বারাণসী বন্দর
বারাণসী বন্দর বা বারাণসী মাল্টি-মোডাল টার্মিনাল হল উত্তরপ্রদেশের বারাণসী শহরে অবস্থিত একটি নদী বন্দর। বন্দরটি গঙ্গা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে। এটি ভারত সরকারের জল মার্গ বিকাশ প্রকল্প-এর অধীনে নির্মাণ করা হয়েছে। বারাণসী বন্দর জাতীয় জলপথ ১ দ্বারা কলকাতা বন্দর ও হলদিয়া বন্দরের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে। আনুমানিক ₹১৭০ কোটি টাকার চুক্তির ভিত্তিতে এফেকসন অবকাঠামো" বন্দরটি নির্মাণ করেছে।[৩]
বারাণসী বন্দর | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
অবস্থান | বারাণসী,উত্তরপ্রদেশ |
বিস্তারিত | |
চালু | ১২ নভেম্বর ২০১৮ [১][২] |
পরিচালনা করে | বারাণসী বন্দর কর্তৃপক্ষ |
মালিক | ভারত সরকার |
পোতাশ্রয়ের ধরন | নদী বন্দর |
উপলব্ধ নোঙরের স্থান | ২ |
প্রতাশ্রয়ের গভীরতা | ২.২ মিটার (৭ ফু ৩ ইঞ্চি) |
প্রথম পর্যায়ে বন্দর বা টার্মিনালের বার্ষিক কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা অনুমানিক ১.২ মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমটিপিএ)। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে বন্দরের নির্মাণ কার্য সম্পূর্ণ হয়।[৪]
ইতিহাস
সম্পাদনা১৯৮৬ সালে হলদিয়া থেকে বারাণসী পর্যন্ত গঙ্গা নদীকে জাতীয় জলপথ ১ হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সেই সময়েই কলকাতা থেকে বারাণসী পর্যন্ত পণ্য পরিবহনের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ২০১৪ সালে ভারত সরকার বারাণসীতে একটি নদী বন্দর (বারাণসী মাল্টি মোডাল টার্মিনাল) নির্মাণের ঘোষণা করে। ২০১৬ সালের জুন মাসে বন্দরটির নির্মাণ শুরু হয় এবং ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়। কলকাতা থেকে পরিবহন করে নিয়ে আসা ১৬ টি কনটেইনার'সহ এমভি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নামে একটি জাহাজ ১১ ই নভেম্বর প্রথম বন্দরটিতে নোঙর করে।[৫] ১২ নভেম্বর বন্দরটির উদ্ধোন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।[১][৬]
সুযোগ সুবিধা
সম্পাদনাবন্দরে পণ্য মজুত এলাকা, পন্য পরিবহন শেড, পার্কিং এলাকাসহ অন্যান্য সুবিধা রয়েছে। যাত্রী পরিবহনের জন্য একটি ভাসমান জেটিও রয়েছে।
বহুমুখী টার্মিনাল
সম্পাদনাবারাণসী বন্দরের বহুমুখী টার্মিনালটি ২০০ মিটার (৬৬০ ফু) লম্বা এবং ৪২ মিটার (১৩৮ ফু) চওড়া। এই টার্মিনালটি ৭২ টি স্তম্ভের উপড়ে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিটি স্তম্ভ মাটির গভীর থেকে ৫৩ মিটার (১৭৪ ফু) লম্বা। এই টার্মিনালে জলের গভীরতা ২.২ মিটার (৭ ফু ৩ ইঞ্চি)। পণ্য খালাস ও বোঝাইয়ের জন্য ২ টি ক্রেন রয়েছে। টার্মিনালটি একই সঙ্গে কনটেইনার পণ্য ও বাল্ক পণ্য পরিবহন করতে সক্ষম। এছাড়া এই টার্মিনালটিতে এক যোগে দুটি জাহাজ নোঙর করার ব্যবস্থা রয়েছে।
যাত্রী টার্মিনাল
সম্পাদনাবহুমুখী টার্মিনালের পাশেই রয়েছে একটি যাত্রী জেটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই জেটিতে যাত্রীবাহি জাহাজগুলি নোঙর করবে।
পণ্য
সম্পাদনাবন্দর যে সমস্ত মালবাহী জাহাজ নোঙর করবে তাতে পাথর, সিমেন্ট, খাদ্যশস্য, সার, চিনি ইত্যাদি পরিবণ করা হবে। বন্দরটির দ্বারা ছোট যাত্রীবাহি গাড়ি বা যানবাহন কলকাতায় রপ্তানির বা পরিবহনের পরিকল্পনা রয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষের।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ "জলপথে জুড়ে গেল বারাণসী-হলদিয়া, উদ্বোধন করলেন মোদী"। www.anandabazar.com। ১২ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "PM Modi inaugurates first multi-modal terminal in Varanasi on River Ganga"। deccanchronicle.com। ১২ নভেম্বর ২০১৮। ১৭ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "Gadkari lays foundation of multi-modal terminal at Varanasi"। The Hindu। ১৩ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "First phase of Multi-Modal Terminal at Varanasi to cost Rs 170 crore"। Business Standard। ১০ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ অক্টোবর ২০১৭।
- ↑ "India's First Inland Waterway Container Ship Just Delivered Its First Consignment"। www.indiatimes.com। ১২ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ "PM inaugurates road, waterway projs in Varanasi; hails growth of next gen transport infra"। www.business-standard.com। ১২ নভেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৮।