বিদিতা অশোক বৈদ্য

ভারতীয় স্নায়ুবিজ্ঞানী

বিদিতা অশোক বৈদ্য (জন্ম: ১৫ নভেম্বর ১৯৭০) হলেন একজন ভারতীয় স্নায়ুবিজ্ঞানী এবং টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক। এর আগে তিনি ওয়েলকাম ট্রাস্টের বরিষ্ঠ গবেষণা ফেলো এবং ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমীতে সহকারী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর গবেষণার মূল ক্ষেত্র হচ্ছে স্নায়ুবিজ্ঞান এবং আণবিক মনস্তত্ত্ব।[১] ২০১৫ সালে তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রে তাঁর অগ্রণী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যার ক্ষেত্রের সর্বোচ্চ সম্মান শান্তি স্বরূপ ভটনাগর পুরস্কার লাভ করেছিলেন।

বিদিতা অশোক বৈদ্য
জন্ম (1970-11-15) ১৫ নভেম্বর ১৯৭০ (বয়স ৫৩)
জাতীয়তাভারতীয়
মাতৃশিক্ষায়তনসেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, মুম্বাই
বেল বিশ্ববিদ্যালয়
পুরস্কারশান্তিস্বরূপ ভাটনাগর পুরস্কার, ২০১৫
কেরিয়ার উন্নয়নের রাষ্ট্রীয় জীববিজ্ঞান পুরস্কার, ২০১২
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রস্নায়ুবিজ্ঞান
প্রতিষ্ঠানসমূহটাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মুম্বাই, ভারত
ডক্টরাল উপদেষ্টাঅধ্যাপক রনাল্ড ডুমান

প্রারম্ভিক জীবন সম্পাদনা

১৯৭০ সালের ১৫ নভেম্বর তারিখে বিদিতা অশোক বৈদ্যের জন্ম হয়েছিল। তাঁর পিতা একজন ঔষধ বিজ্ঞানী এবং মাতা এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট। তাঁর কাকা একজন ম্যালেরিয়া পরজীবীবিজ্ঞানী। ছোট থেকে তিনি পিতা, মাতা এবং কাকাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। কৈশোরকালে তিনি স্তন্যপায়ী প্রাণী বিজ্ঞানী ডাইয়্যান ফশি এবং জেন গুডঅলের থেকে প্রভাবিত হয়েছিলেন।[২]

শিক্ষা সম্পাদনা

বিদিতা মুম্বই-এর সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে জীববিদ্যাপ্রাণরসায়ন বিষয়ে স্নাতকত্ব লাভ করেন। তিনি ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নায়ুবিজ্ঞান বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রী অর্জন করেন।[১][৩] তারপরে তিনি পোস্টডক্টরাল গবেষণার জন্য সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট এবং যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। ২০০০ সালের মার্চ মাসে তাঁর পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা সমাপ্ত হয়।[৪]

কর্মজীবন সম্পাদনা

তিনি ২০০০ সালের মার্চ মাসে ২৯ বছর বয়সে টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জীববিজ্ঞান বিভাগে মুখ্য পরিদর্শক হিসেবে যোগদান করেছিলেন।[৫] তিনি ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ওয়েলকাম ট্রাস্টের বিদেশী বরিষ্ঠ গবেষণা ফেলো এবং ভারতীয় বিজ্ঞান একাডেমির সহযোগী ছিলেন।[৬] তিনি স্নায়ুবর্তনীর গবেষণার সঙ্গে জড়িত। জীবনের অভিজ্ঞতা এবং মানসিক বেদনা উপশমকারী বস্তুগুলির (অ্যান্টিডিপ্রেসান্ট) স্নায়ুবর্তনীর উপর ফেলা প্রভাব এবং এই ঘটনাসমূহে করা অনুভব নিয়ন্ত্রণের উপর তিনি গবেষণা করেছেন। এর সঙ্গে তিনি হতাশাগ্রস্ততা এবং জীবনের প্রারম্ভিক পর্যায়ে লাভ করা অভিজ্ঞতা মস্তিষ্কের বর্তনীর উপর ফেলা প্রভাব এবং ব্যবহারিক পরিবর্তনের উপরও গবেষণা করেছেন। তিনি, ২০১৫ সালে, চিকিৎসা বিজ্ঞানে, ভারতের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যায় সর্বোচ্চ সম্মান মর্যাদাপূর্ণ শান্তিস্বরূপ ভাটনাগর পুরস্কার লাভ করেন।[৭]<

তিনি ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অফ নিউরোসাইকোফার্মাকোলজির সোসাইটি ফর নিউরোসায়েন্স[৮] এবং এন্ডোক্রাইন সোসাইটিরও অংশ।[৯]

পুরস্কার এবং সম্মান সম্পাদনা

২০১৫ সালে তিনি চিকিৎসাশাস্ত্রে অগ্রগণ্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ভারতের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিবিদ্যার ক্ষেত্রের সর্বোচ্চ সম্মান শান্তিস্বরূপ ভাটনাগর পুরস্কার লাভ করেছিলেন। এর সঙ্গে তিনি ২০১২ সালে কেরিয়ার উন্নয়নের রাষ্ট্রীয় জীববিজ্ঞান পুরস্কার লাভ করেছিলেন।[১০]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "TIFR – Principal Investigator"। সংগ্রহের তারিখ ২০ মার্চ ২০১৪ 
  2. Vaidya, Vidita। "Interview with AsianScientist"Asian Scientist 
  3. "Vidita A Vaidya – Info"www.researchgate.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০৪ 
  4. "Vidita A Vaidya - Info"www.researchgate.net (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০৪ 
  5. TLoS (২০১৬-০৫-৩০)। "Vidita Vaidya Gets Into Your Head"The Life of Science। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০২-০৪ 
  6. "Former Associates"। Indian Academy of Sciences। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০১৬ 
  7. "List of recipients" (পিডিএফ)Shanti Swarup Bhatnagar Prize (SSB) for Science and Technology 2015। Shanti Swarup Bhatnagar Prize। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৫ 
  8. "The International Journal of Neuropsychopharmacology", Wikipedia (ইংরেজি ভাষায়), ২০১৬-১০-০১, সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৯ 
  9. Vaidya, Vidita। "ResearchGate profile" 
  10. "Awardees of N-BIOS for the year 2012" (পিডিএফ)AWARDEES OF NATIONAL BIOSCIENCE AWARDS FOR CAREER DEVELOPMENT। Department of Biotechnology, India। ৪ মার্চ ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৫