বানৌজা নিশান
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) নিশান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি দুর্জয়-শ্রেণীর টহল জাহাজ। জাহাজটি যুদ্ধকালীন সময়ে দেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, শত্রু জাহাজ ও সাবমেরিন বিধ্বংসী অভিযান এবং বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও, শান্তিকালীন সময়ে অবৈধ মৎস্য নিধন, জলদস্যুতা দমন, মানবপাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধসহ সুনীল অর্থনীতির পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।[১][২][৩][৪][৫][৬]
ইতিহাস | |
---|---|
বাংলাদেশ | |
নাম: | বানৌজা নিশান |
নির্মাণাদেশ: | ৩০ জুন, ২০১৪ |
নির্মাতা: | খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেড |
নির্মাণের সময়: | ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ |
অভিষেক: | ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ |
কমিশন লাভ: | ৮ নভেম্বর, ২০১৭ |
শনাক্তকরণ: | পি৮১৫ |
অবস্থা: | সক্রিয় |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | দুর্জয়-শ্রেণীর টহল জাহাজ |
ওজন: | ৬৪৮ টন |
দৈর্ঘ্য: | ৬৪.২ মিটার (২১১ ফু) |
প্রস্থ: | ৯ মিটার (৩০ ফু) |
গভীরতা: | ৩.৮০ মিটার (১২.৫ ফু) |
ড্রাফট: | ৫.২৫ মিটার (১৭.২ ফু) |
প্রচালনশক্তি: |
|
গতিবেগ: | ২৭ নট (৫০ কিমি/ঘ) |
সীমা: | ২,৫০০ নটিক্যাল মাইল (৪,৬০০ কিমি; ২,৯০০ মা) |
সহনশীলতা: | ১৫ দিন |
লোকবল: | ৭০ জন |
সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: |
|
রণসজ্জা: |
|
ইতিহাস
সম্পাদনাসশস্ত্র বাহিনীর জন্য গৃহীত দীর্ঘমেয়াদী আধুনিকায়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার দেশীয় উৎস থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সে অনুযায়ী বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জন্য খুলনা শিপইয়ার্ডে জাহাজ নির্মাণের পদক্ষেপ নেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা শিপইয়ার্ডে বানৌজা নিশান নির্মাণের সূচনা করেন। সর্বশেষ ৮ নভেম্বর, ২০১৭ সালে খুলনাস্থ নৌ ঘাঁটি বানৌজা তিতুমীর এর নেভাল বার্থে আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধজাহাজ বানৌজা নিশান নৌবহরে কমিশনিং করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ।
বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো
সম্পাদনাবানৌজা নিশান জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৬৪.২ মিটার (২১১ ফু), প্রস্থ ৯ মিটার (৩০ ফু)* এবং গভীরতা ৫.২৫ মিটার (১৭.২ ফু) এবং ওজন ৬৪৮ টন। জাহাজটি গলুই স্ফীতাকার হওয়ার কারণে এটি উত্তাল সমুদ্রেও স্থিতিশীল থাকতে পারে। জাহাজটিতে চলাচলের জন্য ২টি শ্যাফট এবং ২টি এসইএমটি পিয়েলস্টিক ডিজেল ইঞ্জিন রয়েছে। জাহাজটির সর্বোচ্চ গতি ২৭ নট (৫০ কিমি/ঘ; ৩১ মা/ঘ) এবং সর্বোচ্চ পাল্লা ২,০০০ নটিক্যাল মাইল (২,৩০০ মা; ৩,৭০০ কিমি)*। জাহাজটি ৭০ জন সদস্য নিয়ে একটানা ১৫ দিন সমুদ্রে অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম। এই জাহাজটি মূলত ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী অভিযানে ব্যবহৃত হয়।[৭]
অস্ত্রসজ্জা
সম্পাদনাএই জাহাজটিতে প্রধান অস্ত্র হিসেবে রয়েছে ১টি এনজি ১৬-১ ৭৬ মিমি কামান। এছারাও জাহাজটি ১টি সিএস/এএন২ ৩০ মিমি কামান বহন করে যা বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে রয়েছে ৬টি ইটি-৫২সি ৩২৪ মিমি টর্পেডো।[৭]
ইলেকট্রনিক্স
সম্পাদনাজাহাজের প্রধান র্যাডার হিসেবে আছে ১টি জাপানি জেএমএ ৩৩৩৬ এক্স-ব্যান্ড নৌচালনা র্যাডার এবং ১টি চীনা এসআর৪৭এজি সমুদ্রপৃষ্ঠ এবং আকাশ অনুসন্ধান র্যাডার। নৌচালনা র্যাডারটিকে সাহায্য করার জন্য রয়েছে ভিশন মাস্টার সামুদ্রিক মানচিত্র প্রস্তুতকারী র্যাডার। জাহাজটি ১টি টিআর৪৭সি র্যাডার বহন করে যা অনুসরণ র্যাডার হিসেবে ব্যবহৃত হয়। জলনিম্নে সনাক্তকরণের জন্য জাহাজটির একটি ৮,০০০ মিটার (২৬,০০০ ফু) পাল্লার ইএসএস-২বি সোনার রয়েছে।[৭]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "PM opens largest warship-building project at Khulna Shipyard"। BSS News। ২০১৭-১০-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "Navy gets submarine tugboat, large patrol craft"। The Dhaka Tribune। ১৭ মার্চ ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৭।
- ↑ "President Hamid commissions four new naval ships"। The Dhaka Tribune। ৮ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "LARGE PATROL CRAFT – Khulna Shipyard Ltd" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৭।
- ↑ "NAVY Fighter Ship | Dji Phantom 4 Pro | Cinematography By Rizu"।
- ↑ "বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ বানৌজা নিশান"।
- ↑ ক খ গ "2*Large Patrol Craft"। Khulna Shipyard। ২০১৭-০৯-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।