বিকাশ

মোবাইল ভিত্তিক আর্থিক সেবা

বিকাশ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন ভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর (এমএফএস) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান।[] এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদনপ্রাপ্ত ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হয়।[] এই মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানটি ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি এবং মানি ইন মোশন এলএলসি-র যৌথ উদ্যোগে যাত্রা শুরু করে।[] বিকাশ বাংলাদেশের প্রথম ইউনিকর্ন স্টার্টআপ (যার মূল্যায়ন ১ বিলিয়ন ডলার বা তার বেশি) কোম্পানি।[]

বিকাশ
ধরনবেসরকারি
প্রতিষ্ঠাকাল২১ জুলাই ২০১০; ১৪ বছর আগে (2010-07-21)
প্রতিষ্ঠাতাকামাল কাদীর
সদরদপ্তরস্বাধীনতা টাওয়ার, ১ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ জাহাঙ্গীর গেট, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা -১২০৬
বাণিজ্য অঞ্চল
বাংলাদেশ[][]
প্রধান ব্যক্তি
পরিষেবাসমূহমোবাইল আর্থিক পরিষেবা
মাতৃ-প্রতিষ্ঠানব্র‍্যাক ব্যাংক, অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, মানি ইন মোশন এলএলসি, ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন, সফটব্যাংক ভিশন ফান্ড[]
ওয়েবসাইটbkash.com

ইতিহাস

সম্পাদনা

কামাল কাদিরইকবাল কাদির বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা। ২০০০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ফিলিপাইন, কেনিয়া এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশে মোবাইল আর্থিক পরিষেবা, মোবাইল সার্ভিস, ইন্টারনেট সার্ভিস এবং ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস জনপ্রিয়তা পায়। তখন কাদির ভাইয়েরা এ ধরনের একটি সেবা বাংলাদেশে আনার পরিকল্পনা করেন।

একজন দেশীয় অংশীদারের প্রয়োজন হওয়ায় তারা ২০০৮ সালে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ-এর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। পরবর্তী দুই বছর তাদের মধ্যে আলোচনা চলতে থাকে। ২০১০ সালে মানি ইন মোশন এবং ব্র্যাক ব্যাংকের মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।[]

২০১১ সালের ২১ জুলাই বাংলাদেশে বিকাশ চালু হয়। শুরুর দিকে প্রধান সেবা ছিল: ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট এবং সেন্ড মানি। এই সেবাগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে দেশের ৭০% এরও বেশি গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, যারা আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং সেবার বাইরে, সহজেই আর্থিক লেনদেন করতে পারে।[][১০] অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতই বাংলাদেশেও মানুষ গ্রামে পরিবারের ভরণপোষণের লক্ষ্যে কাজের জন্যে শহরমুখী হয়। এ ধরনের কর্মজীবিদের জন্যে সহজ ও সুবিধাজনক উপায়ে বাড়িতে টাকা পাঠানোর একটি ব্যবস্থা তৈরির করার প্রয়োজনীয়তা "বিকাশ" উদ্ভাবনের পেছনে একটি অন্যতম মৌলিক ধারণা হিসেবে কাজ করে।[১১]

অর্থায়ন ও অংশীদার

সম্পাদনা

বিকাশ ২০১১ সালে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ এবং মানি ইন মোশন এলএলসি, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ হিসেবে যাত্রা শুরু করে।

২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সদস্য আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা (আইএফসি) বিকাশে ইকুইটি অংশীদার হিসেবে যুক্ত হয়। ২০১৪ সালের মার্চে বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন কোম্পানিটির বিনিয়োগকারী হয়ে ওঠে।[১২]

এরপর ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল (যারা আলিবাবা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আলিপে পরিচালনা করে) বিকাশের ইকুইটি অংশীদার হয়।[১৩] এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের ব্যাংকবহির্ভূত ও স্বল্প সেবাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা।

পরবর্তীতে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে সফটব্যাংকের ভিশন ফান্ড-II বিকাশে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে এবং ১০%–এর বেশি উল্লেখযোগ্য শেয়ার অধিগ্রহণ করে। এই বিনিয়োগ বিকাশের বাজারমূল্য প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করে।[১৪]

বাংলাদেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিকাশ ব্যবহারকারীরা তাদের মোবাইল অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে ও জমা রাখতে পারেন এবং বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো দেশের ভেতরে টাকা পাঠানো ও গ্রহণ করা এবং বিভিন্ন ধরনের পেমেন্ট সম্পন্ন করা। বিকাশ-এর মাধ্যমে মোবাইল রিচার্জ (প্রিপেইড ও পোস্টপেইড), ইন্টারনেট সেবা, ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস, কাস্টমার সার্ভিস এবং ইউটিলিটি বিল পরিশোধও করা যায়। এইসব সেবা বিকাশ-এর ইউএসএসডি (*২৪৭#) অথবা বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া যায়। একজন ব্যবহারকারী বিকাশ-এর মাধ্যমে রেমিট্যান্স গ্রহণ করতে পারেন।[১৫] ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে বিকাশ বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো ইউনিকর্ন স্টার্টআপ (যার মূল্যায়ন ১ বিলিয়ন ডলার বা তার বেশি) হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।[১৬][১৭][১৮][১৯]

বিকাশ অ্যাপ

সম্পাদনা

বিকাশ এখন বাংলাদেশের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে এবং দেশের আর্থিক খাতকে বদলে দিয়েছে। এই মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাপটি টাকা পাঠানো ও গ্রহণ থেকে শুরু করে বিল পরিশোধ এবং ঋণ গ্রহণ পর্যন্ত নানা ধরনের সেবা প্রদান করে।

২০১৮ সালে চালু হওয়ার পর থেকেই বিকাশ অ্যাপ সহজ ব্যবহারযোগ্যতা, নিরাপত্তা এবং নিয়ন্ত্রিত লেনদেনের কারণে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ব্যবহারবান্ধব ইন্টারফেস ও বহুমুখী সেবার কারণে এটি লাখ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। এর সহজ ও কার্যকর বৈশিষ্ট্যের জন্য এই অ্যাপ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডে আর্থিক খাতে সেরা উদ্ভাবনের পুরস্কার লাভ করে।[২০]

 
ঢাকার গুলশান ১-এ একটি বিকাশ এজেন্ট শপ

প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ:

  • লেনদেন সেবা: টাকা পাঠানো, মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ আউট, পেমেন্ট, অ্যাড মানি, বিল পরিশোধ, টিকিট, ব্যাংকে টাকা পাঠানো, রেমিট্যান্স গ্রহণ, বীমা প্রিমিয়াম, ক্ষুদ্রঋণ, শিক্ষা ফি এবং দান।
  • আর্থিক সেবা: সঞ্চয় প্রকল্প, ডিজিটাল ক্ষুদ্র ঋণ ও রিওয়ার্ড পয়েন্ট।
  • নিরাপত্তা: টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন এবং কিউআর কোড স্ক্যানিং।
  • প্রবেশগম্যতা: বিস্তৃত মার্চেন্ট, এজেন্ট, কাস্টমার কেয়ার ও এটিএম নেটওয়ার্ক।

বিকাশ বিশেষ করে ব্যাংকবহির্ভূত ও কমসেবাপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়েছে। এটি নগদ অর্থের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আর্থিক সেবায় সহজ প্রবেশাধিকারে সহায়তা করেছে। তরুণদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে যে, এটি বাংলাদেশের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থার ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।[২১]

স্বীকৃতি

সম্পাদনা

২০১৭ সালে ফরচুন ম্যাগাজিন বিকাশকে তাদের চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড তালিকায় বিশ্বজুড়ে শীর্ষ ৫০টি প্রতিষ্ঠান মধ্যে ২৩তম স্থান দেয়।[২২][২৩] দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো-এর তথ্যানুসারে, বিকাশ বর্তমানে ৭ কোটিরও বেশি নিবন্ধিত প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশি ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছেছে।[২৪] এশিয়ামানি ম্যাগাজিন বিকাশকে সেরা ডিজিটাল সমাধান প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে।[২৫]

পৃষ্ঠপোষকতা

সম্পাদনা

২০২৩ সালের মে মাসে বিকাশ আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের আঞ্চলিক পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়।[২৬][২৭][২৮] ওই একই বছর বিকাশ ছিল ডি১ কাপ বাংলাদেশ ২০২৩–এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক। এটি দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ই-স্পোর্টস প্রতিযোগিতা, যেখানে পুরস্কার ছিল ৪০ লাখ টাকা।[২৯]

আরও পড়ুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Bangladesh's bKash revolution"The Banker 
  2. "BKash" 
  3. "bKash and Ant Financial in strategic partnership to promote financial inclusion for the unbanked in Bangladesh"bKash। ২৮ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  4. "MFS Provider" (পিডিএফ)Bangladesh Bank 
  5. "Bangladesh's bKash revolution"The Banker। ৬ এপ্রিল ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২১ 
  6. "Business Model of bKash" (পিডিএফ)। ৪ নভেম্বর ২০২১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০২০ 
  7. ডেস্ক, বাণিজ্য (২০২৩-০৫-১১)। "কামাল কাদীরের বিকাশ গড়ে তোলার গল্প: 'আমি ওয়াল স্ট্রিটে কাজ করার মানুষ নই'"। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-০১ 
  8. "A brief history of bKash - Future Startup"Future Startup (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৪-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-১২ 
  9. "BRAC Bank's bKash Launches Mobile Banking Services in Bangladesh"brac (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-২৯ 
  10. "bKash: Tip of the Iceberg"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ এপ্রিল ২০১৭। ২৯ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-২৯ 
  11. ""MDI Case Study""। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  12. Al-Mahmood, Syed Zain (২৪ জুন ২০১৫)। "Mobile Banking Provides Lifeline for Bangladeshis"The Wall Street Journal। ৩০ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ আগস্ট ২০১৭ 
  13. "Alibaba buys 20pc stake in bKash"The Daily Star। ২৭ এপ্রিল ২০১৮। ২২ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৯ 
  14. "SoftBank investment to raise bKash's valuation to $2bn"The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১১-১৪। ১৬ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০১-১৬ 
  15. Harmachi, Abdur Rahim। "1% bonus on bKash remittance along with 2% govt incentive"bdnews24.com। ১০ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-১১ 
  16. "Startups that made headlines this year"The Daily Star। ২১ ডিসে ২০২১। ২ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০২৩bKash became country's first Unicorn 
  17. "Remittance thru bKash grew by 70% during Eid"The Business Post। ১ মে ২০২৩। ১৪ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০২৩ 
  18. "bKash CEO on the Transformative Impact of Financial Inclusion"Bkash (bkash.com)। ১২ মে ২০২৩। ১৪ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ মে ২০২৩ 
  19. "SoftBank investment to raise bKash's valuation to $2bn"The Business Standard (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-১১-১৪। ১৬ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৪-১১ 
  20. "BKash wins Best Financial Innovation award"Dhaka Tribune। ২০১৮-১০-২৩। ২৪ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৮ 
  21. "bKash app: How the country's MFS giant is changing lives"tbsnews (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২৩-০৭-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-১০-০৩ 
  22. "BKash ranked 23rd on Fortune's 'Change the World' list"। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭। 
  23. "Fortune lists bKash among 50 companies that are changing the world"Dhaka Tribune। ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  24. Kamal Quadir (২৪ জুলাই ২০২৩)। "You can set up a company, remaining honest and transparent" (Interview)। 
  25. "Best for digital solutions in Bangladesh 2022: BKash"Asiamoney। ১৭ জুলাই ২০২২। 
  26. "La Asociación del Fútbol Argentino presenta su primer acuerdo de patrocinio regional en Bangladesh, con la compañía bKash" [The Argentine Football Association presents its first regional sponsorship agreement in Bangladesh, with the company bKash]। afa.com.ar। ৮ মে ২০২৩। ৮ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০২৩ 
  27. "Love for Argentina recognised as AFA, bKash tie up"The Daily Star। ৮ মে ২০২৩। ৮ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মে ২০২৩ 
  28. "bKash becomes 1st regional sponsor for Argentina national team"Dhaka Tribune। ৯ মে ২০২৩। ১৩ মে ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০২৩ 
  29. "Country's premier e-sports tournament D1 Cup Bangladesh, powered by Bkash offers a price money of Tk40L"Dhaka Tribune