian, ..."
  6. হেওয়ার্ড ২০০২, পৃ. ৭।
  7. "V.S. Naipaul - Nobel Lecture: Two Worlds"নোবেল পুরস্কার। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৮ 
  8. ফ্রেঞ্চ ২০০৮, পৃ. ৪০-৪১।
  9. "না ফেরার দেশে নোবেলজয়ী সাহিত্যিক ভি এস নাইপল | বাংলাদেশ প্রতিদিন"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১২ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৮ 
  10. "চলে গেলেন ভি এস নাইপল"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ১২ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৮ 
  11. "সাহিত্যে নোবেলজয়ী ভি এস নাইপল আর নেই"দৈনিক প্রথম আলো। ১২ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা