বানৌজা বিষখালী (২০২৩)
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) বিষখালী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি পদ্মা শ্রেণীর দ্বিতীয় ব্যাচের পেট্রোল ক্রাফট বা টহল জাহাজ। এটি গণচীনের কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত হয়। বর্তমানে জাহাজটি ৪১ পেট্রোল ক্রাফট স্কোয়াড্রোন এর অধীনে সামুদ্রিক এবং উপকূলীয় অঞ্চলে টহল প্রদান, উদ্ধার ও অনুসন্ধান কার্যক্রম, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমন, মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।[১][২][৩][৪]
| ইতিহাস | |
|---|---|
 বাংলাদেশ
| |
| নাম: | বানৌজা বিষখালী |
| নির্মাণাদেশ: | ৯ মে, ২০১৯ |
| নির্মাতা: | খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড |
| নির্মাণের সময়: | ২ ডিসেম্বর, ২০১৯ |
| শনাক্তকরণ: | পি৪১৫ |
| সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
| প্রকার ও শ্রেণী: | পদ্মা-শ্রেণীর টহল জাহাজ |
| ওজন: | ৩৫০ টন |
| দৈর্ঘ্য: | ৫১.৬৫ মিটার (১৬৯.৫ ফু) |
| প্রস্থ: | ৭.৫০ মিটার (২৪.৬ ফু) |
| ড্রাফট: | ২ মিটার (৬.৬ ফু) |
| গভীরতা: | ৪.২০ মিটার (১৩.৮ ফু) |
| প্রচালনশক্তি: |
|
| গতিবেগ: | ২১ নট (৩৯ কিমি/ঘ; ২৪ মা/ঘ) |
| সীমা: | ১,৫০০ নটিক্যাল মাইল (২,৮০০ কিমি; ১,৭০০ মা) |
| সহনশীলতা: | ৭ দিন |
| নৌকা ও অবতরণ নৈপুণ্য বহন করে: | ১টি |
| লোকবল: | ৩৩ জন |
| সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: |
|
| রণসজ্জা: |
|
| টীকা: | ১ × এফার ২২০এম ডেক ক্রেন (ইতালি) |
ইতিহাস সম্পাদনা
১৯ মে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৫টি পেট্রোল ক্রাফট নির্মাণের জন্য প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর এবং খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড এর মধ্যে প্রায় ৫৩২ কোটি টাকার জাহাজ নির্মাণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সম্পাদিত চুক্তির অংশ হিসেবে পঞ্চম জাহাজ বানৌজা বিষখালী নির্মিত হয়। জাহাজটি নির্মাণকালে চায়না ক্ল্যাসিফিকেশন সোসাইটি (সিসিএস) এর নীতিমালা অনুসরণ করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে পেট্রোল ক্রাফটটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। এটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত পঞ্চদশ যুদ্ধজাহাজ।
বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো সম্পাদনা
বানৌজা বিষখালী জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৫১.৬ মিটার (১৬৯ ফু), প্রস্হ ৭.৫ মিটার (২৫ ফু) এবং গভীরতা ৪.২ মিটার (১৪ ফু)। জাহাজটির ওজন ৩৫০ টন এবং জাহাজটিতে রয়েছে ২টি ৩,০৪১ অশ্বশক্তি (২,২৬৮ কিওয়াট) বিশিষ্ট এমটিইউ ডিজেল ইঞ্জিন (জার্মানি), ১২০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সিএটি জেনারেটর (যুক্তরাজ্য), ৪৯ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সিএটি ইমারজেন্সি জেনারেটর (যুক্তরাজ্য), জেডএফ ৭৬০০ ট্রান্সমিশন (জার্মানি) এবং ২টি শ্যাফট। যার ফলে জাহাজটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ২১ নট (৩৯ কিমি/ঘ; ২৪ মা/ঘ)। এছাড়াও জাহাজটি ৩৩ জন সদস্য নিয়ে একনাগাড়ে ৭ দিন অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম। সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি হিসেবে জাহাজটিতে রয়েছে:
- ১টি জেআরসি জেএমএ-৫২১২-৪বিবি এক্স-ব্যান্ড র্যাডার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
- ১টি হাল মাউনন্টেড মাল্টি-বিম ইকো সাউন্ডার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
- ১টি হাল মাউনন্টেড সিঙ্গেল-বিম ইকো সাউন্ডার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
- ১টি ডিজিপিএস রিসিভার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
- ১টি সাউন্ড ভেলোসিটি প্রোফাইলার (যুক্তরাজ্য);
- ১টি ১ × জেআরসি জেএমএ-৩৩০০ মাল্টিরোল ডিসপ্লে সহ নেভিগেশন র্যাডার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র);
- ১টি চৌম্বকীয় কম্পাস (জাপান);
- ১টি জিপিএস রিসিভার (ফুরুনো);
- ১টি ইকো সাউন্ডার (কোডেন);
- ১টি রাডার অ্যাঙ্গেল ইন্ডিকেটর;
- ১টি ভিএইচএফ সেট (আইকম);
- ১০টি ভিএইচএফ ওয়াকিটকি সেট (আইকম/মটোরোলা)।
রণসজ্জা সম্পাদনা
বানৌজা বিষখালী জাহাজটির আকার আয়তন অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও এর সক্ষমতা আধুনিক বিশ্বে ব্যবহৃত সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ। শত্রু জাহাজ মোকাবেলা, চোরাচালান রোধ, জলদস্যূতা দমনে জাহাজটিতে রয়েছে:
- ১টি ৪০মিমি বোফোর্স গান (পরবর্তীতে ১টি ৩০ মিমি অ্যাসেলসান স্ম্যাশ রিমোট কন্ট্রোলড গান সংযোজিত হবে);
- ২টি ১২.৭মিমি সিআইএস-৫০ বিমান বিধ্বংসী মেশিনগান;
- সামুদ্রিক মাইন;
- ৬টি কিউডব্লিউ-২ ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণ যোগ্য বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।
তথ্যসূত্র সম্পাদনা
- ↑ "5 x Patrol Craft BN – Khulna Shipyard Ltd" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৭-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৭-০৩।
- ↑ "খুলনা শিপইয়ার্ডে পাঁচটি প্যাট্রোল ক্র্যাফটের কিল লেয়িং করলেন নৌবাহিনী প্রধান"। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর। ২০১৯-১২-০২। ২০২১-১২-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০২-১৪।
- ↑ "ITEM OF B N S TR/(PC-5) D/NO SL.No DESCRIPTION DENO 1 ... - NSD Khulna, TECHNICAL SPECIFICATION OF DISTANCE LINE, MESSENGER LINE, BOLAS LINE BNS BISHKHALI"। Naval Stores Depot Khulna, Bangladesh Navy (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-১৮।
- ↑ "বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ #shorts #বঙ্গোপসাগর #সুন্দরবন #যুদ্ধজাহাজ"।
