টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান

ভারতের মুম্বাই শহরের একটি মৌলিক জনগবেষণা কেন্দ্র

টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভারতের মুম্বাইহায়দ্রাবাদে অবস্থিত একটি গবেষণা কেন্দ্র। এটি মূলতঃ গণিতবিজ্ঞান-এর গবেষণার জন্য উৎসর্গিত অনুষ্ঠান। ভারতের পারমাণবিক শক্তি বিভাগ দ্বারা পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি স্বতন্ত্র ও মুম্বাইর কলবার নেবী শহরে এবং হায়দ্রাবাদ-এর নার্সিঙিতে অবস্থিত। এখানে গ্রাজুয়েট পাঠ্যক্রম থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করবার সুবিধা আছে। ভারত-এর মানব সম্পদ বিকাশ মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি 'এ' গ্রেড পেতে সক্ষম হয়েছে।

টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান
TIFR প্রধান ক্যাম্পাস, মুম্বাই
ধরনসর্বজনীন (বিশ্বাসযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয় )
স্থাপিত১ জুন, ১৯৪৫
পরিচালকসন্দীপ ত্রিবেদী
অবস্থান,
১৮°৫৪′২৭″ উত্তর ৭২°৪৮′২২″ পূর্ব / ১৮.৯০৭৫৭° উত্তর ৭২.৮০৬০১° পূর্ব / 18.90757; 72.80601
শিক্ষাঙ্গনশহরাঞ্চল
ওয়েবসাইটwww.tifr.res.in
মানচিত্র

ইতিহাস সম্পাদনা

ভারতের পারমাণবিক শক্তি বিকাশে বিশেষ অগ্রণী বিজ্ঞানী হোমি জাহাঙ্গীর ভাবা একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য স্যার দোরাবজী টাটা ট্রাষ্টের আর্থিক সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেন। সেইসময় টাটা গ্রুপের চেয়া্রম্যান জে আর ডি টাটার সাহায্য ও সহযোগিতায় ১৯৪৫ সালের ১ জুন টি আই এফ আর প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ভাবাকে প্রথম ডাইরেক্টর হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।[১] এই প্রতিষ্ঠানটি মুম্বাইতে আনার আগে ভারতীয় বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান থেকে চালানো হত। কলোবার ক্যাম্পাসটির নক্সা তৈরি করেছিলেন শিকাগোর হেলমর্থ বার্টশে; ১৯৬২ সালের ১৫ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু দ্বারা এটি উদ্বোধন করা হয়েছিল।[২] ভারতের স্বাধীনতা লাভের পরে বৈজ্ঞানিক ও ঔদ্যোগিক গবেষণা সঞ্চালকালয়ের দ্বারা পারমাণবিক ক্ষেতে্রর সর্বপ্রকার বৃহৎ প্রকল্পের জন্য টাটা মৌলিক গবেষণা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছিল।[৩][৪] প্রথম তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান-এর দলটি ভাবার ছাত্র বি এম গোয়ঙ্কার ও কে এস সিংভীর দ্বারা প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।[৫] ১৯৫০ সালের ডিসেম্বর মাসে মৌলিক কণা পদার্থ বিজ্ঞানের উপর একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে উপস্থিত ছিলেন রোডাল্ফ পার্লস, লিয়ন রজেনফেল্ড, বিলিয়াম ফোলার, মেঘনাদ সাহা, বিক্রম সারাভাইর মতো বিজ্ঞানীরা। ১৯৫০ সালে টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্বারা ওটি এবং কলার সোনার খনিতে মহাজাগতিক রশ্মি অধ্য়য়নের উদ্দেশ্যে গবেষণার সুবিধা করা হয়। ১৯৫৭ সালে এখানে ভারত-এর প্রথম ডিজিটাল কম্পিউটার, TIFRAC নির্মাণ হয়। ২০০২ সালের জুন মাসে এটি ডিমড বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান অর্জন করে[৬]। গবেষণার জন্য স্থান, গবেষণাগার ইত্যাদির জন্য হায়দ্রাবাদ-এ এর আরেকটি ক্যাম্পাস খোলা হয়।[৭]

গবেষণা সম্পাদনা

এর গবেষণা মূলত তিনি ভাগত বিভক্ত - গণিত বিজ্ঞান, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তিবিদ্যা ও কম্পিউটার বিজ্ঞান।

পদমর্যাদা সম্পাদনা

২০১৭ সালে কেরিয়ার ৩৬০ র দ্বারা আয়োজিত ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় প্রতিষ্ঠানটি ষষ্ঠস্থান লাভ করে।

বহিরাগত ছাত্রদের গবেষণার সুবিধা সম্পাদনা

এই ব্যবস্থার দ্বারা গ্রীষ্মকালে টাটা মৌলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান-এর দ্বারা পদার্থবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, জীববিজ্ঞান ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে চলতে থাকা গবেষণার সুযোগ নিতে প্রত্যেক বছরে সুবিধা প্রদান করে আসা হচ্ছে।

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. Lala, R. M. (২৯ জুলাই ২০০৫)। "JRD — The builder of modern Tatas"Business Line। ১৭ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১০ 
  2. Raychaudhari, Oindrilla। "History of TIFR"। Tata Institute of Fundamental Research। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১০ 
  3. U.P.I. (২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৯)। "Tata Institute to be centre of nuclear research"The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১০ 
  4. "NPIHP Partners Release New Documents on Indian Nuclear History"Nuclear Proliferation International History Project। Washington, D.C.: Woodrow Wilson Center। ১১ এপ্রিল ২০১২। ১ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  5. Sreekantan, B. V. (মার্চ ২০০৬)। "Sixty years of the Tata Institute of Fundamental Research 1945–2005" (পিডিএফ)Current Science90 (5)। সংগ্রহের তারিখ ২৯ নভেম্বর ২০১০ 
  6. "About TIFR"। University Cell, TIFR। ৩১ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১০ 
  7. "TIFR Hyderabad-bound for Bhabha b'day"Indianexpress.com। ২০০৮-১১-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-১১-২৪ 

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা