বানৌজা ওমর ফারুক (১৯৭৬)

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ

বানৌজা ওমর ফারুক বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি সালিসবেরি শ্রেণির ফ্রিগেট। এটি বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে যুক্ত হওয়া প্রথম ফ্রিগেট। জাহাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রশিক্ষণ জাহাজ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।[১] সক্রিয় অবস্থায় জাহাজটি ৫৯ জন অধিনায়কের নেতৃত্বে ৩ লাখ ৬২ হাজার ১২৭ নটিক্যাল মাইল সমুদ্রপথ অতিক্রম করেছে।[২][৩]

ইতিহাস
বাংলাদেশ
নাম: বানৌজা ওমর ফারুক
নির্মাতা: হথোর্ন লেসলি অ্যান্ড কোম্পানি
নির্মাণের সময়: ২৭ আগস্ট ১৯৫৩
অভিষেক: ৩০ নভেম্বর ১৯৫৫
অর্জন: ১৯৭৬
কমিশন লাভ: ১০ ডিসেম্বর ১৯৭৬
ডিকমিশন: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫
শনাক্তকরণ: পিন্যান্ট নাম্বার: এফ-১৬
নিয়তি: ভেঙ্গে ফেলা হয়।

কর্মজীবন সম্পাদনা

১৯৭৬ সালের ১০ এপ্রিল ওমর ফারুক বাংলাদেশ নৌ বাহিনীতে কমিশন লাভ করে। এর আগে ১৯৫৮ সালে জাহাজটি যুক্তরাজ্যের নৌবাহিনীর কমিশন লাভ করে।[১][৩] ২০০৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ওমর ফারুক ভারতের কোচি বন্দরে দুই দিনের সফরে যায়।[৪] ২০১০ সালের ডিসেম্বরে জাহাজতি ভারতের নৌ বাহিনীর বেস বিশাখাপত্তনমে তিন দিনের সফরে যায়।[৫] ২০১৪ সালে মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট ৩৭০ উড্ডয়নকালে হারিয়ে যায়। বঙ্গোপসাগরে এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনার কারণে ওমর ফারুক এবং বানৌজা বঙ্গবন্ধু যৌথভাবে এই অঞ্চলে তল্লাশি চালায়।[৬] ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর ফ্রিগেটটি অবসরে যায়, এবং 'মিউজিয়াম শিপ'-এ রূপান্তর করা হয়।[২][৩] পরবর্তীতে সেটিকে ভেঙ্গে ফেলা হয়।[৭]

তথ্যসূত্র সম্পাদনা

  1. "বানৌজা ওমর ফারুকের ডি-কমিশনিং ও মিউজিয়াম শিপ হিসেবে উদ্বোধন"www.bhorerkagoj.com। ২০২০-০৩-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৫ 
  2. "'বুড়ো' হয়ে যাওয়ায় ওমর ফারুক এখন মিউজিয়াম শিপ"বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২০১৫-১২-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৫ 
  3. "নৌবাহিনী জাহাজ 'ওমর ফারুক' এর ডি-কমিশনিং"দৈনিক জনকন্ঠ। ২০১৫-১২-৩০। ২০২০-০৩-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৩-২৫ 
  4. "Bangladesh Naval Ship calls at Kochi"oneindia। ১৭ মার্চ ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৫ 
  5. "Bangladesh Navy ship docks in city"Deccan Chronicle। ১৯ ডিসেম্বর ২০১০। 
  6. "Bangladesh sends 2 navy ships to verify MH370 wreckage claim"দ্য ডেইলি স্টার। ২ মে ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০১৫ 
  7. ""Auction of Bangladesh Navy ship ex-BNS Umar Farooq"" (পিডিএফ)Ministry of Defense। ২০১৬-০৭-২৭। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২২